থমকে থাকা প্রকল্পের কাজ এবং মাস্টার প্ল্যান ফেলে রাখা যাবে না

কড়া নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রী মমতার

নিজস্ব প্রতিনিধি— দীর্ঘ ভোটপর্বের জন্য বহুদিন ধরে থমকে গিয়েছে বহু প্রকল্পের কাজ৷ ভোট পর্ব মিটে যেতে মঙ্গলবার নবান্ন সভাঘরের বৈঠকে মমতা কড়া বার্তা দিলেন, থমকে থাকা প্রকল্পের কাজ দ্রুত শেষ করতে হবে৷ ফেলে রাখা যাবে না ‘মাস্টার প্ল্যান’ -এর প্রস্ত্ততি৷ একই সঙ্গে বাংলা আবাস প্রকল্পে অর্থ বন্টনের জন্য নতুন সমীক্ষা করানোর জন্যও নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী৷

মঙ্গলবার নবান্ন সভাঘরের বৈঠকে সব দফতরের মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, বিভাগীয় সচিব, ডিভিশনাল কমিশনার, যুগ্মসচিব, বিভিন্ন উচ্চপদস্থ আধিকারিক, জেলাশাসক এবং পুলিশকর্তারা উপস্থিত ছিলেন৷ এদিন বাংলার বিভিন্ন প্রান্তে উন্নয়নের খতিয়ান নেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ কোথায় কত আরি্‌র্থক বরাদ্দ হয়েছে, কতটা কাজ এগিয়েছে, কতটা কাজ বাকি রয়েছে, কাজের জন্য নতুন কিছু অনুদান লাগবে কিনা ইত্যাদি খোঁজ খবর নেন মুখ্যমন্ত্রী৷


নির্বাচনী আচরণবিধির কারণে দু’মাসেরও বেশি সময় ধরে রাজ্যে উন্নয়নের কোনও কাজই হয়নি৷ বাংলার মানুষের অনেক অসুবিধে হয়েছে৷ যদিও জেলা প্রশাসন তাদের সাধ্যমতো সামাল দিয়েছে৷ লক্ষ্মীর ভাণ্ডার,কন্যাশ্রী, যুবশ্রী, বার্ধক্যভাতা, স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড, কৃষকভাতা, সবুজসাথীসহ সমস্ত সরকারি প্রকল্পের সুবিধে যাতে যথাযথভাবে মানুষ পায়, সেদিকে নজর দিতে বলেন৷ এদিনের বৈঠকে প্রতিটি জেলা ধরে ধরে পরিস্থিতির খোঁজখবর নেন মুখ্যমন্ত্রী৷ রাস্তা, পানীয় জল, আলোসহ পঞ্চায়েত এলাকার সার্বিক উন্নয়নকে আরও জোরদার করতে প্রশাসনকে তৎপর হতে বলেন৷

মুখ্যমন্ত্রী এদিন স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেন,ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান ফেলে রাখা যাবে না৷ আরও তাড়াতাড়ি কাজ করতে হবে৷ সামনেই বর্ষা আসছে, তার মধ্যেই ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান রূপায়নের জন্য জোরকদমে প্রস্ত্তত হতে বলেন প্রশাসনকে৷

অন্যদিকে কেন্দ্রীয় সরকার দীর্ঘদিন ধরে একশো দিনের কাজের টাকা ও আবাস প্রকল্পের টাকা আটকে রেখেছে৷ ভোটপর্ব মিটে যাওয়ার পরে কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যের থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া করের থেকে ১০ হাজার কোটি টাকা ফেরত দিলেও প্রকল্পগুলির টাকা এখনও দেয়নি৷ নির্বাচনের সময়েই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছিলেন, কেন্দ্রীয় সরকার টাকা না দিলে আবাসের টাকা রাজ্য সরকারই দেবে৷ এই বছরের ডিসেম্বর মাসের মধ্যেই সেই টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ সম্প্রতি উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়িতে টর্নেডোয় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে৷ এছাড়া রেমালের সময়ে সুন্দরবনসহ উপকূল এলাকায় বহু ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে৷ সেই সূত্রে আবাসের টাকা বাংলার মানুষের কাছে পেঁৗছনো দরকার৷ কিন্ত্ত কেন্দ্রের টাকার ওপর ভরসা করতে চায় না তৃণমূল সরকার৷ এইজন্যই আবাস যোজনা টাকা দেওয়ার জন্য তালিকা প্রস্ত্ততির আগে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পর্যালোচনা করতে প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