নিজস্ব প্রতিনিধি— বড়সড় বদল আনলো জাতীয় নির্বাচন কমিশন৷ ভোটগণনার কাজে ‘কাউন্টিং এজেন্ট’ হিসাবে কোনও শিক্ষককে নিয়োগ করা যাবে না৷ এই মর্মে নির্দেশিকা জারি করল নির্বাচন কমিশন৷ বৃহস্পতিবার নির্দেশিকায় কমিশন জানিয়েছে, রাজ্যের কোনও সরকারি এবং সরকারপোষিত স্কুলে কর্মরত শিক্ষকদের ভোটগণনার সময়ে ‘কাউন্টিং এজেন্ট’ হিসাবে নিয়োগ করা যাবে না৷ স্থায়ী কিংবা অস্থায়ী, যে কোনও শিক্ষকের ক্ষেত্রেই এই নির্দেশ প্রযোজ্য হবে৷ দেশে ছয় দফার ভোট হয়ে গিয়েছে৷ বাকি কেবল সপ্তম দফা৷ আগামী শনিবার শেষ দফায় বাংলার ন’টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ রয়েছে৷ তার পর মঙ্গলবার, ৪ জুন হবে ভোটগণনা৷ সে দিনই লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল জানা যাবে৷ এই ভোটগণনার কাজে বিভিন্ন দলের প্রার্থীদের গণনার এজেন্ট হিসাবে শিক্ষকদের নিয়োগে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হল৷ কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী, শুধু শিক্ষক নয়, কোনও সরকারি কর্মচারীকেই ‘কাউন্টিং এজেন্ট’ হিসাবে নিয়োগ করা যায় না৷ তা সত্ত্বেও কোথাও কোথাও শিক্ষকদের দিয়ে এই কাজ করানো হত বলে অভিযোগ৷ কমিশন নতুন নির্দেশিকা জারি করে সেই বিষয়টি তাই আরও এক বার স্পষ্ট করে দিল৷ নির্বাচন কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী, ভোটগণনার সময়ে সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রের রিটার্নিং অফিসারের তত্ত্বাবধানে এবং নির্দেশে, প্রার্থীদের উপস্থিতিতে গণনার কাজ চলে৷ কিন্ত্ত একাধিক জায়গায় গণনার কাজ হওয়ার কারণে প্রার্থীর একার পক্ষে সর্বত্র একই সময়ে উপস্থিত থাকা সম্ভব হয় না৷ সেই কারণে তাঁরা নিজেদের পক্ষে ‘কাউন্টিং এজেন্ট’ নিয়োগ করে থাকেন৷ ওই এজেন্টরা প্রার্থীর হয়ে নির্দিষ্ট গণনাকেন্দ্রে ভোটগণনার কাজ পর্যবেক্ষণ করে থাকেন৷ অর্থাৎ, যে কোনও গণনাকেন্দ্রে কাউন্টিং এজেন্ট হলেন প্রার্থীর প্রতিনিধি৷ এই কাজে কোনও সরকারি কর্মী থাকলে, তাঁদের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে৷ এজেন্টকে গণনার নিয়মকানুন সম্পর্কে সম্পূর্ণ অবগত থাকতে হয়৷ সেই কাজেই সরকারি কিংবা সরকার পোষিত স্কুলের শিক্ষকদের নিয়োগ করা যাবে না বলে জানিয়ে দিল জাতীয় নির্বাচন কমিশন৷
