বেঙ্গালুরু ক্যাফে বিস্ফোরণে কাঁথি থেকে গ্রেপ্তার দুই সন্দেহভাজন জঙ্গি

নিজস্ব প্রতিনিধি— বেঙ্গালুরু ক্যাফে বিস্ফোরণ কান্ডের প্রায় দেড় মাস পর বাংলা থেকে গ্রেফতার ২ অভিযুক্ত৷ শুক্রবার ভোরে দুই অভিযুক্ত মুসাভির হুসেন শাজিব এবং আবদুল মাঠিন আহমেদকে কাঁথি থেকে গ্রেফতার করে এনআইএ৷ তল্লাশি অভিযানে কেন্দ্রীয় সংস্থার সঙ্গে ছিল রাজ্য পুলিশের একটি বিশেষ দল৷ তবে শুধু রাজ্য পুলিশ নয়, এনআইএ-র সঙ্গে যৌথভাবে তল্লশি অভিযান চালায় তেলেঙ্গানা, কেরল এবং কর্ণাটক পুলিশের বিশেষ বাহিনী৷

উল্লেখ্য, বেঙ্গালুরুর রামেশ্বরম ক্যাফে বিস্ফোরণ কান্ডের মূল অভিযুক্ত মুজাম্মিল শরিফকে আগেই গ্রেফতার করেছিল ন্যাশানাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি৷ সূত্রের খবর, ধৃতকে জেরা করেই উঠে এসেছিল মুসাভির হুসেন শাজিব এবং আবদুল মাঠিন আহমেদের নাম৷ শুধু তাই নয়, এই দু’জনকেই বেঙ্গালুরুর ক্যাফে বিস্ফোরণ কান্ডের ‘মাস্টার মাইন্ড’ বলে দাবি করে এনআইএ৷ অন্যদিকে তাঁদের খোঁজে কর্ণাটক, তামিলনাড়ু এবং উত্তরপ্রদেশের বেশকিছু জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালায় এনআইএ৷ একই সঙ্গে অভিযুক্তদের খোঁজ দিতে পারলে নগদ ২০ লক্ষ টাকা পুরস্কারের ঘোষণাও করা হয়েছিল এনআইএ’র তরফ থেকে৷ তবে এতকিছুর পরেও তাঁদের খোঁজ মেলেনি৷ অবশেষে খোঁজ মিলল এ রাজ্যের ‘অধিকারী গড়’ নামে পরিচিত পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথি থেকে৷

প্রসঙ্গত, ১ মার্চ দুপুর ১টা নাগাদ বেঙ্গালুরুর ওই ক্যাফেতে বিস্ফোরণ ঘটে৷ ঘটনার জেরে আহত হন ১০জন৷ আহতদের মধ্যে ছিলেন ওই ক্যাফের কর্মীরাও৷ তবে বিস্ফোরণের তীব্রতা কম থাকার কারণে সেই অর্থে প্রভাব পড়েনি৷ ঘটনার দু’দিন পরই তদন্তের ভার নিজের হাতে তুলে নেয় এনআইএ৷ বিস্ফোরণের তদন্তে নেমে মুজাম্মিল শরিফকে গ্রেফতার করে কেন্দ্রীয় সংস্থা৷ ধৃত মুজাম্মিল শরিফকে জেরা করার সময় উঠে আসে মুসাভির হুসেন শাজিব এবং আবদুল মাঠিন আহমেদের নাম৷ সূত্রের খবর, গত ১৩ মার্চ প্রথমে কলকাতার লেনিন সরণির এক হোটেলে গা ঢাকা দেন তাঁরা৷ পরে দীঘাতেও ছিলেন এই দুই অভিযুক্ত৷


অন্যদিকে বেঙ্গালুরু বিস্ফোরণ কান্ডে ‘বাংলা যোগ’ লোকসভা নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক উত্তাপকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে৷ দুই অভিযুক্তের গ্রেফতারির পরেই এ রাজ্যের শাসকদলকে শূলে চড়িয়েছে বিজেপি৷ বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, ‘‘রামেশ্বরম কান্ডের দুই সন্দেহভাজনকে কলকাতা থেকে আটক করেছে এনআইএ৷ হয়তো তাঁরা কর্ণাটকের শিবমোগাই আইসিসি সেলের অংশ’’৷ পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের আমলে বাংলা জঙ্গিদের স্বর্গে পরিণত হয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি৷