• facebook
  • twitter
Thursday, 19 September, 2024

গান্ধিজিকে নিয়ে আমাদের টানাপোড়েনের আজও যেন শেষ নেই

বরুণ দাস মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধিকে নিয়ে আমাদের টানাপোড়েনের আজও যেন শেষ নেই, একথা স্বীকার করতে কোনও দ্বিধা নেই৷ কারণ বাস্তব পরিস্থিতিই এই টানাপোড়েনের জন্ম দিয়েছে নিঃসন্দেহে৷ স্বাধীনতার আগে তো বটেই, পরেও তাঁকে নিয়ে বিতর্ক-বিড়ম্বনার ঢেউ চলছে এবং এই ঢেউ সহসা থেমে যাওয়ারও নয়৷ একদল মহাত্মাজিকে নিয়ে যেমন পুজো করেন তো অন্যদল তাঁকে ‘দুরাত্মা’ বলতেও কুণ্ঠিত

বরুণ দাস

মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধিকে নিয়ে আমাদের টানাপোড়েনের আজও যেন শেষ নেই, একথা স্বীকার করতে কোনও দ্বিধা নেই৷ কারণ বাস্তব পরিস্থিতিই এই টানাপোড়েনের জন্ম দিয়েছে নিঃসন্দেহে৷ স্বাধীনতার আগে তো বটেই, পরেও তাঁকে নিয়ে বিতর্ক-বিড়ম্বনার ঢেউ চলছে এবং এই ঢেউ সহসা থেমে যাওয়ারও নয়৷ একদল মহাত্মাজিকে নিয়ে যেমন পুজো করেন তো অন্যদল তাঁকে ‘দুরাত্মা’ বলতেও কুণ্ঠিত নন! কে ঠিক আর কে বেঠিক, তার তুল্যমূল্য বিচার-বিশ্লেষণও এই উত্তর সম্পাদকীয় নিবন্ধের লক্ষ্য নয়৷

কিন্ত্ত পাশাপাশি একথাও সত্যি যে, তাঁকে কোনওভাবে মুছে ফেলাও সম্ভব নয়৷ তিনি আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে আছেন এদেশের মাটি ও মানুষের সঙ্গে৷ ফলে তাঁকে বিচ্ছিন্ন করার চেষ্টা হয়তা কোনওদিনই সফল হবে না৷ তাঁকে সমালোচনা বা নিন্দামন্দ করা যায় কিন্ত্ত কোনওভাবেই অস্বীকার করা যায় না৷ আর যায় না বলেই তিনি আজও দিব্যি দাঁড়িয়ে আছেন আমাদের মধ্যেই৷ মহানগরের ব্যস্ত রাস্তার মোড়ে লাঠি হাতে নয়, কিংবা তাঁর প্রিয়জন জওহরলাল নেহরুর সঙ্গে আলোকচিত্রে নয়, তিনি আছেন আসলে…
তাহলে কোথায় আছেন তিনি? এর উত্তরে বলতে হয়, তিনি আছেন আমাদের অনেকের মানসলোকের প্রত্যন্ত প্রদেশে৷ যে প্রত্যন্ত প্রদেশ থেকে কাউকে ঠেলে দূরে সরিয়ে দেওয়া যায় না৷ নিভৃতলোকে তাঁকে আগলে রেখেছেন তাঁর অনুগামীরা৷ এই ‘অনুগামী’দের আপনি হয়তো ‘অন্ধ’ বলতে পারেন, ‘অজ্ঞ’ বলতে পারেন কিন্ত্ত অস্বীকার করতে পারেন না৷ কারণ এঁদের অনেকেই কিন্ত্ত সমাজের জন্য নিবেদিত প্রাণ! যে অশেষ শ্রদ্ধা, যে গভীর ভালবাসা তিনি পান, তাকে কোনও মতেই ফুৎকারে উড়িয়ে দেওয়া যায় না৷

তবে মহাত্মাজির কোনও কোনও অনুগামীদের নিয়ে বিতর্ক হতেই পারে৷ কারণ অনেক অনুগামীর যাপনচিত্রের সঙ্গে মহাত্মাজির জীবনের কোনও সাদৃশ্যই নেই৷ তাঁর জীবতকালেও এটা দেখা গেছেয মৃতু্যর পরও দেখা গেছে৷ যেমন কেবল জপমালা হাতে নিয়ে ঘুরলেই বৈষ্ণব-ভক্ত হওয়া যায় না, যাপিত জীবনের প্রতিটি পদক্ষেপও বৈষ্ণব-ভাবধারায় গড়ে তুলতে হয়৷ ঠিক তেমনই কেবল খদ্দর পরলে ও চরকা কাটলে গান্ধি-ভক্ত হওয়া যায় না, গান্ধিজির অনুগামী হতে গেলে তাঁর আদর্শকে মাথায় নিয়ে চলতে হয়৷

