আরজিকর হামলার ঘটনায় শেষ পর্যন্ত গ্রেপ্তার করা হলো তৌসিফকে। পুলিশকে ফাঁকি দেওয়ার জন্য চুলের ছাট বদল করেছিলেন তৌসিফ। এখনও পর্যন্ত আরজিকর হাসপাতালে হামলার ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছে ৩০ জন। আর জি কর হামলার ঘটনার পর সমাজমাধ্যমে হামলার সময় কার সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ করে পুলিশ। এখানে হামলাকারীদের লাল দাগ দিয়ে চিহ্নিত করা হয়। সেই সূত্র ধরেই গ্রেফতার হয়েছে বেশ কয়েকজনকে। সাধারণ মানুষের সহযোগিতাতেই আরও দুজনকে শনাক্ত করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সেই দুজনের মধ্যে একজন হলেন তৌসিফ, দ্বিতীয় জনের নাম রোহিত সাহা। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, হামলার পরের দিনও আরজিকর মেডিকেল কলেজ চত্বরে গিয়েছিলেন তৌসিফ। পুলিশের তরফ থেকে সমাজ মাধ্যমে হামলার দিনের ফুটেজ প্রকাশ করার পর সাধারণ মানুষের দ্বারাই চিহ্নিত হয় তৌসিফ। এই সমস্ত কারণেই সমাজমাধ্যমে পোস্ট দিয়ে সাধারণ মানুষের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে কলকাতা পুলিশ। শুক্রবার ধৃত ২৪ জনের নাম, বয়স, ঠিকানা প্রকাশ্যে আনা হয়েছিল। তবে সেই রাতে কেন হাসপাতালে হামলা চালানো হয়েছিল তা নিয়ে এখনও ধন্দে রয়েছে পুলিশ। এখন বিভিন্ন জায়গা থেকে দাবি করা হচ্ছে, চারতলার সেমিনার হল ভাঙ্গাই হামলাকারীদের উদ্দেশ্য ছিল। এই আবহেই বুধবার রাতের ভাঙচুরের একটি ভিডিও ক্লিপিং সমাজ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। একজনকে বলতে শোনা যায়, “সেমিনার হল চল, চল…” (যদিও ভিডিও সত্যতা যাচাই করেনি দৈনিক স্টেটসম্যান)। তবে সেই ভিডিও প্রসঙ্গে কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল বলেছেন, “সেমিনার হলে যাওয়ার কারও ইচ্ছে ছিল কিনা এমন কিছু পাওয়া যায়নি।”
উল্লেখ্য, আরজিকর হাসপাতালে চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার প্রতিবাদে, মেয়েদের কর্মসূচির মধ্যেই বুধবার রাতে আরজিকর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের গেট ভেঙে ভিতরে ঢুকে একদল লোক ভাঙচুর করে। ভাঙচুর চালানো হয় হাসপাতালের জরুরি বিভাগের টিকিট কাউন্টার, এইচসিসিইউ ( হাইব্রিড ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিট), সিসিইউ ( ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিট), ওষুধের স্টোররুমে। হামলা চালানো হয় হাসপাতালের বাইরের চত্বরেও। ভাঙচুর করা হয় আরজিকরের পুলিশ ফাঁড়ি, আন্দোলনকারী চিকিৎসক পড়ুয়াদের মঞ্চ। আরও অভিযোগ, পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর এবং পুলিশ কর্মীদের ওপরেও হামলা চালানো হয় সেই দিন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে নামানো হয় র্যাফ। এছাড়া হামলাকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে। অন্যদিকে সেই সময় হামলাকারীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট ছোড়ে বলে অভিযোগ।