ভদোদরা ,৩ নভেম্বর —আর কিছু দিন পরেই গুজরাতে গঠিত হবে নতুন বিধানসভা, নতুন সরকার। তার আগে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে প্রকাশিত একটি রিপোর্টে অস্বস্তিতে পড়ল সে রাজ্যে প্রায় তিন দশক ধরে ক্ষমতায় থাকা বিজেপি। ওই রিপোর্ট বলছে, সে রাজ্যের অধিকাংশ জনপ্রতিনিধি বিধায়ক তহবিলের টাকাই খরচ করতে পারেননি। পাঁচ বছরে বরাদ্দ হওয়া ১,০৭৬ কোটি টাকার মধ্যে ফিরে গিয়েছে ২৭২ কোটি টাকা!
রাজ্য সরকারের কাছে আরও অস্বস্তির কারণ এই যে, যে সমস্ত বিধায়করা তহবিলের অর্থ উন্নয়ন প্রকল্পে খরচ করতে ব্যর্থ হয়েছেন, তাঁদের মধ্যে রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র পটেলও। ঘাটলোদিয়া কেন্দ্রের এই বিধায়ক তাঁর বিধায়ক তহবিল হিসাবে প্রাপ্ত অর্থের ২৭ শতাংশই খরচ করতে পারেননি। আরও খারাপ পরিস্থিতি রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপাণীর কেন্দ্রে। রাজকোট (পশ্চিম) কেন্দ্রে বিধায়ক তহবিলের ৪২ শতাংশ টাকাই খরচ করা হয়নি। শুধু তা-ই নয়, ২০২১ সালে রূপাণীকে মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার পর তাঁর বিধানসভা কেন্দ্রে বিধায়ক তহবিলের কোনও টাকাই খরচ করা হয়নি।
২০১৭ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত, এই পাঁচ বছরে বিধায়ক তহবিলের টাকায় মোদীর রাজ্যে ৯,৮১৫টি উন্নয়নমূলক কাজ হয়েছে। কিন্তু অসম্পূর্ণ থেকে গিয়েছে ৬,৬৮৮টি কাজ। আর মাঝপথেই কাজ থামিয়ে দেওয়া হয়েছে ৫,২১২টি প্রকল্পের। টাকা খরচের বিষয়ে কিঞ্চিৎ এগিয়ে রয়েছেন বিরোধী দল কংগ্রেসের বিধায়করা। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা সুখরাম রাথোয়ার বিধায়ক তহবিলের মাত্র ৮.৩১ শতাংশ টাকা ফিরে যাচ্ছে কেন্দ্রের কাছে।
প্রসঙ্গত, রাজ্যের প্রতিটি বিধায়ক নিজস্ব এলাকায় উন্নয়ন করার জন্য প্রতি বছর দেড় কোটি টাকা পান। এই টাকায় কী ধরনের কাজ হতে পারে, সে বিষয়ে তিনি সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়ে থাকেন। কিন্তু ৫ বছর পর নতুন বিধানসভা গঠিত হলে খরচ করতে না পারা টাকা ফিরিয়ে নেওয়া হয়।