গোরু পাচার মামলায় সিবিআইয়ের হাতে গ্রেপ্তার হয়ে দিল্লির তিহাড় জেলে বন্দি অনুব্রত মণ্ডল ওরফে কেষ্ট মণ্ডল জামিন না পেলেও, তিহাড় জেলে বন্দি কেষ্ট-কন্যা সুকন্যা মণ্ডলকে মঙ্গলবার ১০ সেপ্টেম্বর বেশ কয়েকটি শর্তের ভিত্তিতে ১০ লক্ষ টাকার ব্যক্তিগত বণ্ড জমা দিয়ে ও আরও ১০ লক্ষ টাকার একজন জামিনদার রেখে মুক্তি দেওয়ার নির্দেশ দেয়।
গোরু পাচার মামলার তদন্তে নেমে সিবিআই ২০২২ সালের ১১ আগস্ট অনুব্রত মণ্ডলকে তাঁর বোলপুর নীচুপট্টির কালিকাপুরের বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায় আসানসোল জেলে। পরে এই মামলার সঙ্গে ইডি যুক্ত হওয়ার পরে অনুব্রত মণ্ডলকে আসানসোল থেকে নিয়ে যাওয়া হয় দিল্লির তিহাড় জেলে। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা অনুব্রত কন্যা সুকন্যা মণ্ডলের ১২ কোটি টাকা ও প্রচুর সম্পত্তির হদিশ পেয়ে ইডি তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দিল্লিতে ডেকে মাতৃহীনা সুকন্যাকে সেখানেই গ্রেপ্তার করে ২০২৩ সালের ২৬ এপ্রিল। সেই থেকে সুকন্যা মণ্ডল তিহাড় জেলেই ছিলেন।
এদিকে সুকন্যা মণ্ডলের জামিনের খবর এসে পৌঁছতেই বোলপুর তথা জেলায় অনুব্রত অনুগামীদের মধ্যে উচ্ছ্বাস দেখা দেয়। তাঁদের গ্রামের বাড়ি নানুরের হাটসেরান্দি গ্রামেও অনেকেই উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন এবং মিষ্টি বিতরণ করেন। অনুব্রত মণ্ডলের ভাই প্রিয়ব্রত মণ্ডল দাদার মেয়ে সুকন্যার জামিনের পরিপ্রেক্ষিতে অনুব্রত অনুগামীদের মতোই আশা প্রকাশ করেছেন যে, এবার পুজোর আগেই দাদাও জামিনে ছাড়া পেয়ে বাড়ি চলে আসবেন এবং তাঁরা দু’বছর পরে পুজোয় মাতবেন।