• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

গাড়ি ভাঙচুর থেকে ট্রেন অবরোধ, বুধে উত্তপ্ত হয় বারাসত

কোনওভাবেই ট্রেন পরিষেবা বন্ধ রাখা যাবে না

বুধবার বিজেপির ডাকা রাজ্যব্যাপী ১২ ঘন্টার বনধে উত্তাল হয়ে ওঠে শহর কলকাতা তথা গোটা রাজ্য। বনধের ব্যাপক প্রভাব পড়ে উত্তর ২৪ পরগনা জেলা সদর বারাসতেও। বুধের সকালে গাড়ি ভাঙচুর থেকে ট্রেন অবরোধ, সবমিলিয়ে বিজেপির কর্মী-সমর্থকদের বনধ সফলের তৎপরতায় উত্তাল হয়ে ওঠে বারাসত। বারাসত স্টেশনে এদিন ট্রেন অবরোধ করেন বিজেপির কর্মী-সমর্থকেরা। প্রত্যাশিত ভাবেই, তৃণমূল কংগ্রেস সেই অবরোধকে মানতে নারাজ। শাসকদলের দাবি, কোনওভাবেই ট্রেন পরিষেবা বন্ধ রাখা যাবে না।

এদিকে শাসকদলের বক্তব্যে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে বিজেপি কর্মীরা লোকাল ট্রেনের ইঞ্জিন বেয়ে উপরে উঠে পড়েন, যাতে ট্রেন চলতে না পারে। বারাসত রেল স্টেশনেও তৈরী হয় ধুন্ধুমার পরিস্থিতি। বারাসত রেল স্টেশনে ট্রেনের সামনে দাঁড়িয়ে পড়েন বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা। তবে বিজেপির এই রেল অবরোধ দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। এই অবরোধের মাঝেই বারাসত পৌরসভার দশ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর দেবব্রত পালের নেতৃত্বে তৃণমূল কংগ্রেসের একটি মিছিল এসে পৌঁছায়। দেবব্রত পাল দাবি করেন, পাঁচ মিনিটে অবরোধ তুলে ট্রেন সচল রাখতে হবে। পরিস্থিতি সামাল দিতে এরপর ময়দানে নামে পুলিশ বাহিনী ও জিআরপি। অবশেষে পুলিশি তৎপরতায় এবং তৃণমূল পৌরপিতার কড়া হুঁশিয়ারিতে বিজেপি কর্মীরা পিছু হটতে বাধ্য হন।

প্রসঙ্গত, আরজিকর কাণ্ড ও মঙ্গলবারের ছাত্রসমাজের নবান্ন অভিযানে পুলিশি লাঠিচার্জের প্রতিবাদেই বুধে রাজ্যজুড়ে ১২ ঘণ্টা বনধের ডাক দেয় বিজেপি। সকালেই বনধ পালন ঘিরে উত্তেজনা ছড়ায় বারাসতের চাঁপাডালি মোড়ে। দোকানিদের জোর করে দোকান বন্ধ করিয়ে দেওয়া হয় বিজেপির তরফে। গাড়িও আটক করে ভাঙচুর চালায় বিজেপি কর্মীরা। অভিযোগ, একাধিক বাস-ট্রাকের চাবি কেড়ে নেয় বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা। এমনকি গাড়ি ভাঙচুর পর্যন্ত করেন বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা। এর জেরে মাঝ রাস্তাতেই আটকে পড়ে বাস-ট্রাক। বারাসত শহর জুড়ে বিপর্যস্ত হয় যান চলাচল। চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয় সাধারণ মানুষকে। এইভাবেই তৃণমূল-বিজেপির খন্ডযুদ্ধ দফায় দফায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বারাসত।