তৃণমূলে আসতে চান ত্রিপুরার প্রাক্তন স্পিকার

প্রতীকী ছবি (File Photo: IANS)

অসমের প্রাক্তন সাংসদ সুস্মিতা দেবের পরে ত্রিপুরার প্রাক্তন স্পিকার জিতেন সরকার। তৃণমূলে যােগদান করতে চাওয়া ভিনরাজ্যের প্রভাবশালী নেতাদের তালিকা ক্রমশ দীর্ঘ হচ্ছে। সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে চিঠি পাঠিয়ে তৃণমূলে যােগদান করার জন্য ইচ্ছেপ্রকাশ করেছেন জিতেন সরকার।

যা তৃণমুলের পক্ষে একটি ইতিবাচক সম্ভাবনা বলা যায়। বিশেষ করে সম্প্রতি ত্রিপুরায় যখন তৃণমূল নেতারা আক্রান্ত, তখন বিপ্লব দেবের সান্নিধ্যে থাকা জিতেন সরকারের তৃণমূলে যােগদানের সম্ভাবনা ত্রিপুরার মাটিতে তৃণমূলকে একটা শক্ত জমি দেবে বলে মনে করা হচ্ছে।

ত্রিপুরার প্রদেশ তৃণমূল সভাপতি আশিসলাল সিংহ প্রাক্তন স্পিকার জিতেন সরকারের যােগদানের কথা স্বীকার করে নিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, জিতেনবাবুর সঙ্গে আমাদের কথাবার্তা চুড়ান্ত হয়ে গিয়েছে। তিনি আমাদের সভানেত্রীকে চিঠি লিখে যােগদান করার ইচ্ছের কথা জানিয়েছেন।


তিনি ত্রিপুরাতেই কোনও দলীয় কর্মসূচি চূড়ান্ত হয়ে গেলেই তাকে যােগদান করানাে হবে। আদিবাসী সংগঠনের নেতা হিসেবে জিতেনের এখনও যথেষ্ট প্রভাব রয়েছে বলে দাবি করছে তৃণমূল নেতৃত্ব। তাঁকে দলে নিতে পারলে আদিবাসীদের মধ্যে যথেষ্ট প্রভাব পড়বে বলে মনে করছে ত্রিপুরার তৃণমুল নেতৃত্ব।

এর ফলে ২০২৩ সালের বিধানসভা নির্বাচনে দল ইতিবাচক ফল পেতে পারে। ত্রিপুরায় বামফ্রন্ট জমানায় দু’দফায় স্পিকার হয়েছিলেন। সিপিএম -এর টিকিটে বিধায়ক হয়েছেন দু’বার।

কিন্তু ২০১৭ সালে সিপিএম ছেড়ে ত্রিপুরার তৎকালীন বিজেপি সভাপতি বিপ্লব দেরে হাত বিজেপিতে যােগদান করেন জিতেনবাবু। কিন্তু সম্প্রতি বিজেপি নেতৃত্বের সঙ্গে তাঁর বনিবনা হচ্ছিল না। তাই তিনি দলবদলের বিষয়টি নিয়ে মনস্থ করেছেন বলে দাবি করছেন ত্রিপুরার তৃণমূল নেতারা।

এর আগে ত্রিপুরার বামপন্থী নেতা শ্যামল রায়ের সঙ্গেও যােগদানের বিষয় নিয়ে আলােচনা চলছিল তৃণমূল নেতৃত্বের। তিনি দীর্ঘদিন ত্রিপুরার ফরােয়ার্ড ব্লকের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। আলােচনা ফলপ্রসূও হয়েছিল। কিন্তু হৃদরােগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হওয়ায় তাকে দলে নেওয়া যায়নি।