আরজিকর মেডিক্যাল কলেজে ভাঙচুরের ঘটনায় পুলিশের ব্যর্থতার দায়ে ৩ আধিকারিককে সাসপেন্ড করা হল। এই তিনজনের মধ্যে দুইজন অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার এবং একজন ইন্সপেকটর।কলকাতা পুলিশের ওই তিন আধিকারিক হলেন এ সি রমেশ রায় চৌধুরী, এ সি সাকির হোসেন সরদার ও ইন্সপেক্টর রাজেশ মিঞ্জ।
১৪ আগস্ট আর জি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে সেদিন ‘রাত দখল’ কর্মসূচি পালিত হয়েছিল শহরে। মধ্যরাতে শহরের রাস্তায় তখন প্রতিবাদী মহিলাদের ঢল নামে। তখন আর জি কর-এ ঢুকে রীতিমতো তাণ্ডব চালায় একদল দুষ্কৃতী। কোথাও বেড, কোথাও আইসিইউ, কোথাও ফ্রিজ, কোথাও এমআরআই মেশিন ভেঙে গুঁড়িয়ে হয়। ঘটনার সময় আর জি কর-এর নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন যে ৩ পুলিস আধিকারিক, তাঁদেরকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।
এই ঘটনা নিয়ে কলকাতা পুলিস কমিশনারের বক্তব্য ছিল, ‘স্বতঃস্ফূতভাবে লোক এসেছিল। নির্দিষ্ট কোনও নেতা ছিল না। ফলে কত লোক আসবে, সেটা বোঝা সম্ভব ছিল না। আমরা ফেসবুকে পেজে ছবি পোস্ট করেছি, ভিডিয়ো-ও পোস্ট করেছি। যেকোনও লোক আমাদের তথ্য দিতে পারে। গ্রেফতারির ক্ষেত্রে রাজনীতিং রং দেখা হবে না। আপনি যদি জানেন যে, এই লোকটি উপস্থিত ছিল, সে যেকোনও রাজনৈতিক দলের হতে পারে, আমরা ব্যবস্থা নেব।’
প্রসঙ্গত এর আগে, আর জি কর-এ ভাঙচুরের ঘটনার ভিডিও দেখিয়েছিলেন কলকাতা পুলিস কমিশনার বিনীত গোয়েল। সেসময় সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি বলেছিলেন, ‘সেদিন রাত্রিবেলায় রাত দখলের কর্মসূচি ডাকার পরে বহু জায়গায় অনেক মানুষের জমায়েত হয়েছিল। আমরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও মহিলাদের নিরাপত্তার জন্য ব্যবস্থা নিয়েছিলাম। ডিভিশনাল ডিসি নিজে ছিলেন। সারারাত শহরের সর্বত্রই বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছিল। সকলকেই চূড়ান্ত সতর্কভাবে পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে বলা হয়েছিল।’