আর কয়েকটা দিন বাদেই বিহারে ভােট তার আগে সদ্য এনডিএ ত্যাগী চিরাগকে খােলাখুলি সমর্থন জানিয়ে বিহার ভােটে নতুন দিক খুললেন লালুপুত্র তেজস্বী । স্বাভাবিকভাবেই এতে চিন্তায় পড়ে গিয়েছে জেডিইউ নেতা বিহারে মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার।
সােমবার সকালে চিরাগের পাশে দড়িয়ে আরজেডি নেতা লালুপুত্র তেজস্বী যাদব বলেন, ‘চিরাগ পাসােয়ানের প্রতি নীতীশ কুমার’জি যে ব্যবহার করেছেন, তা ঠিক নয়। এই সময় চিরাগের পাশে তাঁর বাবা থাকলে ভালাে হত। কিন্তু রামবিলাস পাসােয়ানজি এখন আমাদের মধ্যে নেই। নীতীশ কুমার’জি চিরাগের প্রতি অবিচার করেছেন।’
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে চিরাগ বলেন, তাঁর বাবার মৃত্যুর পর নীতীশ তাঁকে সান্ত্বনা জানিয়ে একটি কথাও বলেননি। চিরাগ পরে জানান, রামবিলাস পাসােয়ানের দেহ যখন দিল্লি থেকে পাটনায় উড়িয়ে আনা হয়, নীতীশ কুমার বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন। তিনি নীতীশের পা ছুঁয়ে প্রণাম করেন। কিন্তু নীতীশ তাঁকে উপেক্ষা করেন।
লােক জনশক্তি দলের নেতা চিরাগের এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে এদিন তেজস্বী যে বয়ান দিয়েছেন, তাতে চিরাগকে খােলাখুলি সমর্থনের ইঙ্গিত পেয়েছেন রাজনীতির কারবারিরা। পর্যবেক্ষকদের মতে, খুব হিসাব করেই চিরাগকে সমর্থন করেছেন তেজস্বী। চিরাগের বাবা রামবিলাস পাসােয়ান এবং তেজস্বীর বাবা লালুপ্রসাদ যাদব একসময় রাজনীতিতে সহযােগী ছিলেন। তাদের সহযােগী ছিলেন নীতীশও।
গত ৮ অক্টোবর রামবিলাস মারা যান। তখন লালুপ্রসাদ ও তাঁর স্ত্রী তথা বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী রাবড়ি দেবী শােকপ্রকাশ করেন। তেজস্বী যাদব এবার ভােটে দাঁড়িয়েছেন রঘােপুর কেন্দ্র থেকে। অনেকের ধারণা, ওই কেন্দ্রে তেজস্বীকে জেতানাের জন্য গােপনে বােঝাপড়া করেছেন চিরাগ। সেজন্য তাঁর দল ওই কেন্দ্রে দাঁড় করিয়েছে এক রাজপুত প্রার্থীকে। ওই প্রার্থী বিজেপির রাজপুত ভােট কাটবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
কিন্তু কিছুদিন আগেই চিরাগ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মােদির প্রতি আনুগত্য জানিয়ে বলেছিলেন তিনি, প্রচারে নরেন্দ্র মােদির ছবি আমার লাগবে না। নরেন্দ্র মােদি আমার হৃদয়ে বিরাজমান। আমি হনুমানের মতাে। আমার বুক চিরে শুধু মােদিজিকেই দেখা যাবে।
বস্তুত, বিহার তথা জাতীয় রাজনীতিতে অনেকের ধারণা হল চিরাগ বিজেপি-আঁতাত রয়েছে। তারা আলােচনা করেই ঠিক করেছেন লােক জনশক্তি পার্টি কেবল জেডিইউ’র বিরুদ্ধে প্রার্থী দেবে।