এবার সরাসরি সিবিআইয়ের দপ্তরে হাজির আরজিকর কান্ডে প্রতিবাদী চিকিৎসকরা।আর জি করে তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ-হত্যামামলার তদন্তের অগ্রগতি কী? তা জানতে এদিন সিবিআই দপ্তরে গিয়েছিলেন আন্দোলনকারী চিকিৎসকরা। কেন্দ্রীয় সংস্থার উত্তরের উপর নির্ভর করছিল তাঁদের কর্মবিরতি প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত। কিন্তু সিবিআই-সাক্ষাতেও মিলল না সুরাহা।এদিন সিজিও কমপ্লেক্সে গিয়ে কেন্দ্রীয় তদন্তকারীদের কাছ থেকে এ সংক্রান্ত কোনও তথ্যই পাননি তাঁরা। সেখান থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসকরা জানালেন, সুবিচারের প্রশ্নে ‘নো কম্প্রোমাইস’। তদন্তের বিষয়টিও ৯ আগস্ট যেখানে ছিল, আজও সেই তিমিরেই। তাই তাঁরা কর্মবিরতি চালিয়ে যাবেন। রাজ্যের সমস্ত সরকারি হাসপাতালের জুনিয়র চিকিৎসকদের কাছে কর্মবিরতি চালিয়ে যাওয়ার আর্জি জানিয়েছেন তাঁরা।
শুক্রবার বিকেলে আর জি কর হাসপাতালের আন্দোলনকারীদের নেতৃত্বে থাকা ডাক্তার অনির্বাণ মাহাতো-সহ বেশ কয়েকজন পৌঁছে যান সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে, সিবিআই দপ্তরে। এখানেই গত ৮ দিন ধরে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের। ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে সেদিনের ঘটনার আশেপাশে থাকা প্রত্যক্ষদর্শী, সহকর্মীদের।
কিন্তু তদন্তের অগ্রগতি কী? তা জানতেই সিবিআই দপ্তরে যায় আন্দোলনকারীদের প্রতিনিধিদল। আগেই তাঁরা জানিয়েছিলেন, সিবিআইয়ের উত্তর সন্তোষজনক মনে হলে তাঁরা কর্মবিরতি তুলে কাজে ফিরবেন। অন্যথায় নয়। এদিন প্রায় ঘণ্টাখানেক ধরে সিবিআই আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেন আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তাররা। তারপর বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জানান, ”তদন্তের অগ্রগতি আমরা জানতে চেয়েছিলাম। তাতে তাঁরা (সিবিআই) জানিয়েছেন যে তদন্তের বিষয় কিছু প্রকাশ করা যাবে না। তাতে আমরা বলি, কিন্তু এর উপর তো নির্ভর করছে আমাদের কর্মবিরতি প্রত্যাহারের বিষয়টি। তাতে সিবিআই জানিয়েছে, তাদের উপর ভরসা রাখতে। সেই ভরসা হয়ত আমাদের আছে। কিন্তু কেন্দ্রীয় তদন্তকারীদের এহেন উত্তরে আমরা মনে করছি, তদন্তের প্রশ্নে ৯ তারিখ যেখানে ছিলাম, আজও সেখানেই আছি। তাই আপাতত আমাদের কর্মবিরতি তোলার প্রশ্ন নেই।”