• facebook
  • twitter
Thursday, 21 November, 2024

মহারাষ্ট্রে ভোটে জিততে ২০০০ কোটি খরচ করেছে বিজেপি: উদ্ধব

বিজেপি এবং আরএসএসের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করল উদ্ধবপন্থী শিবসেনা। সেনার মুখপাত্র 'সামনা'য় প্রকাশিত একটি প্রবন্ধে বিজেপির বিরুদ্ধে বড় অভিযোগ তোলা হয়েছে।

মহারাষ্ট্রে ভোট পর্ব সদ্য মিটেছে। ২৮৮টি আসনে ভোট হয়েছে বুধবার। আগামী শনিবার ভোটের ফলাফল। তার আগে বিজেপি এবং আরএসএসের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করল উদ্ধবপন্থী শিবসেনা। সেনার মুখপাত্র ‘সামনা’য় প্রকাশিত একটি প্রবন্ধে বিজেপির বিরুদ্ধে বড় অভিযোগ তোলা হয়েছে।

প্রবন্ধে বলা হয়েছে, এই নির্বাচনে গণতন্ত্রকে ক্ষুন্ন করার চেষ্টা হয়েছিল। দেশের প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী এখানে বারবার প্রচারে এসেছেন। এছাড়াও মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান সহ আরও অনেক রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরাও বিজেপির হয়ে প্রচার সারেন। সরকারি কাঠামোকে ব্যবহার করে নির্বাচনকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করা হয়েছে।

উদ্ধব সেনার অভিযোগ, মহারাষ্ট্রে গণতন্ত্রকে ক্ষুন্ন করার চেষ্টা করা হয়েছিল, কিন্তু মারাঠিরা বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিয়েছে। শিবসেনা বলেছে, নির্বাচনকে গণতন্ত্রের উৎসব বলা হলেও বিজেপি অর্থের উৎসব পালন করেছে। শাসক দল যেভাবে টাকা খরচ করেছে, তা ভালো নয়। ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন বলেছেন, তাঁর ভাবমূর্তি নষ্ট করতে ৫০০ কোটি টাকা খরচ করা হয়েছে। একইভাবে, আমরা যদি মহারাষ্ট্রের দিকে তাকাই, এরা ২০০০ কোটি টাকা খরচ করেছে।

‘সামনা’য় লেখা হয়েছে, নির্বাচনের একদিন আগে কোটি কোটি টাকা বাক্স থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। ভোটের কয়েক ঘণ্টা বাকি থাকার সময় এই পরিমাণ পাওয়া গেছে। এ থেকে স্পষ্ট যে, এরই মধ্যে কোনও কোনও বিধানসভা কেন্দ্রে বিপুল পরিমাণ অর্থ পৌঁছে গিয়েছে। উদ্ধব সেনা নির্বাচন কমিশনকে আক্রমণ করে বলেছে, যেভাবে গণতন্ত্রকে ক্ষুন্ন করা হচ্ছিল, তা বন্ধ করতে নির্বাচন কমিশন কোনও পদক্ষেপ করেনি। নির্বাচন কমিশন কি ঘুমাচ্ছিল?

উদ্ধব সেনা লিখেছে, বিনোদ তাওড়ের কাছে ৫ কোটি টাকা আছে বলে অভিযোগ করা হয়েছিল, কিন্তু নির্বাচন কমিশন কাগজে মাত্র ৯ লক্ষ টাকা দেখিয়েছে। উদ্ধব ঠাকরে গোষ্ঠীর অভিযোগ, প্রতিটি নির্বাচনী এলাকায় বেছে বেছে এমন ভোটারদের বাদ দেওয়া হয়েছে, যাঁরা বিজেপির বিরুদ্ধে ভোট দেওয়ার জন্য পরিচিত। ‘সামনা’য় লেখা হয়েছে, নির্বাচনকে সম্পূর্ণভাবে সাম্প্রদায়িক করার চেষ্টা করা হয়েছে। এরপরেও নির্বাচন কমিশন নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করেছে।