রেস্তরাঁ-মালিককে মারধরের ঘটনায় আগাম জামিন সোহমের

নিজস্ব প্রতিনিধি, ১৩ জুন– রাজ্য-রাজনীতিতে এখন শিরোনামে রয়েছেন অভিনেতা তথা তৃণমূল বিধায়ক সোহম চক্রবর্তী। এক রেস্তরাঁ-মালিককে মারধরের ঘটনায় নেট দুনিয়ায় তাঁর এই কৃতকর্মে নিন্দার ঝড় বইছে। দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ও আকারে ইঙ্গিতে এক্স বার্তায় সোহম তথা জনপ্রতিনিধিদের ‘নম্র’ হওয়ার বার্তা দিয়েছেন। ইতিমধ্যেই তাঁকে নিয়ে জল্পনা গড়িয়েছে অনেক দূর।

তবে শেষমেশ সোহমের স্বস্তি মিলল বারাসত কোর্টে। নিউ টাউনের রেস্তরাঁ-মালিককে মারধরের ঘটনায় বারাসত আদালতে গিয়ে আত্মসমর্পণ করেছিলেন সোহম। আগাম জামিনের আবেদনও করেছিলেন। আদালত দু’হাজার টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে তাঁর আগাম জামিন মঞ্জুর করেছে।

উল্লেখ্য, নিজ কৃতকর্মের জন্য পূর্বেই লজ্জা প্রকাশ করেছিলেন সোহম। রেস্তরাঁ-মালিককে মারধর করার কথা আগে স্বীকার করে নিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তাঁর বিরুদ্ধে রেস্তরাঁ-মালিক আনিসুল আলম বুধবার কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। তাঁর অভিযোগ, পুলিশ কোনও পদক্ষেপ করছে না। মামলা দায়ের করার অনুমতি দেন বিচারপতি অমৃতা সিংহ। মামলার শুনানির সম্ভাবনা আজই অর্থাৎ শুক্রবার। তার আগে বৃহস্পতিবারই বারাসত আদালতে আগাম জামিনের আবেদন জানান সোহম। নিজে আদালতে গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন।


যদিও জামিন চাইতে গিয়েও বিতর্কে জড়িয়েছেন টলিউড অভিনেতা। অভিযোগ, বৃহস্পতিবার তিনি আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করার পর দীর্ঘক্ষণ সরকারি আইনজীবীর জন্য (পিপি) নির্ধারিত ঘরে বসে অপেক্ষা করেন। একজন অভিযুক্ত আদালত কক্ষে না বসে কেন সরকারি আইনজীবীদের বরাদ্দ ঘরে বসেছেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন আইনজীবীদেরই একাংশ। ঘণ্টা দুয়েক ওই ঘরে বসে থাকার পর অবশ্য সেখান থেকে বেরিয়ে যান সোহম। মামলার শুনানির আগেই কেন সোহম আগাম জামিনের আবেদন করেছেন সেই নিয়েও বিতর্ক তৈরী হয়েছে। তাঁর এই অতিরিক্ত তৎপরতা ভাবিয়েছে অনেককেই।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত শুক্রবার নিউ টাউনের রেস্তরাঁয় এই বিতর্কের সূত্রপাত। সেখানকার একটি ফ্লোরে শুটিং করছিলেন সোহম। সেই সময়ই রেস্তরাঁর সামনে শুটিং ইউনিটের গাড়ি রাখা নিয়ে অভিনেতার নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে বচসা বাধে ওই রেস্তরাঁর মালিক আনিসুলের। তাঁর অভিযোগ, একটি পার্কিং খালি করতে বললে সোহমের নিরাপত্তারক্ষীরা তাঁর উপর চড়াও হন। আরও অভিযোগ, এরপর সোহমও তাঁকে মারধর করেন। তাঁকে ঘুষি মারা হয়। তবে রেস্তরাঁ মালিককে মারধরের কথা স্বীকার করে নেন সোহম। বিষয়টি নিয়ে জলঘোলা হলে সোহম অবশ্য ক্ষমা চেয়ে নেন। আর তারপরই হাইকোর্টে সেই মামলার শুনানির আগেই নিম্ন আদালত থেকে আগাম জামিন পেলেন চন্ডিপুরের তৃণমূল বিধায়ক।