আফগানিস্তানে নতুন সরকার গঠনের লক্ষ্যে এগিয়ে প্রতিবেশি দেশগুলাের সম্পর্কের গতি প্রকৃতি নিয়ে কথা বলতে গিয়ে তালিবানরা জানান, আমরা ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে চলতে আগ্রহী। শুধু তাই নয়, আফগানিস্তানের জন্য। ভারত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দেশ বলেও জানান এক তালিবান নেতা।
আফগানিস্তান দখলের পর অন্তর্ভুক্তি সরকার গঠন করা নিয়ে এই মুহুর্তে রাজনৈতিক, বিভিন্ন জাতিগােষ্ঠীর লিবান নেতৃত্বের আলােচনা চলছে। মার্কিন বাহিনী প্রত্যাহারের সঙ্গেই আফগানিস্তানে মন্ত্রিসভা গঠন করছে তালিবানরা।
সিনিয়র তালিব নেতা শের মহম্মদ আব্বাস স্ট্যানেকজাই বলেন, ‘ভারত দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলে একটা গুরুত্বপূর্ণ দেশ। আফগানিস্তানের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক অতীতেও ভালাে ছিল। ভবিষ্যতেও আফগান ভারত সম্পর্ক ভালাে থাকবে। ভারতের সঙ্গে আমরা দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য থেকে শুরু করে অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সম্পর্ক বজায় রাখতে চাই’।
পাস্তুর একটি সম্মেলনে তিনি বলেন, কাবুলে সরকার গঠন করা নিয়ে রাজনৈতিক দল, বিভিন্ন জাতি গােষ্ঠীর সঙ্গে তালিবান নেতৃত্বের আলােচনা চলছে। নতুন সরকারে সমাজের বিভিন্ন অংশের মানুষের প্রতিনিধিরা থাকবেন। তালিবানের সােশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে পােস্ট করা ভিডিওতে তিনি বলেন, আমরা ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য, অর্থনীতি ও রাজনৈতিক সম্পর্ক বজায় রাখার বিষয়টিকে যথেষ্ট ও রুত্ব দেওয়া হচ্ছে।
শের মহম্মদ আবাস স্ট্যানেকজাই প্রথম তালিবান নেতা ভারত সহ অন্যান্য দেশের। আফগানিস্তানের ভবিষ্যত সম্পর্কের রূপরেখা কি হতে চলেছে তা নিয়ে কথা বলেন। তিনি বলেন, আকাশ পথে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের রাস্তা খােলা রাখা উচিত।
ভারত আফগানিস্তানের মধ্যে এয়ার করিডরের মাধ্যমে বাণিজ্য যােগাযােগ রক্ষায় বাধা হয়ে দাড়িয়েছে পাকিস্তান। কেননা, পাকিস্তান নিজের আকাশে ভারতের বিমান ওড়া নিষিদ্ধ করেছে। পাকিস্তানের মধ্যে দিয়ে ভারতের সঙ্গে আফগানিস্তানের বাণিজ্যের গুরুত্বের ওপর জোর দেন।