• facebook
  • twitter
Sunday, 8 September, 2024

সায়ন্তিকা-সহ উপনির্বাচনে জয়ী দুই বিধায়কের শপথ-জট অব্যাহত

নতুন দুই বিধায়ককে শপথবাক্য পাঠ করাবেন কে? রাজভবনের চিঠিতে নেই নাম! নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: বরানগর বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে জয়ী বিধায়িকা সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এবং ভগবানগোলায় জয়ী বিধায়ক রেয়াত হোসেনের শপথ গ্রহণ ঘিরে যে জটিলতা তৈরি হয়েছিল, সেই জট কাটল না এখনও। রাজভবন থেকে এই সম্পর্কিত একটি জবাবি চিঠি বিধানসভায় পৌঁছলেও তাতে শপথের দিনক্ষণ বলা হলেও, সংশ্লিষ্ট

নতুন দুই বিধায়ককে শপথবাক্য পাঠ করাবেন কে? রাজভবনের চিঠিতে নেই নাম!

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: বরানগর বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে জয়ী বিধায়িকা সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এবং ভগবানগোলায় জয়ী বিধায়ক রেয়াত হোসেনের শপথ গ্রহণ ঘিরে যে জটিলতা তৈরি হয়েছিল, সেই জট কাটল না এখনও। রাজভবন থেকে এই সম্পর্কিত একটি জবাবি চিঠি বিধানসভায় পৌঁছলেও তাতে শপথের দিনক্ষণ বলা হলেও, সংশ্লিষ্ট কার্যের দায়িত্ব সম্পর্কে কিছুই বলা হয়নি। সেই চিঠিতে ২৬শে জুন অর্থাৎ বুধবার দুপুর সাড়ে বারোটায় রাজভবনে ডাকা হয়েছে নবনির্বাচিত বিধায়কদ্বয় কে। কিন্তু কে শপথবাক্য পাঠ করাবেন বিধায়কদের? চিঠিতে সেই নাম উল্লেখ নেই।

সায়ন্তিকা জানিয়েছেন, একটি চিঠি শুক্রবার তাঁর কাছে এসেছে। কিন্তু দলের নির্দেশ না পেলে তিনি যাবেন না। অন্যদিকে রেয়াত হোসেন জানান, তিনি কোনো চিঠিই পাননি। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বিধানসভার পরিষদীয় দফতরের বদলে এবার দুই বিজয়ীর শপথ নিয়ে রাজ্যপালের কাছে চিঠি পাঠিয়ে ছিল বিধানসভার সচিবালয়। গত ৪ জুন ভোটের ফল প্রকাশ হলেও, কেটে গিয়েছে প্রায় ১৯ দিন! তাও শপথ গ্রহণ হয়নি দুই নবনির্বাচিত বিধায়কের। এই টানাপড়েনে আটকে রয়েছে তাঁদের শপথ।

শপথ না হওয়ার জন্য ওই দুই এলাকায় নাগরিক পরিষেবা ব্যাহত হচ্ছে বলে অভিযোগ শাসকদলের একাংশের। তাই শপথগ্রহণ করানোর জন্য রাজভবন কে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতে অনুরোধ করেছে বিধানসভা। দুই নবনির্বাচিত সাংসদের শপথ গ্রহণ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ না হওয়ায় কোনও কিছুতে সই করতে পারছেন না তাঁরা। ফলে প্রয়োজনীয় নথিতে বিধায়কের অনুমোদন বা সুপারিশ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন নাগরিকেরা। ক্যানসার আক্রান্ত রোগীরা মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে আর্থিক সাহায্য পান। সেজন্য বিধায়কের শংসাপত্র নিতে এসে তাঁদের ফিরতে হচ্ছে খালি হাতেই। চিকিৎসা, বাসস্থান, স্কলারশিপের জন্যও মিলছে না শংসাপত্র। প্রয়োজনীয় শংসাপত্রের জন্য বিধায়কের অফিসে আসছেন অনেকেই।

কিন্তু স্বাভাবিকভাবেই প্রশাসনিক জটিলতা থাকায় তাঁদের বলা হচ্ছে, ‘পরের সপ্তাহে আসুন!’ অভিনেত্রী তথা বিধায়িকা সায়ন্তিকা এ প্রসঙ্গে বলেন, “সকলে তো প্রশাসনিক জটিলতা বুঝবেন না। একটা সময়ের পরে ভাবতে পারেন, আমি তাঁদের ঘোরাচ্ছি। কিন্তু বিষয়টি তা নয়। পরিষেবা দিতেই আমি বরাহনগরে থাকছি।” মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় এ প্রসঙ্গে বলেন, “এটা অপমানজনক! কাকে দিয়ে শপথ গ্রহণ করানো হবে, সেটা বলা হয়নি। মনোনীত ব্যক্তির কথা বলা হয়েছে এখানে, একজন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধির কাছে তা যথেষ্ট অপমানজনক।” বিধানসভার মুখ্য সচেতক নির্মল ঘোষ বলেন, “সংসদীয় গণতন্ত্রে এটা দুর্ভাগ্যজনক।” এই নবনির্বাচিত বিধায়কদ্বয়ের শপথ গ্রহণ জট আদেও আগামী ২৬শে জুন কাটবে কি না, সেই দিকেই তাকিয়ে বরাহনগর এবং ভগবানগোলার মানুষ।