নবান্নে সমস্ত দফতরকে পর্যালোচনার বৈঠকে ডাকলেন মুখ্যমন্ত্রী

নবান্ন। ফাইল চিত্র

আরজি করের ছাত্রী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় উত্তাল গোটা দেশ। প্রতিবাদের আগুন ছড়িয়েছে গোটা বিশ্বে।

এমনকী, দোষীদের উপযুক্ত শাস্তি এবং বিচারের দাবিতে প্রতিবাদের আগুন জ্বলছে গোটা বাংলায়। কাতারে কাতারে মানুষ প্রতিবাদে মুখর হয়েছেন। এই ঘটনার পর থেকে অস্বস্তিতে রয়েছে রাজ্য সরকার। এই পরিস্থিতিতে এবার পর্যালোচনার জন্য সমস্ত দফতরকে নবান্নে বৈঠকে ডাক দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সংশ্লিষ্ট বৈঠকে রাজ্যের সমস্ত দফতরের মন্ত্রী, আধিকারিকদের উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে।

গত ৪ জুন লোকসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশিত হওয়ার পর এই প্রথম পর্যালোচনা বৈঠক ডাকলেন মুখ্যমন্ত্রী। এই বৈঠকে সব দফতরের কাজের পর্যালোচনা হবে। তার পরের দিনই অর্থাৎ, ১০ সেপ্টেম্বর, মঙ্গলবার নবান্নে মন্ত্রিসভার বৈঠক রয়েছে।


বৃহস্পতিবার এই সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে নবান্ন। নবান্নের বিজ্ঞপ্তিতে এই বৈঠকটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। সেই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে যে, ৯ তারিখ দুপুর ১টায় নবান্নের সভাঘরে পর্যালোচনার বৈঠক করবেন মুখ্যমন্ত্রী। সেক্ষেত্রে প্রত্যেক দফতরের মন্ত্রী, সচিবকে ওই বৈঠকে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। এমনকী, এই বৈঠকে ডিজি এবং এডিজি পদমর্যাদার আধিকারিক এবং কলকাতা পুলিশের কমিশনারকেও থাকতে বলা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, আরজি করের ঘটনা নিয়ে পুলিশের ভূমিকায় প্রশ্ন উঠেছে। এমনকী, এই মামলায় পুলিশকে ভর্ৎসনাও করেছে কলকাতা হাইকোর্ট এবং সুপ্রিম কোর্ট।

শুধু তা-ই নয়, বিভিন্ন মহলে সরকারের অবস্থান এবং আচরণ, সমালোচিত হয়েছে। বিশেষত, আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের পদত্যাগ এবং তাঁকে অন্যত্র নিয়োগের পর রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্তকে তুলোধনা করা হয়েছিল। অবশ্য আরজি করে আর্থিক দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে পরে সন্দীপকে গ্রেফতারও করা হয়েছে।

আরজি কর আবহে রাজ্যের সর্বত্র যখন সরকারের ভূমিকা নিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠছে, এই অবস্থায় তখন প্রশাসনিক মহলের একাংশ মনে করছে যে, বিভিন্ন দফতরের কাজের অগ্রগতি কিছুটা থমকে গিয়েছে। তাঁদের মতে, নবান্নের ওই বৈঠকে দফতরগুলিকে নতুন উদ্যমে কাজ করতে উৎসাহ দেওয়া হতে পারে।