• facebook
  • twitter
Sunday, 8 September, 2024

উপনির্বাচনে বাগদা ও রানাঘাট সহ বেশ কয়েকটি জায়গায় বিক্ষিপ্ত অশান্তি

নিজস্ব প্রতিনিধি, ১০ জুলাই: আজ দেশের ১৩টি কেন্দ্রে উপনির্বাচন। তার মধ্যে চারটি কেন্দ্র রয়েছে বাংলাতে। বাংলায় উপনির্বাচন ঘিরে বড় কোনও অশান্তির ঘটনা না ঘটলেও বুধবার বেশ কয়েকটি জায়গায় বিক্ষিপ্ত অশান্তি লক্ষ্য করা গিয়েছে। এরমধ্যে বাগদা কেন্দ্রে ছাপ্পা ভোটকে কেন্দ্রে করে ব্যাপক উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। সেখানকার মালিপোতা পঞ্চায়েতের এসএস মাদ্রাসায় এই ছাপ্পা ভোটের গুজব ছড়ায়। জানা

নিজস্ব প্রতিনিধি, ১০ জুলাই: আজ দেশের ১৩টি কেন্দ্রে উপনির্বাচন। তার মধ্যে চারটি কেন্দ্র রয়েছে বাংলাতে। বাংলায় উপনির্বাচন ঘিরে বড় কোনও অশান্তির ঘটনা না ঘটলেও বুধবার বেশ কয়েকটি জায়গায় বিক্ষিপ্ত অশান্তি লক্ষ্য করা গিয়েছে। এরমধ্যে বাগদা কেন্দ্রে ছাপ্পা ভোটকে কেন্দ্রে করে ব্যাপক উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। সেখানকার মালিপোতা পঞ্চায়েতের এসএস মাদ্রাসায় এই ছাপ্পা ভোটের গুজব ছড়ায়।

জানা গিয়েছে, এখানকার ১৮৭ ও ১৮৮ নম্বর বুথে ছাপ্পা ভোট চলছে বলে খবর পান বিজেপি প্রার্থী বিনয় বিশ্বাস। তিনি সেখানে পৌঁছতেই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক অশান্তির সৃষ্টি হয় বাগদার মালিপোতা গ্রাম পঞ্চায়েতের গাদপুকুরিয়ায়। বিজেপি প্রার্থী ঘটনাস্থলে পৌঁছতেই তাঁকে ঘিরে হেনস্থা করা বলে অভিযোগ। যার জেরে অশান্তির সৃষ্টি হয়েছে বলে দাবি করা হয়। তিনি কোনওরকমে এলাকা ছেড়ে বেরিয়ে যেতেই সেই অশান্তি থামে। যদিও তৃণমূলের পক্ষ থেকে দাবি করে হয়, সেখানে কোনও ছাপ্পা ভোটের ঘটনা ঘটেনি। বাগদার সাগরপুরে আরও একটি অশান্তির ঘটনা ঘটে। এখানকার ১৭৮ নম্বর বুথের বিজেপি এজেন্টকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ ওঠে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে।

এদিকে রানাঘাট দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রেও অশান্তির ঘটনা ঘটে। সেখানে পায়রাডাঙ্গায় বিজেপি-র ক্যাম্প অফিস ভাঙচুরের ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। অভিযোগ, বুধবার জগপুর এলাকায় ৮২ নম্বর বুথ থেকে বেশ কিছুটা দূরে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা বিজেপির অস্থায়ী শিবিরে হামলা চালায়। ক্যাম্প অফিসে থাকা বিজেপি কর্মীদের মারধর করে তাড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। ক্যাম্প অফিসের চেয়ার-টেবিল ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এমনকি ভোটার লিস্টও ছিঁড়ে ফেলা হয় বলে দাবি করা হয় বিজেপি-র তরফে।

অন্যদিকে রানাঘাট দক্ষিণ বিধানসভার নোকারি পঞ্চায়েত এলাকায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ জানিয়েছে তৃণমূল। তৃণমূলের কর্মী সহ সাধারণ ভোটারদের মারধর করেছে বুথে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কেন্দ্রীয় বাহিনী। নোকারি পঞ্চায়েতের ১৭২ নম্বর বুথে ঘটনাটি ঘটে। ওই বুথে বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীদের মদতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা ভোটারদের মারধর করেছে বলে অভিযোগ ওঠে। সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায়। প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের ঘিরে বিক্ষোভ দেখায় ভোটারদের একাংশ। তৃণমূল প্রার্থী মুকুটমণি অধিকারী এই ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন।

কলকাতার মানিকতলা  বিধানসভা  কেন্দ্রেও ভোটগ্রহণের সময় কয়েকটি ছোটখাট অশান্তির খবর পাওয়া যায়। মানিকতলার বিজেপি প্রার্থী কল্যাণ চৌবেকে ঘিরে গো-ব্যাক স্লোগান দেন তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা। কাঁকুড়গাছির ৩১ নম্বর ওয়ার্ডে স্বামী স্বরূপানন্দ সরণিতে ঘটে এই ঘটনা। তৃণমূল সমর্থকদের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন বিজেপি প্রার্থী। ঘটনাকে ঘিরে সামান্য উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। যদিও কয়েক মিনিট পরেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যায়।

এছাড়া রায়গঞ্জ বিধানসভার চারুবালা প্রাথমিক বিদ্যালয়েও সামান্য অশান্তির ঘটনা ঘটে। এখানকার ১১১ ও ১১২ নম্বর বুথে কংগ্রেসের পোলিং এজেন্টদের বসতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে শাসকদলের বিরুদ্ধে। ঘটনাস্থলে হাজির হন কংগ্রেস প্রার্থী মোহিত সেনগুপ্ত।