নিজস্ব সংবাদদাতা, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা, ১২ জুন– ভোট পরবর্তী হিংসার জেরের কবলে এবার তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী। মঙ্গলবার বিকেলে পাথরপ্রতিমার দক্ষিণ গঙ্গাধরপুর গ্রামের সমবায় সমিতিতে লোকসভার ভোটের পর্যালোচনা বৈঠক চলছিল। সূত্রের খবর, অনেকের সাথে ঐ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের পাথরপ্রতিমা ব্লকের সম্পাদক ও অঞ্চল সভাপতি মহিম মোল্লা। বৈঠক চলাকালীন তিনি একবার বাইরে বেরোলে মনিরুদ্দিন হালদার নামে এক দুষ্কৃতী ধারালো অস্ত্র নিয়ে মহিম মোল্লার ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে কোপাতে শুরু করে। মহিমের চিৎকারে তৃণমূল কংগ্রেসের অন্যান্য কর্মীরা এসে মহিমকে উদ্ধার করে। ধাওয়া করে ধরে ফেলে মনিরুদ্দিন হালদারকে। ঢোলা হাট থানার পুলিশ মনিরুদ্দিনকে গ্রেফতার করে। মনিরুদ্দিন নাকি আইএসএফ-এর কর্মী। অভিযোগ অস্বীকার আইএসএফ-এর। তৃণমূলের নিজেদের মধ্যেই গন্ডগোলের জেরে এই হামলা বলে মনে করেন আইএসএফ-এর স্হানীয় নেতৃত্ব।
ভোট পরবর্তী হিংসার জেরে এই হামলা, নাকি ব্যক্তিগত কোনও কারণে আক্রমণ, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। এ বিষয়ে মথুরাপুর লোকসভার সদ্য জয়ী তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ বাপি হালদার সংবাদ মাধ্যমে জানান, জখম মহিম আই এস এফ করত। ভোটের আগে আই এস এফ-এর বেশ কিছু কর্মী সমর্থক নিয়ে তৃণমূলে যোগ দেন। এই হামলার ঘটনা তার বদলা হতে পারে। এ প্রসঙ্গে আই এস এফ-এর কথায়, তৃণমূল কংগ্রেসের কাউকে অন্য কেউ মারতে যাবে না। ওরা নিজেরাই নিজেদের মধ্যে নানা প্রকল্পের টাকার ভাগ বাটোয়ারা একশো দিনের কাজের টাকার লুটের ভাগ নিয়ে একে অপরকে মারবে। যত দিন যাবে মানুষ সব বুঝতে পারবে। এদিন গুরুতর জখম মহিম মোল্লাকে দেখতে আসেন মথুরাপুরের সাংসদ বাপি হালদার।