প্রতিবেশী রাজ্যের বাজারে আলু পাঠানোর ক্ষেত্রে প্রশাসনিক জটিলতা-না কাটায় শনিবার রাত থেকে আবার রাজ্য জুড়ে ধর্মঘটের ডাক দিল প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ী সমিতি। এদিন রাত থেকে রাজ্যের হিমঘরগুলি থেকে সংরক্ষিত আলু বাজারে পাঠানো বন্ধ হতে চলেছে। এরফলে আগামী সপ্তাহের গোড়াতেই বাংলার বাজারে বাজারে আবারও আলুর আকালের আশঙ্কা। বৃদ্ধি পেতে পারে দাম।
প্রতি বছরই রাজ্যের ব্যবসায়ীরা সংরক্ষিত আলুর একটি অংশ পাঠান প্রতিবেশী রাজ্যগুলিতে। কিন্তু, চলতি বছরের জুলাইয়ে প্রতিবেশী রাজ্যগুলিতে আলু রফতানির ক্ষেত্রে প্রশাসনিক জটিলতা শুরু হয়। ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, সে সময় ভিন্রাজ্যে আলু পাঠাতে গেলে রাজ্যের সীমান্তে পুলিশের হয়রানির মুখে পড়তে হয় তাঁদের। এই পরিস্থিতিতে গত ২০ জুলাই থেকে পুলিশের হয়রানি বন্ধের দাবিতে রাজ্য জুড়ে ধর্মঘট শুরু করেন রাজ্যের আলু ব্যবসায়ীরা। টানা পাঁচ দিন ধরে চলা সেই ধর্রমঘটের জেরে রাজ্যের বাজারগুলিতে শুরু হয় আলুর আকাল। হু হু করে দাম বাড়ে আলুর। শেষ পর্যন্ত রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার এবং কৃষি বিপণন মন্ত্রী বেচারাম মান্নার সঙ্গে বৈঠকে সমস্যার সমাধানের আশ্বাস মেলায় ধর্মঘট প্রত্যাহার করে নেয় ব্যবসায়ী সমিতি।
কিন্তু, সেই ঘটনার একমাস যেতে না যেতেই আবার রাজ্য জুড়ে ‘কর্মবিরতি’র কথা ঘোষণা করল প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ী সমিতি।শনিবার সমিতির রাজ্য কমিটির উপদেষ্টা বিভাস দে বলেন, ‘‘ভিন্রাজ্যে আলু রফতানির ক্ষেত্রে তৈরি হওয়া সমস্যা দ্রুত মিটিয়ে ফেলার আশ্বাস দিয়েছিল রাজ্য সরকার। গত এক মাস ধরে বারংবার বিষয়টি রাজ্য সরকারের বিভিন্ন স্তরের নজরে আনলেও পরিস্থিতির বিন্দুমাত্র বদল হয়নি। বর্তমানে শুধু ভিন্রাজ্যে নয়, এ রাজ্যেরই বিভিন্ন জেলায় আলু পরিবহণের ক্ষেত্রে চূড়ান্ত সমস্যার মুখে পড়তে হচ্ছে আমাদের। এরই প্রতিবাদে শনিবার রাত থেকে রাজ্য আবার ফের কর্মবিরতি শুরু করতে আমরা বাধ্য হচ্ছি।’’
ব্যবসায়ীদের একাংশই জানাচ্ছেন, শনিবার রাত থেকে ধর্মঘট শুরু হলে রাজ্যের বাজারগুলিতে মঙ্গলবার থেকে প্রভাব পড়তে পারে। তাঁরা এ-ও জানাচ্ছেন, শনিবার হিমঘরগুলির ‘শেড’-এ আলু নামানো হয়েছে। এই আলু শুকিয়ে বাজারে আসতে রবিবার থেকে সোমবার লেগে যাবে। কিন্তু, ধর্মঘট শুরু হলে রবিবার আর হিমঘর থেকে আলু নামানো হবে না। ফলে মঙ্গলবার খোলা বাজারে আর আলু আসবে না। যার প্রত্যক্ষ প্রভাব পড়বে বাজারে। সে ক্ষেত্রে পুজোর আগেই আরও এক দফা আলুর দাম বৃদ্ধি পেতে পারে।