নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে ওঠে নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলা। এদিন ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, ‘নিয়োগ মামলায় ধৃত পার্থ চট্টোপাধ্যায়দের জামিনের মামলার শুনানি হবে মুখ্যসচিব বা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ছাড়াই।’ কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বিচারপতি অপূর্ব সিংহ রায়ের ডিভিশন বেঞ্চ এই নির্দেশ জানায়। একই সঙ্গে পার্থদের জামিন নিয়ে কোথায় আপত্তি রয়েছে? তাও কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই-এর কাছে জানতে চেয়েছে আদালত।
এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ, এসএসসির প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্য, মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়, এসএসসি-র উপদেষ্টা কমিটির প্রাক্তন প্রধান শান্তিপ্রসাদ সিনহা, এসএসসি-র প্রাক্তন সচিব অশোককুমার সাহা-সহ শিক্ষা দফতরের ১১ জন আধিকারিককে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। সম্প্রতি তাঁরা কলকাতা হাইকোর্টে জামিনের আবেদন করেন। সেই মামলার শুনানিতে সিবিআই জানায়, ‘কোনও সরকারি আধিকারিকের বিরুদ্ধে বিচারপ্রক্রিয়া শুরু করতে রাজ্যের মুখ্যসচিবের অনুমোদনের প্রয়োজন। আর বিধায়ক বা মন্ত্রীর ক্ষেত্রে রাজ্যপাল বা বিধানসভার স্পিকারের অনুমোদন লাগে। রাজ্যপাল এবং স্পিকার অনুমোদন দিলেও রাজ্যের মুখ্যসচিব এ নিয়ে নিজের অবস্থান জানান নি।’
মুখ্যসচিব কেন এ বিষয়ে তাঁর অবস্থান জানাচ্ছেন না, তা নিয়ে আগেও আদালতে প্রশ্ন উঠেছে। মুখ্যসচিবকে নিজের অবস্থান জানানোর নির্দেশও দিয়েছিল হাইকোর্ট। সিবিআইয়ের দাবি,’তারপরও মুখ্যসচিবের কোনও উত্তর মেলেনি। মুখ্যসচিবের অনুমোদন না মেলায় পার্থদের জামিন মামলার শুনানি সম্ভব হয়নি’। শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ জানায়,’কারও অনুমতির প্রয়োজন নেই। মুখ্যসচিব এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ছাড়াই হবে শুনানি।’ পাশাপাশি পার্থদের জামিন নিয়ে সিবিআই-এর অবস্থান জানতে চেয়েছে আদালত। আগামী ২৮ অগস্ট এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে।