নিজস্ব প্রতিনিধি— ফের দিল্লি পুলিশ কর্তৃক হেনস্থার শিকার তৃণমূলের সাংসদ সহ নেতানেত্রীরা৷ এ নিয়ে ক্ষুব্ধ হন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দোপাধ্যায়৷ সোমবারই রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করার জন্য সময় চাইলেন অভিষেক৷ তাঁর নেতৃত্বে তৃণমূলের ১১ জন সদস্যের এক প্রতিনিধি দল রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছেন৷ রাজভবনের তরফে সাড়া দেওয়া হয়েছে৷ প্রথমে জানানো হয়, রাজ্যপাল পিংলায় গিয়েছেন৷ সেখান থেকে ফিরলে জানানো হবে ওঁনার সিদ্ধান্তের কথা৷ পরে অবশ্য রাজভবন তরফ থেকে জানানো হয়, আজই রাত ৯ টার সময় তৃণমূল প্রতিনিধি দলের সঙ্গে দেখা করবেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস৷ অভিষেকের নেতৃত্বে তৃণমূলের প্রতিনিধি দল রাতেই রাজ্যপালের কাছে যান৷
সোমবার দিল্লি গিয়ে নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চের সঙ্গে দেখা করে তৃণমূলের ১০ জনের এক প্রতিনিধি দল৷ নিজেদের অভিযোগ এবং দাবি জানিয়ে কমিশনের বাইরে এসে ২৪ ঘন্টা ধর্নায় বসার কথা ঘোষণা করেন তাঁরা৷ কিন্ত্ত ২৪ ঘন্টা দূর, ১ ঘন্টাও পার করতে পারলো না৷ কিছুক্ষণ পরই তৃণমূল প্রতিনিধি দলের ধর্ণা তুলে দিতে আসরে নামে দিল্লি পুলিশ৷ সদস্যদের কমিশনের দফতরের সামনে থেকে সরে যেতে বলা হয়৷ কিন্ত্ত নিজেদের দাবিতে অনড় থাকে তৃণমূল৷ তাঁরা রাজি না হলে পুলিশ জোরপূর্বক ধর্না তোলার চেষ্টা করে, শান্তিপূর্ণ ধর্ণার ওপর চড়াও হয়৷ ফলে শুরু হয় দু’পক্ষের মধ্যে ধস্তাধস্তি৷ একে একে বিক্ষোভরত তৃণমূল নেতানেত্রীদের টেনেহিঁচডে় বাসে তোলা হয়৷ রীতিমতো হেনস্থার শিকার হন দোলা সেন, সাগরিকা ঘোষ, তৃণমূল প্রতিনিধি দলের এমনটাই অভিযোগ দিল্লি পুলিশের বিরুদ্ধে৷ শেষপর্যন্ত পুলিশ তাঁদের নিয়ে আসে দিল্লির মন্দির মার্গ থানায়৷
তৃণমূল নেতানেত্রীদের ওপর দিল্লি পুলিশের এমন আচরণ করা এবং তাঁদের শান্তিপূর্ণ ধর্ণা ভেঙে দেওয়ার বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন অভিষেক৷ তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন৷ এ প্রসঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্টে অভিষেক লেখেন, ‘২০২৩ সালের অক্টোবরে দিল্লির কৃষি ভবনের ভিতরে গণতন্ত্রের মুখ বন্ধ করা হয়েছিল৷ সোমবার প্রকাশ্য দিবালোকে গণতন্ত্রের উপর হামলা চালানো হল৷ প্রতিদিন বাংলা-বিরোধী জমিদারেরা ক্ষমতার জন্য আরও হিংসাত্মক এবং মরিয়া হয়ে উঠছে৷ বাংলা এর জবাব দেবে ৷ বিজেপি তৈরি থাকো৷’ সোমবার একাধিক দাবি নিয়ে তৃণমূল দ্বারস্থ হয় নির্বাচন কমিশনের৷ আগেই নির্বাচন কমিশনের আধিকারিকদের সঙ্গে দেখা করার জন্য সময় চেয়েছিল তৃণমূল৷ বিকেল ৪টেয় সেই সময় দেওয়া হয়েছিল৷ সেই মোতাবেক কমিশনের দফতরে যায় তৃণমূলের প্রতিনিধি দল৷ তারপরই ঘটে এই ঘটনা৷ এই ঘটনার জবাব যে অভিষেক দেবেন, তা তিনি বুঝিয়ে দেন নিজের সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টের মাধ্যমে৷