কর্ণাটকে আস্থা ভোটের দিকে তাকিয়ে দেশবাসী

কর্ণাটক বিধানসভা। (File Photo: IANS)

আজ পরােক্ষে ভাগ্য নির্ধারণ হতে চলেছে এইচ ডি কুমারাস্বামী-জেডিএস-কংগ্রেস জোট সরকারের। মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে তিনি বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে পারবেন কিনা তা নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে।

দলের জনা পনেরাে বিধায়ক ইস্তফা দেওয়ার পর কর্ণাটকে জোট সরকার খাদের ধারে দাড়িয়ে। মুখ্যমন্ত্রী যদিও দাবি করেছেন, আস্থা ভােটে তিনি জোটের সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করে দেবেন।

ইতিমধ্যে রাজ্যপাল বাজুভাই বালা আস্থা ভােটের জন্য একই দিনে দু’বার ডেডলাইন দিলেও তিনি আস্থা ভােট গ্রহণের সাহস দেখাতে পারেননি।


মুখ্যমন্ত্রীর আস্থা ভােট গ্রহণের প্রস্তাব নিয়ে সরকারপক্ষ আলােচনা চালিয়ে নিয়ে যাওয়ার এখনও চেষ্টা করছে বলে সম্প্রতি একটি রিপাের্ট প্রকাশ হয়েছে। তাঁরা আশা করছেন হয়তাে সুপ্রিম কোর্ট থেকে স্বস্তি পেতে পারেন। তাই দলের বিধায়কদের ফিরিয়ে আনারও শেষ চেষ্টা করে চলেছেন।

আস্থা ভােট নিয়ে বিধানসভায় আলােচনা হওয়ার সময়ে রাজ্যপাল হস্তক্ষেপ করেছে বলে অভিযােগ করে কুমারাস্বামী ও কংগ্রেস দল সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। শুক্রবার আস্থা ভােটের জন্য রাজ্যপালের দেওয়া প্রথম ও দ্বিতীয় ডেডলাইন পেরিয়ে যাওয়ার পর সােমবার পর্যন্ত বিধানসভার অধিবেশন মুলতুবি করে দেওয়া হয়েছিল।

রাজ্যপাল শুক্রবার প্রথম ডেডলাইন স্থির করার পর শাসক জোটের তরফে রাজ্যপালের এই ধরণের নির্দেশ দেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন তােলা হয়েছিল। কুমারাস্বামী শীর্ষ কোর্টের একটি নির্দেশ উল্লেখ করে বলেন, রাজ্যপাল এই ক্ষেত্রে অম্বুডসম্যান হিসেবে ভূমিকা পালন করতে পারেন না। রাজ্যপালের দ্বিতীয় ডেডলাইনটিও খারিজ হয়ে যায়।

তারপর কর্ণাটকের জোট সরকারের থেকে প্রতিশ্রুতি নেওয়ার পর স্পিকার রমেশ কুমার সােমবার পর্যন্ত অধিবেশন মুলতুবি করে দেন। তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দেন, শাসক জোটের তরফে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে সােমবার আস্থা ভােট গ্রহণ করা হবে।

পাশাপাশি তিনি শাসক জোটকেও স্পষ্ট জানিয়ে দেন, কোনও পরিস্থিতিতেই আস্থা ভােট প্রক্রিয়াকে দীর্ঘায়িত করা যাবে না। আশা করা হচ্ছে, শাসক জোট প্রতিশ্রুতি রক্ষা করে আস্থা ভােট গ্রহণ করবে। যদি কোনওভাবে আস্থা ভােট গ্রহণ প্রক্রিয়াকে শাসক জোট ঢিমেতালে করার চেষ্টা করে, তাহলে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে রাজ্যপাল কি ব্যবস্থা নেন সেদিকে তাকিয়ে থাকবেন সকলে।

শাসক জোটের আস্থা ভােট গ্রহণ প্রক্রিয়াকে দীর্ঘায়িত করার নেপথ্যে পরােক্ষে বিধায়কদের ফিরিয়ে আনার জন্য সময় চেয়ে নেওয়ার ইঙ্গিত স্পষ্ট। শাসক জোটের হাত থেকে রক্ষা পেতে বিধায়করা মুম্বইতে গিয়ে থাকছেন। তাঁদেরকে ফিরিয়ে নিয়ে আসার চেষ্টা করা হলেও কোনও ফল হয়নি। তাঁরা স্পষ্ট বলেছেন, ‘পনেরাে জন বিধায়ক ইস্তফা দিয়েছিলেন। আমাদের ফেরানাের চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু কোনও লাভ নেই। বারােজন বিধায়ক আমরা একসঙ্গে রয়েছি, দলে ফিরে যাওয়ার কোনও প্রশ্ন ওঠে না’।

কংগ্রেস-জেডিএস জোট এরপরও কিভাবে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করবে তা লাখ টাকার প্রশ্ন, কেননা শাসক জোটের হাতে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণের জন্য প্রয়ােজনীয় সংখ্যক বিধায়ক নেই।