নাম না করে নিশানা শুভেন্দুকে
নিজস্ব প্রতিনিধি– বৃহস্পতিবার পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্বাচনী জনসভা ছিল৷ গত বিধানসভা নির্বাচনে নন্দীগ্রামে শুভেন্দু অধিকারীর কাছে হেরে গেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তবে সেই ফল নিয়ে বিতর্ক এখনও চলছে৷ লোডশেডিং করিয়ে বিজেপি ভোটগণনায় কারচুপি করেছিল বলে অভিযোগ রয়েছে তৃণমূল৷ এই ইসু্যর জল গডি়য়েছে কলকাতা হাইকোর্টেও৷ চলতি লোকসভা ভোটের মাঝে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই প্রসঙ্গে বদলা নেওয়ার কথা বললেন! নাম না নিয়ে নিশানা করলেন অধিকারী পরিবারকে৷ বৃহস্পতিবার তমলুকে ভোট প্রচারে এসেছিলেন তৃণমূল নেত্রী৷ দলীয় প্রার্থী দেবাংশু ভট্টাচার্যের হয়ে বক্তব্য রাখতে গিয়ে সেই নন্দীগ্রামের ভোট প্রসঙ্গ টেনে মমতা বলেন, ”আমার সঙ্গে প্রতারণা হয়েছে৷ রিগিং করা হয়েছে৷ সেদিন বদলানো হয়েছিল, লোডশেডিং করেছিল জিতেছিল৷ আজ নয় কাল, এর বদলা নেবই আমি৷ চিরকাল বিজেপি থাকবে না৷ তাই বদলা নিয়েই ছাড়ব৷” কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনকেও আক্রমণ করেছেন মমতা৷ সাফ বলেছেন, বিজেপি তাঁদের সাহায্যেই ডিএম-এসপি, আইসি সব বদলে দিয়েছিল৷ পরে লোডশেডিং করে ফল পাল্টানো হয়েছিল৷ নন্দীগ্রাম নিয়ে কথা বলার সময়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কারও নাম নেননি৷
তবে হাবেভাবে বুঝিয়ে দেন তিনি কাকে নিশানা করছেন৷ কারণ তৃণমূল নেত্রী বলেন, ”চিরকাল ইডি-সিবিআই কোলে রাখবে না৷ এনআইএ, ইনকাম ট্যাক্সও পাশে থাকবে না৷ বদলা হবেই৷ কীভাবে বদলা নেব তা আগামী দিন পথ দেখাবে৷” তমলুকের সভামঞ্চে দাঁডি়য়ে অনেকবারই নাম না করে শুভেন্দু অধিকারী এবং শিশির অধিকারীকে ‘গদ্দার’ বলে সম্বোধন করেন মমতা৷ নিজেদের কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি এখন সেগুলি বাঁচাতে বিজেপির কাছে গেছে তাঁরা, এমনই দাবি করেন তিনি৷ মমতার সংযোজন, ”আমি না থাকলে দিঘা-তমলুক কিছুই হত না৷ এতদিন তো বাপ-ব্যাটা ছিল, কোন কাজটা করেছে ১০ বছর?” পরোক্ষে শুভেন্দুকে চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ করে মমতা বলেন, ”যতদিন আমাদের মন্ত্রী ছিল যা পেরেছে তা করে খেয়েছে৷ লুটে নিয়েছে৷ আমি খাতা খুলছি না, জনগন দেখবেন৷ ”তৃণমূল কংগ্রেসের জন্মলগ্নের কথা সকলকে মনে করিয়ে দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ জানান, যখন দল তৈরি হয় ‘বাপ-ব্যাটা’ কেউই ছিল না৷ ওঁরা তখন কংগ্রেসের হয়ে দাঁডি়য়েছিলেন, এবং তখন তারা তৃতীয় হয়েছিল৷ তাঁর হাত ধরে জেতার আগে শুভেন্দু যে বহুবার নির্বাচনে হেরেছেন, সেই কথাও মনে করিয়ে দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