নিজস্ব সংবাদদাতা, জলপাইগুড়ি, ৬ এপ্রিল— একই পাড়ার মানুষ৷ পাশাপাশি বাড়ি৷ অথচ কেউ ভোট দেবেন ১৯ এপ্রিল৷ আবার কেউ ভোট দেবেন ২৬ এপ্রিল৷ অর্থাৎ একই এলাকায় দু’দিনে দু’বার লোকসভার ভোট৷ খোদ শিলিগুড়ি শহরেই এবারের লোকসভা ভোটে এই চিত্র দেখা যাবে৷ ভৌগোলিক অবস্থান অনুযায়ী শিলিগুড়ি শহরের একটি অংশ জলপাইগুড়ি জেলা এবং একটি অংশ দার্জিলিং জেলার অন্তর্গত৷ ফলে যাঁরা শিলিগুড়ি কর্পোরেশনের বাসিন্দা হওয়া সত্ত্বেও জেলাগতভাবে জলপাইগুড়ির নাগরিক তাঁরা ১৯ এপ্রিল প্রথম দফার নির্বাচনে ভোট দেবেন৷ আবার একইভাবে শিলিগুড়ি কর্পোরেশন এলাকায় থাকা সত্ত্বেও যাঁরা জেলাগতভাবে দার্জিলিং জেলার বাসিন্দা তাদের ভোট হবে দ্বিতীয় দফায়৷ ফলে একই শহরের বাসিন্দারা দু’দফায় নিজ নিজ এলাকার ভিত্তিতে ভোট দেবেন৷ যা নিয়ে কেউ বিরক্ত, কেউ আবার বলছেন উপভোগ করবেন ভোটের এই বিষয়টি৷
বিজেপির দাবি, জেলার ভোটে বহিরাগতদের অনুপ্রবেশ বন্ধ করা হয়৷ সেক্ষেত্রে দুই দফায় একই শহরে অন্য জেলার কর্মী-নেতাদের অনুপ্রবেশ কিভাবে বন্ধ করা যায় তা ভাবুক কমিশন৷ প্রয়োজনে কমিশনের কাছে সমস্যার কথা জানাবেন তাঁরা৷ বিজেপি নেতা তথা শিলিগুডি়র বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ বলছেন, “এটা একটা নতুন বিষয়৷ আমিও থাকি একেবারে বর্ডার লাইনে৷ আমাদের এখানে ২৬ তারিখ ভোট৷ কিন্ত্ত, কয়েকটা বাডি়র বাসিন্দাদের আগেই, ১৯ তারিখ ভোট৷ এই প্রক্রিয়ার কিছু সুবিধা-অসুবিধা আছে৷ আমি আশা করি নির্বাচন কমিশন এই ব্যাপারে খেয়াল রাখবে৷ তবে আমার মনে হয় শিলিগুডি়তে অনেক শান্তিপূর্ণভাবে ভোট হয়৷ এবারও তাই হবে বলে মনে হয়৷”
তৃণমূল নেতা গৌতম দেব বলছেন, “আমরা তো এক দফায় ভোট চেয়েছিলাম৷ কিন্ত্ত, ভোটটা সাত দফায় হচ্ছে৷ ইলেকশন কমিশনের নির্দেশ তো মানতেই হবে৷ শিলিগুড়ির ১৪টি ওয়ার্ড জলপাইগুডি় লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে৷ কিন্ত্ত, প্রশাসনিক দিক থেকে ওয়ার্ডগুলি শিলিগুডি় পুরনিগম দেখে৷ যদি কমিশন প্রথম দফায় জলপাইগুড়ির সঙ্গে দার্জিলিংকে যোগ করে দিত তাহলে একবারেই ভোট হয়ে যেত৷” পাল্টা খোঁচা দিয়ে শঙ্কর ঘোষ বলছেন, “গৌতমবাবুদের অনেক ইচ্ছা আছে৷ ওঁনারা দাবি করতেই পারেন যে নির্বাচন কমিশনের পদে তৃণমূলের কাউকে বসানোর৷ তৃণমূল মনোনীত বিচারপতির দাবিও করতে পারেন৷”