নিজস্ব প্রতিনিধি— লোকসভা নির্বাচনে বাংলাকে নিয়ে অনেক কথা হলেও কিন্ত্ত বিজেপির কাছে বাংলার গুরুত্ব ঠিক কতটা, তা নিয়ে প্রশ্নের অবকাশ থেকেই যায়৷ বাংলাকে পাখির চোখ করে এগোতে চাইছে বিজেপি৷ তৃণমূলও নিজেদের আধিপত্য জানান দিতে ব্যস্ত৷ এমনই এক আবহে প্রথম দফায় ভোটগ্রহণ হবে ১৯ এপ্রিল৷ লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে বিজেপি ইস্তহার কমিটি ঘোষণা করল৷ কিন্ত্ত সেই কমিটিতে ঠাঁই হয়নি বাংলার কোনও নেতার৷ এই বিষয়টিকে সামনে রেখে রীতিমতো সুর চড়িয়েছে তৃণমূল৷ এই প্রসঙ্গে সমাজমাধ্যমে পোস্ট করে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষে কুণাল ঘোষ বলেন, ‘গত দশ বছরে মোদির মন্ত্রিসভায় বাংলা থেকে কোনও পূর্ণমন্ত্রীও ছিল না৷ এখন বিজেপির নির্বাচনী ইস্তাহার কমিটিতে বাংলার কেউ নেই৷ এটাই বিজেপির বাংলার প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি৷’ কুণালের খোঁচা, আসন্ন নির্বাচনে রাজ্যে তাঁদের কী আবস্থা হবে, তা আগে থেকেই বুঝিয়ে দিয়েছে গেরুয়া শিবির৷ তাই বাংলাকে এইভাবে বাদের খাতায় রাখা হয়েছে৷
উল্লেখ্য, বিজেপির ২৭ জনের এই ইস্তাহার কমিটির নেতৃত্বে রয়েছেন রাজনাথ সিং৷ আহ্বায়ক হিসেবে আছেন নির্মলা সীতারমণ এবং সহ আহ্বায়ক হিসেবে রয়েছেন পীযূষ গোয়েল৷ এছাড়া অসম, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়, গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রীরা এই কমিটিতে থাকলেও পশ্চিমবঙ্গের কানও নেতাকে কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি৷ উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথও ইস্তহার কমিটিতে জায়গা পাননি৷ বিজেপির ইস্তহার কমিটিতে তারিক মনসুর ও অনিল অ্যান্টনি জায়গা পেয়েছেন৷ এই প্রসঙ্গে কুণাল ঘোষ বিজেপিকে কাঠগড়ায় তুলে সমাজমাধ্যমে লেখেন, গত লোকসভা ভোটে বিজেপি পশ্চিমবঙ্গে ১৮টি আসন জিতেছিল৷ এবারের ভোটে অমিত শাহরা ২৫টি আসন জেতার লক্ষ্যমাত্রা দিয়েছেন দলের নেতৃত্বকে৷ ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটে কাঙিক্ষত ফলাফল করতে পারেনি বিজেপি৷ ফলে বিজেপির বাংলাকে ঘিরে যে রণকৌশল থাকুক না কেন, ইস্তাহার কমিটিতে বঙ্গবিজেপির কোনও নেতার স্থান না হওয়ায় আলোচনা শুরু হয়ে গিয়েছে৷ যদিও বিজেপির তরফে ব্যাখ্যা, সবাইকে কমিটিতে রাখতে হবে, তার কোনও মানে নেই৷