নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: লোকসভা নির্বাচনের পর চারটি কেন্দ্রের উপনির্বাচনে সবুজ ঝড়ে ঢেকে গেল গেরুয়া শিবির। আর এই কৃতিত্ব পুরোপুরি রাজ্যের আমজনতাকে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শনিবার বিকেলে মুম্বই সফর সেরে কলকাতায় ফিরে বিমানবন্দরে দাঁড়িয়েই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “সামাজিক দায়বদ্ধতা আরও বেড়ে গেল। বিজেপির চক্রান্ত এবং এজেন্সির ভয় সব কিছু রুখে দিয়েছেন আমজনতা। সমস্ত চক্রান্ত মানুষ রুখে দিয়েছেন। তাই আরও বেশি করে মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে।”
পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, এই জয় একুশে জুলাই-এর শহীদদের উৎসর্গ করা হবে। রায়গঞ্জ, রানাঘাট দক্ষিণ, মানিকতলা এবং বাগদা বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন ঘিরে রাজনৈতিক তৎপরতা ছিল তুঙ্গে। ২০২১ সালে এই তিনটি বিধানসভা কেন্দ্র ছিল বিজেপি-র দখলে। শুধু তাই নয়, ২০২৪ এর লোকসভা নির্বাচনে এই তিনটি কেন্দ্র থেকে বিজেপি এগিয়েছিল। তাই স্বাভাবিকভাবে উপনির্বাচনে কিভাবে এই তিনটি কেন্দ্রে বিজেপি-কে রুখে দেওয়া যায়, তা নিয়ে রণকৌশল কম করেনি শাসক দল। উপনির্বাচন ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই এই তিনটি কেন্দ্রে বাড়তি নজরদারি ছিল তৃণমূলের। পাশাপাশি দেড় বছরেরও বেশি সময় মানিকতলা আসনে নির্বাচন হয়নি।
তবে মানিকতলা কেন্দ্র নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের আস্থা থাকলেও বাকি তিনটি কেন্দ্রে জয় ছিনিয়ে আনতে যথেষ্ট পরিশ্রম করতে হয়েছে। আর তার ফলও হাতেনাতে পেয়েছে শাসক শিবির। মুখ্যমন্ত্রীকে বলতে শোনা যায়, “আগে একটা ছিল, এখন তিনটে যুক্ত হল। চারটি আসনের একমাত্র মানিকতলা আমাদের ছিল। গত ২ বছর কোর্টে কেস করে এখানে ভোট করতে দেয়নি। জেতাটা খুব ভালো জেতা। কৃষ্ণ কল্যাণী এবার রায়গঞ্জে তৃণমূলের টিকিটে জয়লাভ করেন। সে প্রসঙ্গে মমতা বলেন, আমরা জানতাম জিতবে, কিন্তু বিজেপি কংগ্রেসকে টাকা দিয়ে ভোট ভাগাভাগি করে সিটটা হারিয়েছিল। আমি বলি, তুমি দাঁড়াও, তুমি এখানে এমএলএ ছিলে, তোমায় জিততে হবে। এ চ্যালেঞ্জ নিয়েছিল। মানুষ তাঁকে জিতিয়েছেন, তাই আমি কৃতজ্ঞ।”
লোকসভায় রাণাঘাটে বিজেপির জগন্নাথ সরকারের কাছে হারেন মুকুটমণি অধিকারী। এদিন মুকুটমণির জয়ের প্রসঙ্গে তৃণমূল সুপ্রিমো বলেন, “বিজেপি-র এমএলএ ছিল। ও তৃণমূলে জয়েন করার পর টিকিট দেওয়া হয়। বাগদা তাই, ওখানে বিশ্বজিৎ হেরে গেছিল। তবে ও এবার দাঁড়ায়নি। তাই মমতাবালার মেয়ে মধুপর্ণাকে দাঁড় করানো হয়। ও খুব ভালো ফাইট দিয়েছে।”