সরকার গড়তে কালঘাম ছুটছে তালিবানের

তালিবান শাসক দল (Photo:SNS)

সরকার গড়তে গিয়ে কালঘাম ছুটেছে তালিবান শীর্ষনেতাদের। নতুন সরকার গঠনের আগেই তালিবানের মধ্যে দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে। সংবাদ সংস্থার খবর, মন্ত্রিসভায় জায়গা পাওয়া নিয়ে হাক্কানি গােষ্ঠী এবং কান্দাহারের মােল্লা ইয়াকুব গােষ্ঠীর মধ্যে মতবিরােধ দেখা দিয়েছে। যা প্রকার গঠনের আগেই অস্বস্তিতে ফেলল তালিবানকে।

তালিবানের সেনাবাহিনীর দায়িত্বে রয়েছে মােল্লা ইয়াকুব গােষ্ঠী। নতুন সরকারের মন্ত্রিসভায় ঠাঁই দেওয়ার জানিয়েছে তারা। কিন্তু হাক্কানি গােষ্ঠী সেখানে নিজেদের প্রভাব খাটানাের চেষ্টা করছে বলে অভিযােগ উঠছে।

শুধু তাই নয়, মােল্লা ইয়াকুব নাকি স্পষ্ট জানিয়েও দিয়েছেন, যাঁরা দোহায় তাঁদের প্রধান কার্যালয়ে বসে আছেন, তাঁদের হুকুম শুনতেও তিনি রাজি নন। শুধু হাক্কানি বা ইয়াকুব গােষ্ঠীই নয়, একে একে তালিবানের অন্য গােষ্ঠীগুলিও নিজেদের অধিকার নিয়ে সরব হতে শুরু করেছে।


আর তাতেই সিঁদুরে মেঘ। তালিবানের শীর্ষনেতারা। ফের আরও একটা গৃহযুদ্ধের সম্মুখীন হতে হবে না তাে! সেই আশঙ্কাও দেখা দিয়েছে তালিবানের অন্দরে। ১৯৯৬ সালে তালিবান যখন আফগানিস্তানের ক্ষমতায় এসেছিল, তখন গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে জেরবার হয়ে গিয়েছিল তারা।

সেই ঘটনার যাতে পুনরাবৃত্তি না হয়, তাই শীর্ষনেতাদের নিয়ে বৈঠক চালাচেছন তালিবান হাইবাতােল্লা আখুজাদা। খবর, খুব শীঘ্রই আফগানিস্তানে সরকার গঠন হবে বলে দফায় দফায় বৈঠকের পর এই বার্তা তালিবানের। এই ব্যাপারে তাদের ঐক্যমত হয়েছে বলেই দাবি করা হয়েছে।

মূলত মৌলবাদী নেতাদের কাছে টেনে। সরকার গঠনে জোর দেওয়া হচ্ছে। ঠিক হয়েছে, হাইবাতুল্লা আখুজাদাকে মাথায় রেখে সরকার গঠন করা হবে। তার নিচে থাকবে বিলাল কারিমি, আবদুল গনি বরাদরের মতাে নেতারা। রাতের বৈঠক শেষে কারিমি জানিয়েছেন, ইসলামিক নেতাদের প্রাধান্য দিয়েই আফগানিস্তানে সরকার তৈরি করবে তালিবান প্রধান।