বিজেপির ‘ঘোড়া কেনাবেচা’র বিরুদ্ধে সোচ্চার সোনিয়া গান্ধি, রাহুল গান্ধি

'গণতন্ত্র বাঁচাও' এবং 'গণতন্ত্রের হত্যা' লেখা হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে থাকেন কংগ্রেস সাংসদরা। (Photo: IANS)

কর্নাটকে সরকার ধরে রাখার শেষ লড়াই লড়ছে কংগ্রেস । এরই মধ্যে মড়ার ওপর খাড়ার ঘা। অপর এক রাজ্য গােয়াতেও জোর ধাক্কা খেল কংগ্রেস।

গােয়া বিধানসভায় ১৫ জন কংগ্রেস বিধায়কের মধ্যে ১০ জন বিধায়ক দল ছেড়ে বিজেপিতে যােগ দিলেন বুধবার।

বিরােধী দলনেতা চন্দ্রকান্ত কাভলেকর সহ দল ছাড়লেন আরও ন’জন। অধ্যক্ষ রাজেশ পটনেকরের সঙ্গে দেখা করে ইস্তফা দেওয়ার কথা জানান কংগ্রেস বিধায়করা।


গােয়ায় বিজেপি নেতৃত্বাধীন জোট সরকারে ৪০ আসনের মধ্যে বিজেপির বিধায়ক রয়েছেন ১৭, কংগ্রেসের ১৫ জন। কংগ্রেসের দখলে রইল মাত্র ৫ জন বিধায়ক। ৪০ আসনের গােয়া বিধানসভায় বিজেপি বিধায়কের সংখ্যা দাঁড়াল ২৭।

কংগ্রেসের বিক্ষুব্ধ বিধায়ক বাবু কাভালেকর দলের ওপর ক্ষোভ উগড়ে দিয়ে জানিয়েছেন, ‘কোনও উন্নয়ন না হলে, মানুষ পরের বার কেন সঙ্গে থাকবেন? কংগ্রেস প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে পারে না। সরকার গঠনের সুযােগ ছিল। কিন্তু বর্ষীয়ান নেতাদের মধ্যে ঐক্যের অভাব থাকায় কখনই সম্ভব হবে না। তাই আমাদের এই সিদ্ধান্ত’।

জুন মাসে তেলেঙ্গানাতেও একই অভিজ্ঞতা হয়েছিল কংগ্রেসের। যেখানে ১৮ জনের মধ্যে ১২ জন বিধায়ক মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের দলে যােগ দেন।

কর্নাটক ও গোয়ার পরিস্থিতি নিয়ে সংসদে প্রতিবাদ জানালেন কংগ্রেস নেত্রী সােনিয়া গান্ধি ও পুত্র রাহুল গান্ধি। গােয়া এবং কর্নাটকে কংগ্রেসের বিধায়কদের দল বদলের ঢল নেমেছে। গােয়ায় বিজেপিতে যােগ দিয়েছে ১০ জন কংগ্রেস বিধায়ক। অন্যদিকে, কর্নাটকে সরকার হাত ছাড়া হতে চলেছে কংগ্রেসের।

বৃহস্পতিবার সংসদে ভিতর বিজেপির বিরুদ্ধে প্রতিবাদে ফেটে পড়ে কংগ্রেস সাংসদরা। ‘গণতন্ত্র বাঁচাও’ এবং ‘গণতন্ত্রের হত্যা’ লেখা হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে থাকেন কংগ্রেস সাংসদরা। বিজেপিকে আক্রমণ করে কংগ্রেসের তরফ থেকে অভিযােগ করা হয়, ‘উন্নয়ন সহ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের ওপর নজর দিচ্ছে না বিজেপি। নির্বাচিত সরকারে বিজেপি থাকার পরও উন্নয়ন কাজ স্তব্ধ হয়ে রয়েছে। গণতন্ত্রকে শেষ করে দিতে চাইছে’।