• facebook
  • twitter
Thursday, 19 September, 2024

‘পর্যবেক্ষক ব্যবস্থা’ ফেরানোর ভাবনা-চিন্তা তৃণমূলের

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের ঘরে এসেছে জয়ের জোয়ার। তাতেও আত্মতুষ্টি হয়নি মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দোপাধ্যায় এবং দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের। এবার দল পরিচালনায় পুরনো পর্যবেক্ষক ব্যবস্থা ফেরাতে ভাবনাচিন্তা শুরু করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। উল্লেখ্য, কিছু দলীয় কাঠামোগত ত্রুটির জন্যই পুর অঞ্চলে এবার পিছিয়ে পড়েছে তৃণমূল। যা ভোট পরবর্তী পর্যালোচনার

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের ঘরে এসেছে জয়ের জোয়ার। তাতেও আত্মতুষ্টি হয়নি মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দোপাধ্যায় এবং দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের। এবার দল পরিচালনায় পুরনো পর্যবেক্ষক ব্যবস্থা ফেরাতে ভাবনাচিন্তা শুরু করেছে তৃণমূল কংগ্রেস।

উল্লেখ্য, কিছু দলীয় কাঠামোগত ত্রুটির জন্যই পুর অঞ্চলে এবার পিছিয়ে পড়েছে তৃণমূল। যা ভোট পরবর্তী পর্যালোচনার পর স্পষ্ট হয়েছে মমতা ও অভিষেকের কাছে। আগামী বিধানসভা নির্বাচনের পূর্বে দলের কাঠামোগত পরিবর্তন ঘটাতে মরিয়া মমতা-অভিষেক। বিধানসভা নির্বাচনে কোনোরূপ দলীয় ত্রুটি রাখতে চান না তাঁরা। তাই, কখনও মমতা দল ‘শুদ্ধিকরণ’-এর ডাক দিয়েছেন, আবার কখনও অভিষেক ‘দলীয় বিভীষণ’দের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। এবার পর্যবেক্ষক ব্যবস্থার উপরই জোর দিতে চাইছেন মমতা। তৃণমূল সূত্রে খবর, লোকসভা ভোটের পর যে সাংগঠনিক সংস্কারের ভাবনা রয়েছে তাতে এই নজরদারির ভার দেওয়া হতে পারে রাজ্য নেতাদের। কাজের সুবিধার জন্য আরও কয়েকটি জেলা কমিটি ভেঙে ছোট করা হতে পারে। যদিও দলীয় সূত্রের খবর, এ বিষয়ে এখনও অভিষেকের প্রতিক্রিয়া স্পষ্ট হয়নি।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ২০২১ সাল পর্যন্ত তৃণমূলে এই পর্যবেক্ষক ব্যবস্থা ছিল। কিন্তু ওই বছর বিধানসভা ভোটের পর তা তুলে দেওয়া হয়। সেক্ষেত্রে দলের পরামর্শদাতা সংস্থার সঙ্গে সমান্তরালভাবে শীর্ষ নেতৃত্ব সরাসরি জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন। এরপর মমতার নির্দেশে দল পরিচালনায় পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নেন তৃণমূলের সেনাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিষেক তুলনামূলক ‘প্রাকটিক্যাল’ রাজনৈতিক নেতা হওয়ার দরুন কিছু দলীয় নেতৃত্বদের ‘দাদাগিরি’ প্রসঙ্গে বহুবার অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। প্রকাশ্যে কলকাতা থেকে আসা পর্যবেক্ষকদের কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। দলীয় নেতৃত্বদের অন্যায়ে প্রশ্রয় তো দূর, বরং গুরুত্বহীনতা দেখিয়েছেন সংশ্লিষ্ট নেতার প্রতিই। একুশে জুলাই-এর সভায় অভিষেকের ‘নবীন-প্রবীণ’ সমন্বয়ের ঘোষণা দলে পর্যবেক্ষক ব্যবস্থা নিয়েই চর্চা বাড়িয়ে দিয়েছে বলে মত রাজনৈতিক মহলের। বর্তমানে দলে আমূল পরিবর্তন ঘটানোর পথে চালিত হয়েছে তৃণমূল। সেই সূত্রে, সদ্যসমাপ্ত লোকসভা ভোটের পর পর্যবেক্ষক ব্যবস্থা আবার চালু করার কথা শুরু হয়েছে দলের অন্দরমহলে।

তবে ঠিক কিভাবে এবং কতটা কার্যকর হবে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে, বিধানসভা নির্বাচনের আগে দলে বড় রকমের সংস্কারের কথা আগেই ঘোষণা করেছে তৃণমূল। দলীয় সূত্রে খবর, লোকসভা ভোটের পর্যালোচনার ভিত্তিতে এই রদবদলে পর্যবেক্ষক ব্যবস্থা ফেরানো হতে পারে। সর্বত্র না হলেও গুরুত্বপূর্ণ বেশির ভাগ জেলায় রাজ্য নেতাদের এই দায়িত্ব দেওয়া হবে। এক বা একাধিক রাজ্য নেতাকে শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে জেলা সংগঠনের সমন্বয়ে এই দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে। তবে বাস্তবে কিভাবে এই ব্যবস্থা পুনরায় দলে কার্যকর হবে, তা নিয়ে নানা মুনির নানা মত রয়েছে।