ওই আদর্শের সঙ্গে আপস করলে চলবে না৷ কী তাঁর আদর্শ? অহিংসা, ত্যাগ, সত্য ও ব্রহ্মচর্য৷ রবীন্দ্রনাথের কথায় বলতে হয়, ‘ভাল-মন্দ যাহাই আসুক, সত্যেরে লও সহজে৷’ কিন্ত্ত আমাদের আপশোস, তাঁর জীবিতকালেই তাঁর অনুগামীদের অধিকাংশই তাঁর জীবনাদর্শ থেকে একশো আশি ডিগ্রিচু্যত হয়েছেন৷ অথচ মুখে তাঁরা সবাই গান্ধিবাদের কথা উচ্চকণ্ঠে উচ্চারণ করেছেন! তাঁর অনুগামীদের এই দ্বিচারিতা গান্ধিজিকেও হয়তো বিড়ম্বিত করে তুলেছিল, কিন্ত্ত তিনি তেমন কোনও প্রতিবাদ করতে পারেননি৷

এখানে উল্লেখ্য, মুখে অনেকেই গান্ধিজির প্রতি লোকদেখানো শ্রদ্ধা-ভক্তি-ভালবাসা উগরে দেন বটে, কিন্ত্ত ব্যক্তিজীবনে এঁদের অনেকেই গান্ধিজির বিপরীত আদর্শে চলেন৷ গান্ধিজির অনেক অনুগামীদের কথায় ও কাজেই কোনও সমন্বয় নেইৎ আপশোস এখানেই৷ কিন্ত্ত তা বলে কি গান্ধিজিকে দোষ দেওয়া যায়? কখনওই নয়৷ অনেকে অবশ্য এজন্য গান্ধিজিকেই দোষারোপ করেন! কিন্ত্ত প্রশ্ন হলো, তিনি কেন তাঁর অসৎ-অনুগামীদের ভণ্ডামির দায় নিতে যাবেন? অবশ্য ব্যতিক্রমী চরিত্রেরও অনেকেই আছেন৷

এঁদের সংখ্যা যদিও অনেক কম৷ সে যুগে এবং এ যুগেও৷ এঁরা গান্ধিজিকে জাতীয় কংগ্রেসের শুধুমাত্র একজন পদহীন রাজনৈতিক নেতা হিসেবেই নয়, প্রকৃত অর্থেই মহাত্মা হিসেবেই জানেন এবং মানেন৷ শ্রদ্ধা করেন৷ তাঁর আদর্শ আঁকড়ে ধরে চলার আপ্রাণ চেষ্টাও করেন৷ এমন কতিপয় গান্ধিভক্তের সঙ্গে এই অর্বাচীন কলমচির পরিচয়ের সুযোগ হয়েছে৷ এঁরা সবাই হয়তো এখন বেঁচে-বর্ত্যে নেই৷ কিন্ত্ত কোনওদিন আপসের পথে হাঁটেননি৷ আমৃতু্য মেরুদণ্ড টান করে চলেছেন৷ এজন্য জীবনে কম মূল্য দিতে হয়নি তাঁদের৷

বলা বাহুল্য, এদেশের নোট ও মুদ্রায় গান্ধিজির ছবি আছে৷ জাতীয় সংসদ থেকে রাষ্ট্রপতি ভবন, প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে কেন্দ্রের প্রশাসনিক কার্যালয়, অন্যান্য মন্ত্রীদের দফতর থেকে সরকারি কার্যালয়— সর্বত্র তাঁর প্রতিকৃতি টাঙানো আছে৷ দেশের প্রধান প্রধান রাস্তার মোড়ে তাঁর বিশাল মাপের মূর্তি স্থাপন করা হয়েছে৷ গুরুত্বপূর্ণ রাস্তার নামকরণও হয়েছে তাঁর নামে৷ তাঁর বাণীও অনেক প্রতিষ্ঠানে বাঁধিয়ে রাখা আছে৷ যেদিকে তাকাই তাঁকে আমাদের চোখে পড়ে৷ ইচ্ছে থাকলেও তাঁকে এড়িয়ে চলার কোনও উপায় নেই৷
আসলে উপায় রাখেননি আমাদের মহামান্য সরকার বাহাদুর৷ স্বাধীনতা দিবস ও প্রজাতন্ত্র দিবসে তাঁকে ‘গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে’ স্মরণ ও বরণ করা হয়৷ এছাড়া ২ অক্টোবর ও ৩১ জানুয়ারি— সরকারি পর্যায়ে তাঁর জন্ম ও মৃতু্যদিন পালন করা হয়৷ রাজধানী দিল্লিতে তাঁর নামাঙ্কিত অনির্বাণ শিখা আজও জ্বলে চলেছে৷ বহু দেশি-বিদেশি গণ্যমান্য ব্যক্তি আজও সেখানে যান তাঁকে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করতে৷ বিশেষ দিনগুলিতে তাঁকে স্মরণ ও শ্রদ্ধা জানাতে ছুটে যান মাননীয় রাষ্ট্রপতি থেকে প্রধানমন্ত্রী৷ এবং কংগ্রেস নেতৃবর্গও৷

