• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

ছাত্রীর শ্লীলতাহানিতে উত্তেজনা, পুলিশের গাড়ি ভাঙ্গচুর, শিক্ষক সহ গ্রেপ্তার ১০

আমিনুর রহমান, বর্ধমান, ১২ জুলাই: এক নাবালিকা ছাত্রীকে স্কুলের মধ্যেই শিক্ষকের শ্লীলতাহানি করার অভিযোগে তুলকালাম কান্ড বাঁধালো বর্ধমানের খন্ডঘোষ গ্রামে । অভিযোগে পরিবারের লোকজন সহ গ্রামবাসীরা স্কুলে জড়ো হয়ে শিক্ষকের উপর চড়াও হয়। ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালে ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীদের ক্ষোভ আছড়ে পড়ে পুলিশের উপরে। পুলিশ কে লক্ষ্য করে চলে ইটবৃষ্টি। ভাংচুর করা হয় পুলিশের

Concept of a violence against women. Black and white portrait of scared and desperate woman, focus on the hands in protective gesture

আমিনুর রহমান, বর্ধমান, ১২ জুলাই: এক নাবালিকা ছাত্রীকে স্কুলের মধ্যেই শিক্ষকের শ্লীলতাহানি করার অভিযোগে তুলকালাম কান্ড বাঁধালো বর্ধমানের খন্ডঘোষ গ্রামে । অভিযোগে পরিবারের লোকজন সহ গ্রামবাসীরা স্কুলে জড়ো হয়ে শিক্ষকের উপর চড়াও হয়। ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালে ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীদের ক্ষোভ আছড়ে পড়ে পুলিশের উপরে। পুলিশ কে লক্ষ্য করে চলে ইটবৃষ্টি। ভাংচুর করা হয় পুলিশের গাড়ি। ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমান জেলার খণ্ডঘোষ ব্লকের আমরাল গ্রামের আমরাল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। এই ঘটনায় পুলিশ ১০ জনকে গ্রেপ্তার করে ।

অভিযোগ, স্কুলের চতুর্থ শ্রেণীর এক নাবালিকা ছাত্রীর শ্লীলতাহানি করেন ওই স্কুলেরই এক শিক্ষক, যার নাম মহাদেব কুণ্ডু। শিক্ষকের বাড়ি বাঁকুড়া জেলার ইন্দাস থানার অন্তর্গত কুশমুড়ি গ্রামে। ঘটনার জেরে খণ্ডঘোষ থানার পুলিশ অভিযুক্ত শিক্ষক সহ ১০ জনকে গ্রেফতার করেছে। শুক্রবার ধৃতদের বর্ধমান আদালতে পেশ করেছে পুলিশ। স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বুধবার ক্লাস চলাকালীন ওই শিক্ষক তার সঙ্গে অশ্লীল আচরণ করেন বলে ওই ছাত্রী তার মা-বাবাকে ও প্রতিবেশীদের জানায়। তার পরেই আমরাল গ্রামের বাসিন্দারা ও পরিবারের মানুষজন একত্রিত হয়ে ওই স্কুলে পৌঁছান এবং অভিযুক্ত শিক্ষককের উপর চড়াও হন। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় খণ্ডঘোষ থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী।

এরপরই পুলিশের সাথে গ্রামবাসীদের বচসা বেধে যায়। শুরু হয়ে যায় দু পক্ষের ধস্তাধস্তি। স্কুলের ভিতর থেকে পুলিশ ওই অভিযুক্ত শিক্ষককে পুলিশ ভ্যানে করে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে নিয়ে যাবার সময় ক্ষুব্ধ জনতা পুলিশের উপর ইট বৃষ্টি শুরু করে দেয়। পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে দেখে পুলিশ বাধ্য হয়েই লাঠিচার্জ শুরু করে। পরে অভিযুক্ত শিক্ষককে পুলিশ থানায় নিয়ে আসেন জিজ্ঞাসাবাদের জন্য।গ্রামবাসীর দাবি, অভিযুক্ত শিক্ষক যেন কোনদিন কোন জায়গায় চাকরি না করতে পারে তার ব্যবস্থা করতে হবে সরকার ও প্রশাসনকে।