• facebook
  • twitter
Monday, 16 September, 2024

‘ফায়ার ব্রিগেডের গোটা ব্যবস্থাটাই আজ ধ্বংসের সম্মুখীন হয়েছে’, সুজিত বোসকে তোপ শমীকের

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা, ১৪ জুন– শহর কলকাতা এবং তার পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে আগুন লাগার ঘটনা কিছু নতুন নয়। আবারও ভয়াবহ অগ্নিসংযোগের সাক্ষী হয়ে থাকল কসবা তথা গোটা বাংলা। শুক্রবার ভর দুপুরে আগুন লাগে কসবার অ্যাক্রোপলিস মলে। ধোঁয়ায় ঢেকে যায় মল চত্বর। তাছাড়াও, এই সপ্তাহের গোড়াতেই পার্ক স্ট্রিটে একটি বহুতলেও আগুন লেগেছিল। প্রবল উদ্বেগ ছড়িয়েছিল সেখানেও। এই

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা, ১৪ জুন– শহর কলকাতা এবং তার পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে আগুন লাগার ঘটনা কিছু নতুন নয়। আবারও ভয়াবহ অগ্নিসংযোগের সাক্ষী হয়ে থাকল কসবা তথা গোটা বাংলা। শুক্রবার ভর দুপুরে আগুন লাগে কসবার অ্যাক্রোপলিস মলে। ধোঁয়ায় ঢেকে যায় মল চত্বর। তাছাড়াও, এই সপ্তাহের গোড়াতেই পার্ক স্ট্রিটে একটি বহুতলেও আগুন লেগেছিল। প্রবল উদ্বেগ ছড়িয়েছিল সেখানেও। এই পরিস্থিতিতে এবার রাজ্যের অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তুলল বিজেপি। শুক্রের বিকেলে সাংবাদিক বৈঠক করে এই প্রসঙ্গেই তৃণমূলকে বিঁধলেন রাজ্যসভার সাংসদ তথা রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, “কলকাতায় এত ঘিঞ্জি বাজার, এতো কারখানা, কোথাও দ্রুত আগুন নেভানোর কোনও ব্যবস্থা নেই। দুর্নীতি সীমাহীন।”

এরপরই নাম না করে রাজ্যের দমকল মন্ত্রী সুজিত বোসকে আক্রমণ শানিয়ে শমীক ভট্টাচার্য বলেন, “অনেকক্ষেত্রে ইচ্ছেকৃতভাবে আগুন লাগানো হয় সেটা মানুষ বোঝেন, আবার অনেকক্ষেত্রে অনিচ্ছাকৃতভাবে লেগে যাওয়া আগুন, কিছু রাসায়নিক বা বাজির সংস্পর্শে আসলে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। সে বিষয়ে কিছু বলার নেই। আগুন লাগলে তা দ্রুত নেভানোর ব্যবস্থা করা হোক। সেই পরিকাঠামোই নেই রাজ্যে। তবে যার জন্য এই পরিস্থিতি তৈরী হয়েছে তাঁর উচিৎ মানুষের সামনে এসে বিবৃতি দেওয়া। তিনি একজন মন্ত্রী, নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিও। এটি মন্ত্রীসভার কোনও সাধারণ দফতর নয়! তাঁর সংশ্লিষ্ট দফতরের বরাদ্দ বৃদ্ধির জন্য তিনি কোথাও কথা বলেছেন, এমন দৃষ্টান্ত নেই। ফায়ার ব্রিগেডের গোটা ব্যবস্থাটাই আজ ধ্বংসের সম্মুখীন হয়েছে।”

এরপরই বিজেপি কর্তৃক গৃহীত অগ্নিসংযোগের সতর্কবার্তা সম্পর্কিত নতুন অভিযানের পরিকল্পনা ঘোষণা করেন তিনি। শমীক বলেন, “আমরা আমাদের দলের পক্ষ থেকে সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে, আমাদের যে বিধানসভার পরিষদীয় দল আছে, সেই দলের সদস্যরা বিভিন্ন দলে ভাগ হয়ে অতি দ্রুত কলকাতার বহুতল বাড়ি বা হাউসিং কমপ্লেক্স -এ এবং সরকারি আওতায় থাকা বাজার পরিদর্শন করবে। আমাদের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং আমাদের বিধায়কগণও কলকাতার মানুষের কাছে পৌঁছাবে সতর্কবার্তা নিয়ে। এটি বিভাজনের রাজনীতি করার জায়গা নয়। কলকাতা এবং তার পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে বড়ো অগ্নিসংযোগ হলে সেই আগুন নেভানোর ক্ষমতা পুরসভার কিংবা ফায়ার ব্রিগেডের আছে কিনা সেটা খতিয়ে দেখা দরকার।”

তবে কিভাবে কাজ করবে বিজেপির এই পরিষদীয় দল? সেই ব্যাখ্যাও দিলেন শমীক। তাঁর ভাষায়, “আমাদের সদস্য সংখ্যা কম আছে। তাও আমরা চেষ্টা করব ধীরে ধীরে পুরো কলকাতা শহরের বিভিন্ন প্রান্তে পৌঁছনোর। আমাদের দলের সদস্যরা ছোট দলে ভাগ হয়ে বিভিন্ন হাউসিং কমপ্লেক্স এবং বাজারে যাবে, সেখানকার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখবে। আদেও সেই ছোট রাস্তা-ঘাটে ফায়ার ব্রিগেডের গাড়ি ঢোকা সম্ভব কিনা। আগুন লাগলে মানুষের বেরনোর জায়গা আছে কিনা, এইসব দেখা হবে। আমাদের অভিযান শুরু হবে খুব তাড়াতাড়ি এবং প্রথম কর্মসূচিটির সূচনা হবে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর হাত ধরেই।”