এমনকি, যাঁর সঙ্গে তাঁর রাজনৈতিক বিরোধ ছিল তুঙ্গে, ২৩ জানুয়ারির প্রভাতে সেই বীরযোদ্ধা সুভাষচন্দ্র বসুর জন্মদিনেও তাঁর ছবি স্থান পায় নেতাজির ছবির পাশটিতে৷ তাঁর মতো ‘সম্মান ও গুরুত্ব’ খোদ প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুও বোধহয় পান না৷ জাতীয় পর্যায়ে এই ‘প্রাপ্তি’কে কোনওভাবেই হালকা ভাবে মনেে করার কারণ একথা বলাই বাহুল্য৷ সুতরাং তাঁর নিন্দামন্দ করার আগে আমাদের ভেবে একবার অন্ততঃ দেখা দরকার, একটা মানুষ কি আর এমনি এমনি এই পর্যায়ে পৌঁছতে পারে?

তাঁকে নিয়ে তর্ক-বিতর্কের পাশাপাশি চর্চা ও চর্যা বিদেশের মাটিতে চলছে৷ তাঁর সত্যাগ্রহ ও অসহযোগ আন্দোলনের গতি-প্রকৃতি সম্বন্ধে অনেক বিদেশি গবেষণাও করছেন বিদেশের নামিদামি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে৷ বিদেশেও তাঁর নামে গুরুত্বপূর্ণ পথ ও তাঁর মূর্তি স্থাপিত হয়েছে৷ তাঁকে নিয়ে দেশ-বিদেশের এযাবৎ বহু গ্রন্থও লেখা হয়েছে৷ আর বলতে দ্বিধা নেই, এসবই তাঁর জনপ্রিয়তার অনন্য নজির৷ একই সঙ্গে বলা যায়, তাঁর গ্রহণযোগ্যতারও অন্যতম প্রধান দিক৷ এ নিয়ে তাঁর সমালোচকরা যাই বলুন না কেন৷

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, যাঁরা একসময় তাঁর তীব্র সমালোচক ছিলেন, নিন্দামন্দ করেছেন এবং সে কাজ করাটাই তাঁদের রাজনৈতিক কর্মসূচির প্রধান অঙ্গ ছিল, পরবর্তীকালে সেই বিপরীত রাজনৈতিক চিন্তাধারার মানুষরাও (পড়ুন বামপন্থীরা) তাঁর স্মরণ নিয়েছেন৷ তাঁকে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন৷ এমনকি, তাঁর হত্যাকারী হিসেবে যাঁকে আইনিভাবে চিহ্নিত করা হয়েছে, সেই মতাদর্শের রাজনীতিকরা নিজেরে ভুল স্বীকার না করলেও গান্ধিজিকে নিয়ে টানাটানি করেছেন! ‘স্বচ্ছ ভারত’-এর প্রচারকার্যে তাঁর চশমাকে ব্যবহার করছেন৷
অনেকেই জানেন, দেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের লক্ষ্যে যাঁর মত ও পথের জন্য আপসহীন স্বাধীনতা সংগ্রামী সুভাষচন্দ্র বসু ভারতবর্ষ ছেড়ে বিদেশের অনিশ্চিত লক্ষ্যে যাঁর মত ও পথের জন্য আপসহীন স্বাধীনতা সংগ্রামী সুভাষচন্দ্র বসু ভারতবর্ষ ছেড়ে বিদেশের অনিশ্চিত মাটিতে পা বাড়াতে বাধ্য হয়েছিলেন এবং ব্রিটিশকে ধাক্কা দিতে ‘বিতর্কিত বিদেশি শক্তি’র সাহায্য নিয়ে মাতৃভূমির স্বাধীনতা আনতে এগিয়েছিলেন, সেআ গান্ধিজির প্রতি সুভাষচন্দ্র বসুর অগাধ শ্রদ্ধা আমাদেরকে বিস্মিত করে৷ তিনি বলেছিলেন, সবার আস্থা অর্জন করতে পারলেও যতদিন না আমি গান্ধির আস্থা অর্জন করতে পারব, ততদিন নিজেকে সার্থক মনে করব না৷

