• facebook
  • twitter
Sunday, 8 September, 2024

আকাশছোঁয়া রাজনৈতিক উত্থান সুকান্তর, নতুন এনডিএ মন্ত্রিসভায় মন্ত্রী হচ্ছেন তিনি

নিজস্ব প্রতিনিধি, ৯ জুন– রাজনৈতিক জোয়ার রাজ্য বিজেপির সভাপতি তথা বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদারের জীবনে। এক কৃষক পরিবারের ছেলে সুকান্ত। আজ তিনি একজন সাংসদ ও বিজেপি-র বর্তমান রাজ্য সভাপতি। এবার নরেন্দ্র মোদীর মন্ত্রিসভায় জায়গা পেতে চলেছেন এই বঙ্গ সন্তান। ২০১৯-এ প্রথমবার বালুরঘাট থেকে সাংসদ হন সুকান্ত। সেই থেকে শুরু তাঁর রাজনৈতিক জীবনে পথ চলা। আর

নিজস্ব প্রতিনিধি, ৯ জুন– রাজনৈতিক জোয়ার রাজ্য বিজেপির সভাপতি তথা বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদারের জীবনে। এক কৃষক পরিবারের ছেলে সুকান্ত। আজ তিনি একজন সাংসদ ও বিজেপি-র বর্তমান রাজ্য সভাপতি। এবার নরেন্দ্র মোদীর মন্ত্রিসভায় জায়গা পেতে চলেছেন এই বঙ্গ সন্তান। ২০১৯-এ প্রথমবার বালুরঘাট থেকে সাংসদ হন সুকান্ত। সেই থেকে শুরু তাঁর রাজনৈতিক জীবনে পথ চলা। আর এই কয়েক বছরের মধ্যেই রাজ্য সভাপতি করার পাশাপাশি এবার মন্ত্রীও করা হচ্ছে সুকান্তকে। লোকসভা ভোটে এবারও বালুরঘাট থেকে হাড্ডাহাডি লড়াইয়ের পর জিতেছেন তিনি। তারই পুরষ্কার হিসাবে সুকান্তকে মন্ত্রিত্ব দেওয়া হচ্ছে বলে রাজনৈতিক মহলের ধারণা।

খবর পাওয়া মাত্রই খুশিতে আত্মহারা হয়েছেন সুকান্ত। তিনি আবেগপ্রবণ হয়ে বলেন, “নরেন্দ্র মোদী, জে পি নাড্ডাকে ধন্যবাদ। এত তাড়াতাড়ি আমার মতো একজন সাধারণ কার্যকর্তাকে এত কিছু দিয়েছেন। আমি সাধারণ একজন মানুষ। আমাকে কেউ চিনতেন না। আমার পরিবারে আমিই সবথেকে বেশি পড়াশোনা করেছি। কৃষক পরিবারের ছেলে আমি। আমার ঠাকুরদা চাষ করতেন। সেইভাবে কেউ কোনওদিন রাজনীতি করেননি। গ্রামের মানুষ ছিলেন পরিবারের সবাই। বাবা ছিলেন চাকরিজীবী। নিতান্তই মধ্যবিত্ত আমাদের পরিবার।”

সুকান্তর পূর্বের জীবনের দিকে আলোকপাত করলে দেখা যাবে, ১৯৯৮ থেকে আরএসএসের সঙ্গে যোগাযোগ হয় তাঁর। তারপর থেকে স্বয়ংসেবক তিনি। সুকান্ত জানান, বাড়িতে মন্ত্রী হওয়ার খবর জানালেও বালুরঘাট দুর্গম এলাকা হওয়ায় পরিবারের কেউ দিল্লি পৌঁছতে পারেননি। মন্ত্রী হলে কি তবে বালুরঘাটের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন হবে? সুকান্ত বলেন, “দিল্লি যাওয়ার ট্রেন চালু করা হয়েছে ইতিমধ্যেই। আমি বলে দিচ্ছি, রাজ্য সরকারের তরফে যদি ৫০ শতাংশ সহযোগিতা পাই, তাহলে বালুরঘাট থেকে বিমানও ওড়াব।”

প্রসঙ্গত রবিবার সন্ধ্যায় নরেন্দ্র মোদী তৃতীয়বারের জন্য প্রধানমন্ত্রী হিসাবে শপথগ্রহণ করেন। তার আগে নিজের বাসভবনে কয়েক জনকে মোদী চা-চক্রে ডেকেছিলেন। জল্পনা ছিল, যাঁরা এই চা-চক্রে ডাক পেয়েছেন, তাঁরাই মন্ত্রিসভাতেও জায়গা পাবেন। চা-চক্রে ছিলেন বাংলার দুই প্রতিনিধি— সুকান্ত মজুমদার এবং শান্তনু ঠাকুর। বিজেপি সূত্রে খবর, তাঁরা দু’জনই মন্ত্রী হচ্ছেন। তবে এবারও পূর্ণমন্ত্রী পাচ্ছে না বাংলা। সুকান্ত এবং শান্তনু উভয়েই প্রতিমন্ত্রী হচ্ছেন। শান্তনু জাহাজ মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী ছিলেন আগে থেকেই। এবার কোন দায়িত্ব তাঁকে দেওয়া হয়, সেটা দেখার। সেই সঙ্গে সুকান্ত কোন মন্ত্রকের দায়িত্ব পাবেন, সে দিকেও নজর থাকবে।

উল্লেখ্য বিষয়, শান্তনুকে জাহাজ প্রতিমন্ত্রী করা হয়েছিল ২০২১ সালে। তিনি বাংলায় মতুয়া সঙ্ঘাধিপতি। বাংলায় বিজেপির ভোটব্যাঙ্কের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ মতুয়া ভোট। যে কারণে মন্ত্রিত্বের হিসাবে শান্তনু বরাবর বাড়তি গুরুত্ব পেয়ে এসেছেন। রাজ্য বিজেপির অনেকে বলছেন, শান্তনু বনগাঁ অর্থাৎ দক্ষিণবঙ্গের প্রতিনিধি। সেই হিসাবে মন্ত্রী হিসাবে দ্বিতীয় জনকে উত্তরবঙ্গ থেকেই বাছতে হত মোদীকে। সুকান্তকে দায়িত্ব দেওয়ার ক্ষেত্রে সেটাও ফ্যাক্টর হিসাবে কাজ করে থাকতে পারে। তবে মন্ত্রী হলে রাজ্য সভাপতি পদ থাকবে কি না, তা স্পষ্ট করেননি সুকান্ত মজুমদার।