• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

জুনিয়র চিকিৎসকদের আন্দোলন সারা বাংলাকে পথ দেখিয়েছে : অধীর চৌধুরী

আপনার কাছে বিচার আশা করছে। তাঁর পরিবারের লোকেরাও বলছে, আপনি তাঁদের শত্রু নন। তাঁরা আপনার কাছে বিচার চায়।

আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জুনিয়র চিকিৎসকদের আন্দোলন সারা বাংলাকে পথ দেখিয়েছে। দেরি হলেও বাংলার মানুষের বিবেক জাগ্রত হচ্ছে। এই আন্দোলনকে গায়ের জোরে, ধমকিয়ে, পুলিশ দিয়ে, তৃণমূল নেতাদের দিয়ে ভয় দেখিয়ে থামানো যাবে না। মঙ্গলবার সাংবাদিকদের সঙ্গে মুখোমুখি হয়ে এক প্রশ্নের উত্তরে একথা জানান প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। সেই সঙ্গে তিনি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশে বলেন, তাঁর উচিত অবিলম্বে কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলকে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে দেখা করার জন্য নির্দেশ দেওয়া।

এদিন মুর্শিদাবাদ জেলা কংগ্রেস কার্যালয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন অধীর চৌধুরী। সেখানেই তাঁকে সাংবাদিকরা আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসকদের আন্দোলন নিয়ে প্রশ্ন করেন। আন্দোলনকারীরা দাবি তুলেছেন, হয় কলকাতার পুলিশ কমিশনারকে পদত্যাগ করতে হবে, আর নয় তাঁদের সঙ্গে এসে দেখা করে কথা বলতে হবে। এ নিয়েও সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেন। উত্তরেপ্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বলেন, ‘দেরি হলেও, ধীরে ধীরে আজ বাংলার মানুষের বিবেক জাগ্রত হচ্ছে। তাঁরাও ঘরে ঢুকে যেতে পারত ৷ যে সমস্ত ছেলেমেয়েরা আন্দোলন করছে, তাঁরা কেউ দিদির দলের লোকেদের কোটায় পড়াশোনা করছে না। মাথার ঘাম পায়ে ফেলে পড়াশুনা করেও যেমন চিকিৎসক ছাত্রী খুন হয়েছেন, তাঁরাও সেই কলেজেরই চিকিৎসক ছাত্র। জুনিয়র ডাক্তার। আজ তাঁদের এই আন্দোলন সারা বাংলাকে পথ দেখিয়েছে। তাই আজকে শিল্পীকূল, নাগরিক সমাজ, নাট্য সমাজ-সমাজের সব ধরনের মানুষ সেই আন্দোলনকারীদের সমর্থন করছে।’

সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়েই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশ্যে এদিন অধীর চৌধুরী আরও বলেন, ‘বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীকে বলব, বিধানসভার মধ্যে ফাঁসির আইন এবং সেই আইনকে নিয়ে মিথ্যা মনমোহিনী এবং অতি ভাষণ দেওয়ার আগে আপনার বংশবদ, আরজি কর কাণ্ডের তদন্তে বিভ্রান্তি ঘটানোর, তদন্তকে বিপথে চালিত করার যিনি খলনায়ক সেই বিনীত গোয়েলকে দেখা করতে আদেশ দিন। আপনার দলের লোকেদের কয়েকদিন বিপ্লব করতে বলেন, ওতে লাভ হবে না। কাজের কাজ করে দেখান। নাটক করবেন না। বাংলার মানুষ নাটক নয়, আপনার কাজ দেখতে চাইছে। আপনার কাছে বিচার আশা করছে। তাঁর পরিবারের লোকেরাও বলছে, আপনি তাঁদের শত্রু নন। তাঁরা আপনার কাছে বিচার চায়। আপনার দলের মধ্যে এ নিয়ে তুলকালাম চলছে। হয়তো আপনাকে সরিয়ে খোকাবাবুকে ক্ষমতায় বসানোর চেষ্টাও চলছে। আপনি জানেন আর ঈশ্বর জানে।

আপনার আর খোকাবাবুর মধ্যেকার কী সমঝোতা! তবে আপনার দলের মধ্যে ধূমায়িত হচ্ছে এই সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ। যা তীব্র থেকে তীব্রতর এটা হচ্ছে। আজকে তৃণমূল নেতাদের বাড়ির ছেলে-মেয়েরাও কিন্তু আন্দোলন করছে। তাঁদের ঘরেও ছাত্র আছে, ছাত্রী আছে। গণ আন্দোলন। এটা মানুষের মনের মধ্যে চাপা অসন্তোষ, চাপা ক্ষোভ, চাপা আক্রোশের এক স্বত:স্ফূর্ত বহি:প্রকাশ। গায়ের জোরে, ধমকিয়ে, পুলিশ দিয়ে, আপনার নেতাদের দিয়ে ভয় দেখিয়ে আপনি এটা থামাতে পারবেন না।’