• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

বাংলা থেকে মন্ত্রী হচ্ছেন সুকান্ত ও শান্তনু, আজ সন্ধ্যেতেই শপথগ্রহণ মোদির

দিল্লি, ৯ জুন:  আজ, ৯ জুন রবিবার। আর কিছুক্ষণের মধ্যেই প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নেবেন নরেন্দ্র মোদী। এই প্রথমবার এনডিএ জোটের শরিক দলগুলির ওপর নির্ভর করে গঠিত হচ্ছে তৃতীয় মোদী সরকার। চূড়ান্ত প্রস্তুতি চলছে। সন্ধ্যে ৭টা ১৫ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী পদে রাষ্ট্রপতি ভবনে শপথ নেবেন নরেন্দ্র মোদী। কিন্তু এবার জোট শরিকদের মন জোগাতে অনেকগুলি মন্ত্রক ছাড়তে হবে।

দিল্লি, ৯ জুন:  আজ, ৯ জুন রবিবার। আর কিছুক্ষণের মধ্যেই প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নেবেন নরেন্দ্র মোদী। এই প্রথমবার এনডিএ জোটের শরিক দলগুলির ওপর নির্ভর করে গঠিত হচ্ছে তৃতীয় মোদী সরকার। চূড়ান্ত প্রস্তুতি চলছে। সন্ধ্যে ৭টা ১৫ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী পদে রাষ্ট্রপতি ভবনে শপথ নেবেন নরেন্দ্র মোদী। কিন্তু এবার জোট শরিকদের মন জোগাতে অনেকগুলি মন্ত্রক ছাড়তে হবে। সেজন্য বিজেপি-র দলীয় সাংসদদের মধ্যে বেশি সংখ্যক মন্ত্রক ছাড়া সম্ভব হচ্ছে না। এবার বাংলাতেও সাংসদ সংখ্যা কমে গিয়েছে। ১৮ থেকে নেমে হয়েছে ১২টি। কিন্তু তা সত্ত্বেও শপথের আগে মন্ত্রী হিসেবে বাংলা থেকে দুইজন সাংসদের নাম সামনে এসেছে।

জানা গিয়েছে, ফের রাষ্ট্রমন্ত্রী করা হচ্ছে বনগাঁর সাংসদ শান্তনু ঠাকুরকে। এছাড়া বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি ও বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদারকেও রাষ্ট্রমন্ত্রী করা হচ্ছে। তবে পশ্চিমবঙ্গের এই দুই সাংসদ কেন্দ্রীয় সরকারের কোন মন্ত্রক পাচ্ছেন, সেই বিষয়টি এখনও স্পষ্ট হয়নি।

এদিন প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে চা চক্রে যোগ দেওয়ার জন্য ডাক পেয়েছিলেন শান্তনু ঠাকুর ও সুকান্ত মজুমদার। তারপরেই সংবাদমাধ্যমের কাছে রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার জানান, ‘বালুরঘাট থেকে আমিই প্রথম কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হচ্ছি। গোটা রাজ্য সহ বালুরঘাটের উন্নয়নই আমার প্রাথমিক লক্ষ্য। আমি বালুরঘাটে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর তৈরির দাবি জানাব। তবে রাজ্য সহযোগিতা না করলে উন্নয়ন সম্ভব নয়।’

উল্লেখ্য, এর আগে মোদির নেতৃত্বে দুইবার এনডিএ জোট সমর্থিত সরকার গঠিত হলেও সেই সরকারে বিজেপি ছিল একক সংখ্যাগরিষ্ঠ ও শক্তিশালী। এবার বিজেপি খুবই দুর্বল। নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা তাদের নেই। মাত্র ২৪০টি আসন নিয়ে এনডিএ শরিকদের ওপর নির্ভর করে সরকার গড়তে চলেছে বিজেপি। সেই অনুষ্ঠানে বিভিন্ন রাষ্ট্রপ্রধানদের আমন্ত্রণ করা হয়েছে। গতকাল থেকেই সেইসব রাষ্ট্রের আমন্ত্রিত প্রতিনিধিরা আসতে শুরু করেছেন। গতকাল রাজধানী দিল্লিতে এসেছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ এসেছেন মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজ্জু। এসেছেন শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংঘে, ভুটানের প্রধানমন্ত্রী শেরিং টোবগে। এছাড়া এসেছেন মরিশাসের প্রধানমন্ত্রী প্রভিন্দ কুমার জগনাউথ, নেপালের প্রধানমন্ত্রী পুষ্প কমল দাহল ‘প্রচন্ড’ সহ অন্যান্য রাষ্ট্রনেতারা।

সন্ধ্যেবেলা শপথগ্রহণের অনুষ্ঠানের পর রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু আজ সন্ধ্যায় রাষ্ট্রপতি ভবনে বিশিষ্ট ব্যক্তিদের জন্য একটি ভোজসভার আয়োজন করবেন। একটি সূত্র থেকে জানা গিয়েছে যে, ইতালিতে আসন্ন G7 বৈঠকের কারণে, এই শপথের অনুষ্ঠানে অতিথি তালিকাটি সংক্ষিপ্ত রাখা হয়েছে। কারণ প্রধানমন্ত্রী মোদিও সপ্তাহের শেষের দিকে ইতালিতে শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে যাবেন।

অনুষ্ঠানে যোগদানকারী ৮০০০-এরও বেশি অতিথিদের জন্য বসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। তালিকা তৈরি করে আমন্ত্রণপত্র পাঠানো হয়েছে। অতিথিদের তালিকায় রয়েছে শ্রমিক, আইনজীবী, চিকিৎসক, শিল্পী, সাংস্কৃতিক শিল্পী এবং সমাজের প্রভাবশালী ব্যক্তিরা। জল্পনা ছিল যে, এবারের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানটি কার্তব্য পথে অনুষ্ঠিত হবে। তবে আবহাওয়ার অনিশ্চয়তার কারণে এটি রাষ্ট্রপতি ভবনে আয়োজন করা হয়েছে।