নিজস্ব সংবাদদাতা, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা, ২২ জুন: গড়িয়াতে কাউন্সিলর পিন্টু দেবনাথের অফিসে দুষ্কৃতী হামলা। গড়িয়ার স্টেশন সংলগ্ন অঞ্চলের রেল ব্রিজের কাছে ট্যাক্সি স্ট্যান্ডের পাশে এই ঘটনা ঘটে। শনিবার সকাল এগারোটা নাগাদ একদল দুষ্কৃতী ভাঙচুর চালিয়ে অফিসে বসে থাকা অনুগামীদেরও বেধড়ক মারধর করলে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়। পিন্টু দেবনাথ রাজপুর সোনারপুর পুরসভার ১ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর। মারধরের জেরে কাউন্সিলরের অনুগামী তিনজন গুরুতর জখম হন। ঘটনার খবর পেয়ে ছুটে আসে নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশ। জখমদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে। যদিও তৃণমূল কংগ্রেসের ওই কাউন্সিলর পিন্টু দেবনাথ সেই সময়ে অফিসে ছিলেন না।
সূত্রের খবর, অন্যান্য দিনের মতোই রাজপুর সোনারপুর পুরসভার এক নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলরের অফিস সকাল দশটা নাগাদ খুলে গিয়েছিল। কাউন্সিলরের অনুগামীরা ছাড়াও ওয়ার্ডে কিছু মানুষ এসেছিলেন নানা কাজে। হঠাৎই একদল দুষ্কৃতী অফিসে বাঁশ লাঠি নিয়ে ঢুকে পড়ে। প্রথমে টেবিল চেয়ার ভেঙে দেওয়ার পর অফিসে বসে থাকা অনুগামীদেরও মারতে শুরু করে। হেনস্থার হাত থেকে রেহাই পায়নি মেয়েরাও। প্রকাশ্য দিবালোকে জনবহুল এলাকায় কাউন্সিলরের অফিসে আক্রমণ, ভাঙচুর, মারপিটের ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক আতঙ্ক ছড়ায়।
জানা গিয়েছে, যারা হামলা চালিয়েছে, তারাও তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী বলে পরিচিত। তারা একসময় রাজপুর সোনারপুর পুরসভার ১ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলরের অনুগামী ছিল। সম্প্রতি কাউন্সিলরের সঙ্গে তাদের মনোমালিন্য চলছে। কারণ, অফিসে আক্রমণকারী দলটি রামকৃষ্ণপুর জলপোল এলাকায় নাকি অসামাজিক কাজকর্ম করছিল। ওখানকার মানুষ কাউন্সিলরকে তা জানালে, তিনি সে সব কাজ সম্পর্কে বিরত থাকতে বলেন। এরপরই দলটি ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। তাদের দাবি, কাউন্সিলরের অফিসে যখন তাঁদের আসা বন্ধ হচ্ছে, তখন অন্যরাও বসবে না। সেজন্য যাঁরা বসেছিলেন তাঁদেরকে গিয়ে মারধর করে কাউন্সিলরের এক সময়ের অনুগামী এই দল। ঘটনায় বিকেল পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হয়নি। অফিসের ভেতরে ও বাইরে থাকা সিসিটিভির ফুটেজ দেখে পুলিশ বিষয়টির তদন্ত শুরু করেছে।