কড়া সমালােচনা সুদীপের

সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় (Photo: Twitter | @sudipAITMC)

শনিবার সর্বদল বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মােদির সামনেই নতুন কৃষি আইন নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের কড়া সমালােচনা করলেন তৃণমূল সাংসদ তথা লােকসভায় তৃণমূলের দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়।

সৰ্বল বৈঠকে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, দেশের সামনে এখন সবচেয়ে বড় বিষয় কৃষি আইন। ওই বিষয়ে সরকারকে সদর্থক ভূমিকা নিতে হবে। তাঁরা রাষ্ট্রপতির ভাষণের সমালােচনা করতে চান না। কিন্তু ২০ টি বিরােধী দল সেই ভাষণ বয়কট করেছে, তখন সরকারের উচিত বিরােধীদের দৃষ্টিভঙ্গিও বিবেচনা করা। লােকসভায় একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকার জোরে কৃষকদের উপর অবিচার হওয়া উচিত নয়। 

সুদীপ জানান, তৃণমূল নিঃশর্তে ওই আইন বাতিলের দাবি জানাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী সংসদীয় নেতাদের পাশাপাশিই সমস্ত দলের প্রধান নেতা বা নেত্রীকেও ডাকা হােক। বৈঠকে কৃষি আইন নিয়ে চুলচেরা আলােচনা হােক। তা হলে দেশের কাছে ‘সদর্থক বার্তা’ যাবে যে, সরকার গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া মেনে কাজ করছে। 


বেকার সমস্যা নিয়ে বলেন, বেকার যুবক, যুবতীরা অনিশ্চয়তার সঙ্গে লড়ছে। দেশজুড়ে এক ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। কীভাবে তাদের দিশা দেওয়া যায়, সরকারি চাকরির মাধ্যমে তাদের কষ্ট আদৌ লাঘব করা যায় কিনা, সংসদে তা আলােচনা হওয়া উচিত। 

‘এক দেশ, এক রেশনকার্ড’ নীতি নিয়ে আলােচনা হচ্ছে। প্রক্রিয়া চলছে। কিন্তু রাষ্ট্রপতির ভাষণে দাবি করা হয়েছে, ‘এক দেশ, এক রেশনকার্ড’ ইতিমধ্যেই দেশে চালু হয়ে গিয়েছে। ওই বিষয়ে সরকারের কাছে স্পষ্ট ব্যাখ্যা দাবি করেছেন। তিনি আরও জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় সকারের অসহযােগিতার ফলে রাজ্য সরকার কাজ করতে পারছে না। কেন্দ্র, রাজ্য দুই সরকারই জনগণ দ্বারা নির্বাচিত। তাঁর বক্তব্য, বিদেশনীতিতে তাঁরা সরকারে পাশেই থাকেন। কিন্তু বিদেশ মন্ত্রকের বাজেট নিয়ে আলােচনার সময় চিন ও পাকিস্তানের সঙ্গে সমস্যাগুলিও আলােচনা হওয়া উচিত বলে অভিমত তৃণমূলের।