নিজস্ব প্রতিনিধি, দিল্লি, ২৮ জুন: শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে বাংলা যখন তোলপাড়, ঠিক তখনই এবার শিক্ষকদের যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠল বিহারেও। সম্প্রতি এই রাজ্য সরকারের অধীনে স্কুলগুলিতে শিক্ষকদের যোগ্যতা যাঁচাইয়ের জন্য একটি পরীক্ষার ব্যবস্থা করে। সেই পরীক্ষার বিরোধিতা করতেই চাকরিরত শিক্ষকদের যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিল দেশের শীর্ষ আদালত।
জানা গিয়েছে, পঞ্চায়েত স্তরের শিক্ষকদের যোগ্যতা নিশ্চিত করতেই ২০২৩ সালে এই পরীক্ষা চালুর ঘোষণা করে নীতীশ সরকারের শিক্ষা দফতর। মূলত পঞ্চায়েত স্তরে নিযুক্ত এইসব শিক্ষকদের অন্যান্য রাজ্য সরকারি স্তরের শিক্ষকদের সঙ্গে যোগ্যতার ক্ষেত্রে সমান্তরাল স্তরে পৌঁছে দেওয়াই ছিল উদ্দেশ্য। কিন্তু শিক্ষকরা সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে আদালতের দ্বারস্থ হন।
প্রথমে এই পাটনা হাইকোর্টে যায়। যদিও পাটনা হাইকোর্ট সেই আবেদন খারিজ করে দেয়। এরপর বিহারের পরিবর্তনকারী প্রারম্ভিক শিক্ষক সঙ্ঘ মামলাটি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়। সুপ্রিম কোর্টও শিক্ষকদের সেই আবেদন খারিজ করে দিয়েছে। উল্টে শীর্ষ আদালতের বিচারক বিষয়টি নিয়ে তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
বিচারপতি বি ভি নাগরত্ন বলেন, ‘‘এটাই কি এই দেশের শিক্ষাব্যবস্থার মান? এক জন স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী চাকরি পেয়েছেন, কিন্তু সামান্য একটি ছুটির আবেদনপত্র লিখতে পারেন না? আর বিহারের মতো একটি রাজ্য যখন শিক্ষকদের যোগ্যতার পরীক্ষা নিয়ে শিক্ষাব্যবস্থা আরও উন্নত করার চেষ্টা করছে, তখন তার বিরোধিতা করা হচ্ছে! আপনারা যদি যোগ্যতার পরীক্ষার মুখোমুখি হতে না পারেন, তা হলে আপনাদের পদত্যাগ করা উচিত।’’
ফলত দেশের শীর্ষ আদালতের এই অবস্থানের পর শিক্ষকদের পরীক্ষায় বসা ছাড়া আর কোনও গত্যন্তর থাকল না।