অভিষেক রায়, পিংলা, ৮ এপ্রিল— ২৩ মার্চ সকালে পিংলা বিধানসভার অন্তর্ভুক্ত খড়গপুর ২নং ব্লকের বারবাসী গ্রামের ধানক্ষেত থেকে উদ্ধার হয়েছিল বিজেপি কর্মী শান্তনু ঘড়ইয়ের মৃতদেহ৷ পরিবারের অভিযোগ ছিল শান্তনুকে খুন করে ধান ক্ষেতে ফেলে দেওয়া হয়েছে৷ ময়না তদন্তের রিপোর্টে বলা হয়, জলে ডুবে মৃতু্য হয়েছে শান্তনুর৷ পরিবার অবশ্য সেই রিপোর্টে ভরসা করেনি৷ দেহ শেষকৃত্যের জন্য গ্রহণও করেনি৷ সঠিক বিচারের জন্য তারা রাজ্যপালের দ্বারস্থ হন৷ তাদের আবেদনে সাড়া দিয়ে সোমবার সকালে বারবাসী গ্রামে হাজির হন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস৷
গ্রামে শান্তনুর বাডি়তে পা দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই রাজ্যপালের পা জডি়য়ে কান্নায় ভেঙে পডে়ন মৃতের মা পদ্মাবতী৷ তিনি বলেন, আমার ছেলেকে খুন করা হয়েছে৷ দোষীদের খুঁজে বার করে উপযুক্ত শাস্তি দেওয়ার জন্য সিবিআই তদন্ত চাই৷ রাজ্যপাল আনন্দ বোস পরিবারের সদস্যদের আশ্বাস দেন৷ পরে রাজ্যপাল সাংবাদিকদের বলেন, রাজনৈতিক কূটকচালির ওপর বিশ্বাস না রেখে সত্যতা যাচাই করতে এসেছি৷ গরিব মানুষ বিচার পাক এটাই আমি চাই৷ আমি উপযুক্ত, কঠোর ব্যবস্থা নেব৷ গরিব মানুষের বন্ধু হতে চাই৷ আমি দেখতে চাই পুলিশ তার দায়িত্ব পালন করছে৷
মৃত শান্তনু দাদা কার্তিক ঘড়ুই বলেন, পুলিশ আমাদের সম্মতি না নিয়ে মৃতদেহ ময়না তদন্ত করেছে৷ ময়না তদন্তের রিপোর্টে জলে ডুবে মৃতু্যর কথা আমরা বিশ্বাস করি না৷ পুলিশ আর তৃণমূল হাত মিলিয়ে এই কাজ করেছে৷ আমরা চাই কেন্দ্রীয় কোন হাসপাতালে মৃতদেহের পুনরায় ময়নাতদন্ত হোক এবং প্রকৃত দোষীদের খুঁজে বের করার জন্য সিবিআই তদন্ত ও দাবি করেছি৷