বিতর্কিত দলীয় কাউন্সিলারের পদ বাতিলের দাবিতে ডিভিশন বেঞ্চে তৃণমূল

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চের নির্দেশ কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ডিভিশন বেঞ্চে গেল তৃণমূল কংগ্রেস।বীরভূমের বিতর্কিত কাউন্সিলর প্রণব করের পদ বাতিলের দাবিতে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে মামলা করল তৃণমূলেরই পরিচালিত সিউড়ি পুরসভা। গত মঙ্গলবার পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকে জানিয়ে পদক্ষেপ শুরু করেছে স্থানীয় নেতারা।

যদিও প্রণব জানান, ‘কর্মী-সমর্থকদের দাবি মতন আমি কলকাতা আদালতে কাউন্সিলরের পদ ফিরে পেতে মামলা করি।সে অধিকার পেয়েছি। রায়ে আমি খুশি। পুরসভা যদি ডিভিশন বেঞ্চে যায় নোটিশ পেলে ফের কর্মীদের সঙ্গে বসব। আবার আইনি লড়াইয়ে যাব কি না ভেবে দেখব।”গত বছর প্রণববাবু শারীরিক কারণ দেখিয়ে সিউড়ি পুরসভার পুরপ্রধান ও কাউন্সিলর পদ থেকে ইস্তফা দেন। নতুন পুরপ্রধান হন উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায়।

তবে প্রণব পদত্যাগ করেই সিউড়ির বিধায়ক তথা দলের কোর কমিটির আহ্বায়ক বিকাশ রায়চৌধুরীর বিরুদ্ধে তোপ দাগতে থাকেন। পুরসভার কাজে বিধায়কের অসযোগিতার অভিযোগ তোলেন। কার্যত দলের বিরুদ্ধে কথা বলার পর, তাঁর কাউন্সিলর পদে ইস্তফাপত্র দ্রুত গ্রহন করে সিউড়ি পুরসভা। কিন্তু পদত্যাগ ফিরিয়ে নিয়ে শুধু কাউন্সিলর থাকতে চেয়ে পুরসভাকে ফের চিঠি দেন প্রণব।


তবে তাঁর আগের পদত্যাগ পত্র গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানায় পুরসভা।কাউন্সিলরের সদস্য পদ খুইয়ে সিউড়ি পুরসভার বিরুদ্ধে এক তরফা সিদ্ধান্তের অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন তিনি। রাজস্থান আদালতের একটি রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে প্রণবকে ফের কাউন্সিলরের পদ ফিরিয়ে দিতে নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। সেই মর্মে সিউড়ির ২০ জন কাউন্সিলরের কাছে হাইকোর্টের চিঠি আসে। নোটিস পেয়ে দুদিন আগে বোর্ড অফ কাউন্সিলের জরুরী ভিত্তিতে বৈঠক বসে। সেখানেই ডিভিশন বেঞ্চে যাওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।

পুরপিতা উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায় বলেন, “ভুল তথ্য দিয়ে পুরসভাকে অপদস্ত করতে হাইকোর্টে যান প্রণববাবু। আমরা সকলে তাই সেই রায় মেনে নিতে পারিনি। ডিভিশন বেঞ্চে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”এদিকে গত মঙ্গলবার লোকসভা নির্বাচনে খারাপ ফলের জেরে সিউড়ি পুরসভার নেতাদের নিয়ে বৈঠকে বসেছিলেন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। ওই বৈঠকে পুরমন্ত্রী স্পষ্ট করে দেন, ‘দলের অনুশাসন, সংগঠন না মানলে দলে থাকা যাবে না। একইসঙ্গে জন সাধারণকে পুর পরিষেবা দিয়ে যেতে হবে।’ তবে কলকাতা টাউন হলে পুরমন্ত্রীর ডাকা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন না প্রণব কর। সে প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “যেহেতু কাউন্সিলর পদ ফিরে পেয়ে নতুন ভাবে যোগ দিইনি তাই নিয়ম অনুসারে ডাক পায়নি।”