গোয়ালিয়র বিএসএফ অ্যাকাডেমি থেকে রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ দুই মহিলা কনস্টেবল

জোরালো হচ্ছে  গুপ্তচর বৃত্তির অভিযোগ

গোয়ালিয়র, ৭ জুলাই: গোয়ালিয়র বিএসএফ অ্যাকাডেমি থেকে রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ দুই মহিলা কনস্টেবল। যা নিয়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে দেশজুড়ে। বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার কর্তাদের রাতের ঘুম উড়ে গিয়েছে। ওই দুই কনস্টেবলের একজনের নাম আকাঙ্খা নিখা। তিনি মধ্যপ্রদেশের জব্বলপুরের বাসিন্দা। আর অন্যজন সাহানা খাতুন। তিনি বাংলার মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা৷ বিভিন্ন দিক খতিয়ে দেখে প্রাথমিকভাবে গোয়েন্দারা ধারণা করছেন, ওই দুই মহিলা বাংলার মুর্শিদাবাদেই গা ঢাকা দিয়ে থাকতে পারেন। বিষয়টি নিয়ে তৎপর মধ্যপ্রদেশ পুলিশ ও একাধিক কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। আচমকা রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ এই দুই মহিলা কনস্টবলের বিরুদ্ধে গুপ্তচরবৃত্তির আশঙ্কা তীব্র হচ্ছে। সেজন্য ইতিমধ্যেই আন্তর্জাতিক সীমান্ত এলাকার সমস্ত বিএসএফ ইউনিটকে সতর্ক করা হয়েছে৷

গুপ্তচরবৃত্তি নিয়ে গোয়েন্দাদের আশঙ্কা তীব্র হওয়ার অনেকগুলো কারণ রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। কারণ ওই দুই অবিবাহিত মহিলা কনস্টেবল বিএসএফ-এর এটিসি শাখায় কর্মরত ছিলেন৷ যে বিভাগের সঙ্গে সেনাবাহিনীর অস্ত্র ও নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয় সম্পর্কযুক্ত৷ প্রসঙ্গত ৪ মাস আগে বিএসএফ অ্যাকাডেমিতে তাঁদের আলাপ ও বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে। এবিষয়ে গোয়ালিয়র পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নিরঞ্জন শর্মা জানিয়েছেন, দুই মহিলা কনস্টেবল একাডেমির হোস্টেল থেকে আচমকা নিখোঁজ হয়ে যান৷ বিএসএফ-এর কাছ থেকে অভিযোগ পাওয়ার পর বিষয়টি নিয়ে তাঁরা তদন্ত শুরু করেছেন৷ নিখোঁজ হওয়ার সময় তাঁদের দু’জনকে গোয়ালিয়রের রেল স্টেশনে দেখা যায় বলে তদন্তে জানা গিয়েছে। সেখান থেকে তাঁরা প্রথমে দিল্লি হয়ে কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা হন। সেখান থেকে মুর্শিদাবাদে আসেন বলে সূত্রের খবর।


উল্লেখ্য, গত ৬ জুন বিএসএফ অ্যাকাডেমি থেকে নিখোঁজ হয়ে যান তাঁরা৷ ইতিমধ্যে মেয়ের খোঁজ না পেয়ে চিন্তিত আকাঙ্খা নিখার পরিবার। তাঁর মা বিষয়টি জানিয়ে গোয়ালিয়রের বিলুয়া থানায় মেয়ের অপহরণের অভিযোগ দায়ের করেছেন মুর্শিদাবাদের সাহানা খাতুন৷ এই ঘটনার তদন্তে সিট গঠন করেছে মধ্যপ্রদেশ পুলিশ। ওই দুই মহিলা কনস্টেবল অ্যাকাডেমির যে ঘরে থাকতেন, সেখানেও তল্লাশি অভিযান চালানো হয়েছে। উদ্ধার হয়েছে দুজনের মোবাইল ফোন। তবে উদ্ধার হওয়া মোবাইল থেকে কোনও ডেটা উদ্ধার হয়নি। এছাড়া গোয়ালিয়র রেল স্টেশনের সমস্ত সিসিটিভি ফুটেজও খতিয়ে দেখা হয়েছে। সেখানে তাঁদের অপহরণ করার কোনও ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি। উপরন্তু ওই দুই কনস্টেবলকে বহরমপুরের একটি হাসপাতালে দেখা গিয়েছে বলে সূত্রের খবর।