• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

মা বোনেদের নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য সাসপেন্ড তৃণমূল নেতা

আরজি কর কাণ্ডের আবহে রাজ্য শাসকদল কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। এমতাবস্থায়, এই ধরণের মন্তব্য শাসকদলের ভাবমূর্তিকে নষ্ট করতে পারে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।

অশোকনগরে তৃণমূলের দলীয় কর্মসূচিতে বির্তকিত মন্তব্যে নাম জড়িয়ে পড়ল প্রাক্তন তৃণমূল কাউন্সিলর অতীশ সরকারের। আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদে অশোকনগরের কল্যাণগড় পুরসভা এলাকায় একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। সেই দলীয় কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখার সময়ে ‘মা বোনেদের ছবি বিকৃত করে টাঙিয়ে দেওয়ার’ মন্তব্য করেন তিনি। বিদ্রুপাত্মকভাবে, ওই অনুষ্ঠানের মঞ্চে টাঙানো ব্যানারে লেখা ছিল, ‘মা-বোনেদের সম্মান, আমাদের সম্মান’। সেই ব্যানারের সামনে দাঁড়িয়ে এহেন মন্তব্য প্রকাশ্যে আসার পর রাজনৈতিক মহলে তুমুল বিতর্ক শুরু হয়। মা বোনেদের সম্পর্কে এহেন মন্তব্যের জেরে ইতিমধ্যেই তাকে দল থেকে সাসপেন্ড করেছে তৃণমূল। দলীয় কর্মসূচিতে অতীশের এহেন মন্তব্য নিয়ে সোমবার তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ নিজের এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, ‘যে দলীয় নেতা প্রতিবাদী মা-বোনেদের ছবি সংক্রান্ত বিকৃত মন্তব্য করেছিলেন, তাঁকে চিহ্নিত করে তৃণমূল এক বছরের জন্য সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তিনি আরও জানিয়েছেন তৃণমূল এই ধরনের আচরণকে তীব্র নিন্দা জানায়।’

দলীয় কর্মসূচির মঞ্চ থেকে অতীশ বলেন, ‘আমরা যদি ফোঁস করি, আপনার বাড়ির মা-বোনদের কুৎসা রটিয়ে যদি দরজায় টাঙিয়ে দিয়ে আসি, তা হলে সেই পোস্টার খুলতে পারবেন না। ওই দিন আর বেশি দূরে নেই। আমি এখানে দায়িত্ব নিয়ে বলে গেলাম।’ তিনি আরও বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ফোঁস করতে বলেছেন, সাবধান হয়ে যান। আমরা যদি পাড়ায় পাড়ায় ফোঁস করতে শুরু করি, তবে বাড়ি থেকে বার হতে পারবেন তো?’

দলীয় নেত্রীর কথা মতো ‘ফোঁস’ করতে গিয়েই বিতর্কে জড়ালেন অতীশ। তাঁর এ ধরনের মন্তব্য প্রকাশ্যে আসার পরই রাজ্য-রাজনীতিতে বিতর্ক শুরু হয়ে যায়। কার্যত, আরজি কর কাণ্ডের আবহে রাজ্য শাসকদল কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। এমতাবস্থায়, এই ধরণের মন্তব্য শাসকদলের ভাবমূর্তিকে নষ্ট করতে পারে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ। অন্যদিকে, বালুরঘাটের সাংসদ তথা বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, অতীশের ওই বক্তব্যের অংশ এক্স হ্যান্ডলে পোস্ট করে সেখানে অতীশকে ‘তৃণমূলের গুণধর লুম্পেন বাহিনী’ বলে কটাক্ষ করেছেন।