• facebook
  • twitter
Sunday, 8 September, 2024

নিজের যত্ন নেওয়াই আজকের অঙ্গীকার

হীরক কর  আজ ২৪ শেষ জুলাই। আজ আন্তর্জাতিক সেলফ কেয়ার ডে। নিজের যত্ন নিজে নেওয়ার দিন। আমরা আশেপাশের পরিবারের মানুষের যত্ন নিলেও নিজের যত্ন নিয়ে উঠতে পারি না। অথচ, নিজের যত্ন নেওয়া দৈনন্দিন রুটিনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। ভালো থাকতে নিজেকে ভালবাসা, নিজের শরীর ও মনের যত্ন নেওয়া খুব গুরুত্বপূর্ণ। তাই আমাদের স্বাস্থ্যকর জিনিসগুলোর সম্পর্কে সচেতন

হীরক কর 

আজ ২৪ শেষ জুলাই। আজ আন্তর্জাতিক সেলফ কেয়ার ডে। নিজের যত্ন নিজে নেওয়ার দিন। আমরা আশেপাশের পরিবারের মানুষের যত্ন নিলেও নিজের যত্ন নিয়ে উঠতে পারি না। অথচ, নিজের যত্ন নেওয়া দৈনন্দিন রুটিনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। ভালো থাকতে নিজেকে ভালবাসা, নিজের শরীর ও মনের যত্ন নেওয়া খুব গুরুত্বপূর্ণ। তাই আমাদের স্বাস্থ্যকর জিনিসগুলোর সম্পর্কে সচেতন হওয়া জরুরি। ব্যস্ত জীবনে আলাদা ভাবে নিজের জন্য সময় বার করা কঠিন, কিন্তু ছোট ছোট কাজ একান্তই নিজের ভাল থাকার জন্য করা খুব দরকার। তাতে মন শান্ত হবে, কাজের ইচ্ছে বৃদ্ধি পাবে, তাই সপ্তাহের একদিন অন্তত নিজের যত্ন নিন। নিজের ভালো লাগার কাজগুলো করুন।

আন্তর্জাতিক স্ব-যত্ন, অর্থাৎ মন-শারীরিক সুস্থতা দিবস ২০২৪-এর থিম হল ” হোলিস্টিক ওয়েলনেস: মাইন্ড, বডি, এবং সোল ” ।‌ যা মন, শরীর এবং আত্মার মধ্যে ভারসাম্য অর্জনের ওপর গুরুত্ব দেয় । জোর দিয়ে নিজের সামগ্রিক স্বাস্থ্য এবং জীবনীশক্তি বাড়ানোর ওপর দৃষ্টি আকর্ষণ করে। বিশেষজ্ঞদের মতে, আত্ম-যত্ন সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ এবং সেটাই আপনার মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন নেওয়ার প্রথম পদক্ষেপ।

প্রতি বছর ২৪শে জুলাই স্ব-যত্নের গুরুত্বের উপর জোর দেওয়ার জন্য পালিত হয় “বিশ্ব স্ব-যত্ন দিবস” । এটি চব্বিশ ঘন্টা নিজের যত্ন নিজে করার দিন যা মানুষকে নিজের মঙ্গলকে অগ্রাধিকার দিতে উৎসাহিত করে।
স্ব-যত্নের ধারণাটি প্রথম বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা “হুঁ” দ্বারা ১৯৮৩ সালে স্বীকৃত হয়েছিল। সংক্ষেপে, স্ব-যত্ন হল , -স্বাস্থ্যসেবা।

আন্তর্জাতিক স্ব-যত্ন ফাউন্ডেশন ২০১১ সাল থেকে আন্তর্জাতিক স্ব-যত্ন দিবস পালন করা শুরু করে। স্ব-যত্নের ইতিবাচক প্রভাব সম্পর্কে সচেতনতা ছড়িয়ে দেওয়া ও স্বাস্থ্যকর জীবনধারার লক্ষ্য নিয়ে এই দিনটি পালন করা হয়।

স্ব-যত্ন হল আমাদের নিজের স্বাস্থ্য এবং সুখের জন্য নিজেই দায়িত্ব নেওয়া। আমাদের প্রয়োজনগুলোর গুরুত্ব স্বীকার করা । এবং সেই চাহিদাগুলো পূরণ করার জন্য নিজেই সচেতন হওয়া।

স্ব-যত্নের ফলে আমাদের দৈনন্দিন স্ট্রেসের মাত্রা উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেতে পারে। প্রকৃতিতে হাঁটা, যোগব্যায়াম করা বা প্রিয়জনের সাথে সময় কাটানো যে ভাবেই হোক না কেন করা যেতে পারে। এ গুলো দৈনন্দিন জীবনের উত্তেজনা এবং চাপ কমাতে সহায়তা করে।

স্ব-যত্নকে অগ্রাধিকার দেওয়া মানেই আমাদেরকে উন্নত শারীরিক স্বাস্থ্যের দিকে নিয়ে যায় । নিয়মিত ব্যায়াম, সুষম পুষ্টি, এবং পর্যাপ্ত বিশ্রাম এবং ঘুম হল আত্ম-যত্নের অপরিহার্য দিক। যা আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে পারে এবং আমাদের শারীরিক শক্তির মাত্রা বৃদ্ধি করতে পারে।

আমাদের কত ঘন ঘন বা কতটা স্ব-যত্ন প্রয়োজন তার কোনো নির্দিষ্ট সূত্র নেই। তবে আমাদের রুটিনে একটি স্ব-যত্ন দিবস নিশ্চিত করা অত্যাবশ্যক। মূল বিষয় হল আপনার নিজের শরীরের কথা নিজে শোনা । বিশ্রাম ও যত্নের জন্য শারীরিক সংকেতগুলোতে সাড়া দেওয়া। তাই অন্তত একটা দিন নিজের সঙ্গে নিজে সময় কাটান। বাইরে যান এবং প্রকৃতি উপভোগ করুন। কিছু শারীরিক ব্যায়াম করুন। একটি ভাল রাতের ঘুমকে অগ্রাধিকার দিন। এক  দিনের জন্য ডিজিটাল দুনিয়া থেকে আনপ্লাগ হন। মোবাইল অথবা ল্যাপটপ ঘাঁটা বন্ধ করুন। একটি হলেও বই পড়ুন।

পরিবার বা বন্ধুদের সাথে সময় কাটান।ধ্যান বা মননশীল শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম অনুশীলন করুন। তবেই “বিশ্ব স্ব-যত্ন দিবস”-এ আপনি থাকবেন নিজের প্রতি নিজে সচেতন। এই ভাবেই সকলেই যদি নিজ নিজ স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতন থাকেন, তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য ঠেকায় কে ? তাই, আজ নিজেকে সুস্থ রাখার অঙ্গীকার করার দিন।