এখানেই থেমে থাকেননি তিনি৷ আজাদ হিন্দ বাহিনীতে তিনি তাঁর একসময়ের রাজনৈতিক সহকর্মী জওহরলাল নেহরুর পাশাপাশি গান্ধিজির নামেও সেনা ব্রিগেড খুলেছিলেন৷ মতাদর্শের পাহাড়-প্রমাণ ফারাক থাকলেও শ্রদ্ধা ও সম্মান হারাননি গান্ধিজির প্রতি৷ এখানেই গান্ধিজির জীবনের সার্থকতা৷ রাজনৈতিক বিরোধিতা থাকলেও তিনি সুভাষচন্দ্রের শ্রদ্ধা-ভালবাসা হারাননি৷ তিনি সমালোচিত হোন না কেন, গান্ধিজির অনন্যতা এখানেই৷ রাজনীতির জগতে এই উচ্চতায় ক’জন পৌঁচতে পেরেছেন? একমাত্র গান্ধিজি ছাড়া?

রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে গান্ধিজির সখ্যতার কথা আমরা অনেকেই কমবেশি জানি৷ নানা বিষয়ে দু’জনের মধ্যে মতের তীব্র অমিল থাকলেও কেউ কারও প্রতি কখনও অসৌজন্যতা জ্ঞাপন করেননি৷ রবীন্দ্রনাথের বিরোধিতাকে গান্ধিজি যেমন নীরবে মেনে নিয়েছেন, অন্যদিকে রবীন্দ্রনাথও মতপার্থক্য থাকা সত্ত্বেও গান্ধিজির প্রতি প্রাপ্য শ্রদ্ধা দেখাতে কখনও কার্পণ্য করেননি৷ মতান্তর হলেও কখনও মনান্তর হয়নি দু’জনের মধ্যে৷ একসময় ক্লান্ত রবীন্দ্রনাথ শান্তিনিকেতনের ভার গান্ধিজির ওপর দিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন৷ রাজি হননি গান্ধিজি৷

কেন রাজি হননি তিনি? গান্ধিজি কবিগুরুকে স্পষ্টতই জানিয়েছিলেন, তিনি রাজনীতির জগতের লোক৷ শান্তিনিকেতনের মতো একটি ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পরিচালনার ক্ষমতা বা অধিকার তাঁর নেই৷ বরং আর্থিক অনটনের সময় তিনি শান্তিনিকেতনের জন্য ৬০ হাজার টাকা দিয়েছিলেন৷ ভাবতে কষ্ট হয়, এই মহতি মানুষটিকে নিয়ে আমাদের মধ্যে আজও ভুল বোঝাবুঝির শেষ হলো না৷ বলাবাহুল্য, কোনও মানুষই বোধহয় সমালোচনার ঊর্ধ্বে নন৷ এমনকি, গান্ধিজিও নন৷ কিন্ত্ত তাঁর ইতিবাচক দিকগুলো কেন আলোচনায় আনবো না?

এই উত্তর সম্পাদকীয় নিবন্ধের ইতি টানি একটি ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা দিয়ে৷ গত বছরের গোড়ার দিকের কথা৷ কলকাতার একটি দৈনিকে গান্ধিজিকে নিয়ে একটি উত্তর সম্পাদকীয় নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছিল এই কলমচির৷ অনেকের মতোই চোখে পড়েছিল এক পরিচিত সংগীতশিল্পীর৷ তাঁর সঙ্গে দেখা হতেই সে এই অধমকে প্রায় তিরস্কারের ভঙ্কিতে বলেছিল, কী লিখেছ তুমি‘ আর বিষয় পেলে না? শেষকালে গান্ধির গুণগান৷ তোমার সম্বন্ধে আমার এতদিনকার ধারণাই বদলে গেল৷ ছিঃ! এমন তীব্র গান্ধি-বিদ্বেষী মানুষও আছেন৷

ওই পরিচিত সংগীতশিল্পীর তিরস্কারে মোটেই ক্ষুব্ধ হইনি৷ বরং সে নিবন্ধটি খুঁটিয়ে পড়েছে দেখে ভালো লেগেছিল৷ কারণ গান্ধি-সম্পর্কিত নানা বিষয় নিয়েই সে এই পরিচিত কলমচিকে আক্রমণ করে প্রশ্ন করেছিল৷ একটা কথাই সেদিন মনে হয়েছিল, গান্ধিজিকে যতই গালমন্দ করি না কেন, তাঁকে কোনও ভাবেই অস্বীকার করতে পারা যায় না৷ তাই গান্ধিজিকে নিয়ে আলোচনায় প্রবৃত্ত হয়েছিল ওই বন্ধুস্থানীয় সংগীতশিল্পী৷ আর সত্যি বলতে কি, এখানেই বোধহয় গান্ধিজির ‘বিতর্কিত’ এবং ব্যতিক্রমী জীবন ও আন্দোলনের সামগ্রিক সার্থকতা৷