• facebook
  • twitter
Tuesday, 15 April, 2025

ভবানীপুরের তিনটি মণ্ডলেই অবাঙালি সভাপতি, ক্ষোভ বিজেপিতে

ভবানীপুরের অন্তর্গত তিনটি মণ্ডলের একটিতেও বাঙালি সভাপতির নাম ঘোষণা করেনি ভারতীয় জনতা পার্টি। এর জেরে দলের অন্দরেই দেখা দিয়েছে অসন্তোষ।

ফাইল ছবি

ভবানীপুরের অন্তর্গত তিনটি মণ্ডলের একটিতেও বাঙালি সভাপতির নাম ঘোষণা করেনি ভারতীয় জনতা পার্টি। এর জেরে দলের অন্দরেই দেখা দিয়েছে অসন্তোষ। দলের পদ দেওয়ার ক্ষেত্রে অবাঙালিতের প্রতি বিজেপির এই ঝোঁক নিচুতলার কর্মীরা একেবারেই ভালো চোখে দেখছেন না।

উল্লেখ্য, ভবানীপুর মণ্ডল–১ সভাপতি পদে রবীন্দ্র চৌধুরিকে বহাল রাখা হয়েছে। ভবানীপুর মণ্ডল ২–এ টানা চার বারের সভাপতি সঞ্জিত কুমার শর্মাকে সরিয়ে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে শিবসাগর যাদবকে। ভবানীপুর ৩ নম্বর মণ্ডলের সভাপতি করা হয়েছে রাহুল পাণ্ডেকে। এর আগে একমাত্র ৩ নম্বর মণ্ডলেই বাঙালি সভাপতি ছিলেন। তিনি হলেন অশোক গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁকে সরিয়ে মমতার বিধানসভা কেন্দ্রের প্রতিটি মণ্ডলের দায়িত্ব অবাঙালিদের হাতে দেওয়ায় দলের অন্দরেই ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।

ভবানীপুরে বিজেপি নেতা কর্মীরা চাইছেন শুভেন্দু অধিকারীর মতো কোনও বড় ও দক্ষ বাঙালি নেতাকে এই এলাকার দায়িত্ব দেওয়া হোক। কারণ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে লড়াই করতে হলে পরিকল্পনার প্রয়োজন রয়েছে। ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আবহে মুখ্যমন্ত্রীর কেন্দ্রের ৩টি মণ্ডলেই সভাপতি হিসেবে অবাঙালিদের দায়িত্ব দেওয়া ইতিবাচক হবে না বলে ধারণা বঙ্গ বিজেপির একাংশের। অপরদিকে, মণ্ডল সভাপতিদের মধ্যে ভবানীপুর মণ্ডল-১ সভাপতি রবীন্দ্র চৌধুরিকে নিয়ে দলের মধ্যে অসন্তোষ রয়েছে। অভিযোগ, তিনি ভবানীপুর বিধানসভা এলাকার বাসিন্দা নন। তাঁর বাড়ি বালিগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রে। পাশাপাশি ভবানীপুর ৩ নম্বর মণ্ডল সভাপতি পদ থেকে অশোক গঙ্গোপাধ্যায়কে সরানো নিয়ে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। অশোকবাবু অটলবিহারী বাজপেয়ীর জমানা থেকে ভবানীপুর এলাকায় বিজেপির সঙ্গে যুক্ত। তাঁকে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

এ প্রসঙ্গে বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পাল জানিয়েছেন, একটি পদ্ধতি মেনে মণ্ডল সভাপতিদের মনোনয়ন হয়েছে। এর জন্য মণ্ডল থেকে বুথ স্তর পর্যন্ত সকলের মতামত নেওয়া হয়েছে। সভাপতিদের মনোনয়ন নিয়ে নেতা কর্মীদের কোনও বক্তব্য থাকলে তা বসে মিটিয়ে নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন অগ্নিমিত্রা।