দেবের অডিও নিয়ে সিবিআই-এর অবস্থান জানতে চাইল হাইকোর্ট

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: বুধবার কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চের বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে ওঠে টলিউড নায়ক দেবকে নিয়ে মামলা। নিয়োগ দুর্নীতির ভাইরাল অডিও-র পরিপ্রেক্ষিতে তৃণমূলের তারকা সাংসদ দেবের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রসঙ্গে সিবিআই-এর অবস্থান জানতে চাইল কলকাতা হাইকোর্ট। এদিন বিচারপতি অমৃতা সিংহের নির্দেশ, ‘দেবের বিরুদ্ধে অডিও-কে কেন্দ্র করে সিবিআই-এর কাছে যে অভিযোগ জমা পড়েছে, তা নিয়ে অবস্থান জানাতে হবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে’। প্রয়োজনে সিবিআই চাইলে ওই বিষয়টি খতিয়ে দেখে সংক্ষিপ্ত রিপোর্ট দিতে পারে বলে জানিয়েছে আদালত। আগামী ৫ জুলাই এই মামলার পরবর্তী শুনানি।

প্রসঙ্গত লোকসভা ভোটের মাঝে ঘাটালের তৃণমূল প্রার্থী দেবের (দীপক অধিকারী) এক ‘প্রতিনিধি’র বিরুদ্ধে চাকরি দেওয়ার নামে টাকা তোলার অভিযোগ আগেই উঠেছিল। হাইকোর্টে সে নিয়ে মামলাও হয়। কিন্তু পরে টাকা পেয়ে গিয়েছেন বলে দাবি করে অভিযোগকারীই ‘পিছিয়ে গিয়েছেন’! একই অভিযোগে আবার মামলা হয় উচ্চ আদালতে। তখন সাংসদ দেবের প্রতিনিধি রামপদ মান্না নন, স্বয়ং দেবের বিরুদ্ধেও মামলা করেন বাপ্পাদিত্য ঘোষ নামে এক ব্যক্তি। মামলাকারীর দাবি, দেব এবং তাঁর ‘প্রতিনিধি’র বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে, সিবিআই তার তদন্ত করুক।

এদিকে ঘাটালের বিজেপি প্রার্থী হিরণ চট্টোপাধ্যায় এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলে একটি অডিও ক্লিপ পোস্ট করেছিলেন। ওই ভিডিও-র কথা উল্লেখ করেই মামলা করেছিলেন বাপ্পার মামলাকারী। সেই মামলা নিয়ে সিবিআই-এর অবস্থান জানতে চাইল আদালত। লোকসভা ভোটের সময় দেবের প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপি প্রার্থী হিরণ একটি ভিডিও পোস্ট করেছিলেন। সেখানে মূলত একটি অডিও ক্লিপ ছিল। হিরণ দাবি করেছিলেন, সেখানে কণ্ঠ রয়েছে, সেটা দেবের। তাঁর এক সহযোগী চাকরি দেওয়ার নাম করে টাকা তুলতেন বলে দাবি হিরণের। তিনিও দাবি করেন, এ নিয়ে সিবিআই তদন্ত করা দরকার।


এর আগে প্রাথমিকভাবে দেব বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। সেই সঙ্গে তিনি জানিয়ে দেন, কোনও মহিলার সঙ্গে তাঁর কথা হয়নি। পাঁশকুড়ায় ভোট প্রচারে গিয়ে দেব বলেছিলেন, ”সবংয়ে যে ঘটনা হয়েছে, তা বিজেপির অভ্যন্তরীণ বিষয়। তবে ভাইরাল অডিও নিয়ে আমি এফআইআর করছি। রাজনীতিতে খারাপ কথা বলাটা বিজেপির নিয়ম হয়ে গিয়েছে।” সেই সঙ্গেই তিনি এ-ও বলেন, ”ইডি, সিবিআই, এফবিআই যেখানে যা আছে, ডাকা হোক। ফেক অডিও আনা হচ্ছে। তাঁদের এবার চিহ্নিত করতে হবে। সেটাই করা হবে।”