মহিলাদের সরকারে যােগ দেওয়ার আহ্বান তালিবানের, বক্তব্য নিয়ে জল্পনা

প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি (Photo: IANS)

আফগানিস্তানের দখল নেওয়া তালিবান সংগঠনের নয়া বক্তব্যে দোলাচালে গােটা বিশ্ব আফগানবাসীদের দেশ ছাড়ার হিড়িক দেখে তাদের শান্ত করতে বিশেষ বিবৃতি তালিবানদের। ভয়ার্ত অতীতের অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে তালিবানি রাজে আফগান মহিলাদের ভবিষ্যত নিয়েই উদ্বেগে গােটা বিশ্ব।

কিন্তু সমস্ত ধ্যান ধারণার উল্টো পথে হেঁটে তালিবান নেতৃত্ব আফগান মহিলাদের সরকারে যােগদানে আহ্বান জানিয়েছে। কট্টরপন্থী সংগঠনের এহেন রূপে ধন্দে গােটা বিশ্ব। রবিবার নির্বাচিত আফগান সরকারকে উত্থাত করার পর দেশের দখল নিয়েছে তালিবান।

আফগানিস্তানে অতীতে তালিবান শাসনের অভিজ্ঞতার কথা ভেবে হাজার হাজার মানুষ সে দেশ ছাড়তে মরিয়া হয়ে উঠেছে। চলন্ত প্লেনের সঙ্গে দৌড়ে তাঁর চাকা আঁকড়ে দেশ ছাড়ার দুঃসাহসিক প্রচেষ্টায় মরিয়া আফগান যুদের দেখে বােধ হচ্ছে এমন অসহায় মৃত্যুও তালিবানি শাসনের থেকে কম আতঙ্কের।


কিন্তু বছর কুড়ি পরে আফগানের দখল নেওয়া তালিবান। নেতৃত্বের মুখে সামান্য হলেও প্রগতিশীল বক্তব্য শুনে তার বিশ্বাসযােগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। তালিবানের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ক্ষমার পথে হাঁটবে তারা। অকারণে সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক তৈরির কোনও ব্যাপার নেই। মঙ্গলবার দেশে শান্তি বজায় রাখার বার্তা দিয়েছে তালিবানরা।

একইসঙ্গে তালিবান নেতৃত্ব মহিলাদের গৃহবন্দি করার বদলে দেশ চালানােয় অংশগ্রহণ করার আহ্বান জানিয়েছে। তবে তা শরিয়তি নিয়ম মেনেই হবে তাও স্পষ্ট করেছে নেতৃত্ব। অনেকেই বলছেন, এ শুধুই আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখলের আগে মনভােলানাে কথা। তালিবান যা ছিল তাই রয়েছে।

এই প্রসঙ্গে তালিবান মুখপাত্র সুহেল শাহিন এক সাক্ষাৎকারে সংবাদমাধ্যমে বলেছেন, ‘সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে শিখেছে তালিবান। মেয়েরা স্কুল, বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়বে। তারা চাকরিও করবেন। কোনও বাধা থাকবে না।

বরং পড়াশােনার ক্ষেত্রে আমাদের সরকার মেয়েদের আরও এগিয়ে নিয়ে যাবে। আরও ভালাে জায়গায় থাকবেন তারা। তবে শরিয়তি আইন যে মানতেই হবে তা স্পষ্ট করে দিয়েছে তালিবান নেতৃত্ব।

সুহেলের দাবি, হিজাব পরতে হবে। হিজাব মানে শুধুই গােটা শরীর ঢাকা, এমন নয়। নানা ধরনের হিজাব রয়েছে, যা ইসলামে পরা যায়। মেয়েরা কাজের জায়গায় যানে। অতএব, তাদের সর্বদাই কারও সঙ্গে বেরতে হবে, এমনটা ধরা হচ্ছে কেন!’

তালিবান নেতৃত্বের বিবৃতিতেই ধরা পড়ছে দ্বিচারিতা। তবুও কি নতুন দিনের আশায় বুক বাঁধতে পারবে আফগান মেয়েরা? প্রশ্ন উঠছে।