সভায় লোক নেই, গাডি় ঘুরিয়ে চলে গেলেন জুন মালিয়া

নিজস্ব সংবাদদাতা, খড়গপুর, ৩০ এপ্রিল— সোমবার সন্ধ্যে সাডে় ছটায় খড়গপুর ১ নম্বর ব্লকের গোপালী বাজারে মন্দির সংলগ্ন ময়দানে ছিল তৃণমূল কংগ্রেসের নির্বাচনী পথসভা৷ খেলাড় অঞ্চলের কাশিজোড়া, কেসুরিয়া হয়ে প্রার্থী জুন মালিয়া সন্ধ্যে সোয়া সাতটা নাগাদ পৌঁছলেন গোপালী৷ কিন্ত্ত মঞ্চের সামনে সাত আট জন মহিলা ছাড়া আর কেউ নেই৷ দূর থেকে সভাস্থল লক্ষ্য করেই জুনের গাডি় থেমে গেল৷ অন্য একটি গাডি় থেকে নেমে সভার আয়োজকদের দিকে এগিয়ে গেলেন বিধায়ক দীনেন রায়, অন্যতম রাজ্য সাধারণ সম্পাদক প্রদু্যৎ ঘোষ, ব্লক সভাপতি অমর চক্রবর্তীরা৷ আয়োজকরা জানালেন, লোক আসতে আরেকটু সময় লাগবে৷ সভার নির্ধারিত সময় ছিল সন্ধে সাডে় ছটা৷ সন্ধ্যে সাতটার পরেও লোক না আসার উপযুক্ত কারণ দেখাতে না পারায় গাডি় থেকে না নেমে জুন চললেন খড়্গপুরের দিকে৷

খড়গপুর ১ নম্বর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি অমর চক্রবর্তী বলেন, এই পথসভার জন্য বুথ স্তরে সেভাবে মিটিং হয়নি৷ প্রস্তুতির এই অভাবের জন্যই লোককে সেভাবে নিয়ে আসা যায়নি৷ প্রার্থী চলে যাওয়ার পরে বিধায়ককে সঙ্গে নিয়ে আমরা সভা করি৷ শাসকদলের এই বিড়ম্বনাকে হাতিয়ার করে গোপালী অঞ্চলের প্রধান, বিজেপি নেতা বিমল দাস বলেন, প্রস্তুতি ছিল না একথা পুরোপুরি ভুল৷ ওই অঞ্চলের আমলাকলায় আগের দিনই বিধায়ক, জেলা সভাপতি মিটিং করেন৷ কিন্ত্ত সেই মিটিংয়েও ১৫-১৬ জনের বেশি লোক হাজির হয়নি৷ আসলে তৃণমূল কংগ্রেসের পায়ের নিচ থেকে মাটি সরে গিয়েছে৷

খেলার অঞ্চলের কেসুরিয়া বা কাশিজোড়ার মতো তপশিলি উপজাতি অধু্যষিত এলাকায় অবশ্য জুন মালিয়ার জন্য মানুষের ঢল নামে৷ যা উৎসাহিত করেছে অমর চক্রবর্তী বা তৃণমূলের এসটি সেলের নেতা পিকু মান্ডিকে৷


অন্যদিকে আয়মার সভায় জুন বলেন, বিজেপির প্রার্থী আগেও লোকসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন৷ আসানসোলে শত্রুঘ্ন সিনহার কাছে তিন লাখ ভোটে হেরেছেন৷ সেই মুখকে ওদের দল প্রার্থী করেছে৷ উনি আসানসোলে বিধায়ক হিসেবে কি কাজ করেছেন আপনারা অবশ্যই জিজ্ঞেস করবেন৷
দুর্গাপূজার ফিতে কাটার জন্য, জলসায় হাজির থাকার জন্য, স্কুলের অনুষ্ঠানে যাওয়ার জন্য জুন মালিয়া টাকা নেন, খড়গপুরের মঞ্চ থেকে এই অভিযোগ করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী৷ সেই প্রসঙ্গে জুন বলেন, আমি যদি টাকা নেই তাতে ওনার কি৷

প্রথমে উনি ওনাকে প্রমাণ দেখাতে বলুন৷ উনি যাহোক কিছু একটা বলে দেবেন আর আমরা শুনে নেব এটা চলতে পারে না৷ শুভেন্দু অধিকারীও একসময় আমাকে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে নিয়ে গিয়েছেন৷