পূর্ব রেলওয়ে দ্বারা তারকেশ্বর-বিষ্ণুপুর রেল প্রকল্পের স্থান পরিদর্শন এবং স্থানীয়দের সঙ্গে আলোচনা

নিজস্ব প্রতিনিধি—প্রতিশ্রুতিবদ্ধ তারকেশ্বর-বিষ্ণুপুর রেলওয়ে প্রকল্পের সমাপ্তির জন্য স্থান পরিদর্শন করলেন পূর্ব রেলওয়ের কনস্ট্রাকশন বিভাগের একটি প্রতিনিধিদল৷ চিফ ইঞ্জিনিয়ারের নেতৃত্বে এবং চিফ আডমিনিসট্রেশন অফিসার (কনস্ট্রাকশন) এবং ডেপুটি চিফ ইঞ্জিনিয়ার সহ দলটি স্থানীয় বাসিন্দাদের উদ্বেগ দূর করতে এবং এই গঠনমূলক উদ্যোগের সফল বাস্তবায়নের জন্য সহযোগিতা কামনা করেন৷

পূর্ব রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ পরিদর্শনের সময়ে এই প্রকল্পের একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান, ভবাদিঘির স্থানীয় বাসিন্দাদের সাথে মত বিনিময় করেন৷ গ্রামবাসীদের কাছে ভবদিঘি পুকুর এলাকার তাৎপর্য স্বীকার করে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ আশ্বস্ত করেন যে, স্থানীয় জীবিকার উপর কোনো বিরূপ প্রভাব কমানোর জন্য তারা সক্রিয়৷ বিশেষ করে, তাদের মৎস্য চাষ ও জল সরবরাহের দিকে নজর রেখে ভবাদিঘির প্রভাবিত জমির সমপরিমাণ এলাকায় দিঘি প্রসারণ করার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়৷

গোঘাট-কামারপুকুর অংশের বাসিন্দাদের সাথে কথোপকথনের মাধ্যমে রেলওয়ের প্রকল্পের বিষয়ে তাদের আশঙ্কা এবং আকাঙ্খার মূল্যবোধের বিনিময় ঘটে৷ উন্মুক্ত কথোপকথন এবং স্বচ্ছ যোগাযোগের মাধ্যমে, ইস্টার্ন রেলওয়ের লক্ষ্য সমস্ত অংশীদারের মধ্যে আস্থা ও সহযোগিতা গডে় তোলা৷


কামারপুকুর, জয়রামবাটি, বড়গোপীনাথপুর, ময়নাপুর এবং গোকুলনগর–জয়পুরে প্রস্তাবিত স্টপেজগুলির সঙ্গে হুগলি জেলার পূর্ব রেলওয়ে অংশের সঙ্গে সংযোগ করার চাবিকাঠি এই রেল প্রকল্পটি৷ প্রয়াগরাজ, অযোধ্যা, কাটরা এবং খাজুরাহোর মতো দেশের অন্যান্য অংশ সাক্ষ্য বহন করে রেলের সম্প্রসারণ এলাকায় পর্যটন আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে অনুঘটক রূপে কাজ করে এবং আনুষঙ্গিক ব্যবসাকে উৎসাহিত করে৷

বর্তমানে, বিষ্ণুপুর-জয়রামবাটি-কামারপুকুর-তারকেশ্বরের পর্যটন সড়ক পরিবহনের উপর নির্ভরশীল যা কেবল ভ্রমণে সময়ই ব্যয় করে না, সাথে বিপজ্জনক৷

বর্তমানে, হাওড়া-গোঘাট লোকাল ট্রেন ২ ঘন্টা ৩০ মিনিট সময় নেয় এবং যদি বিষ্ণুপুর পর্যন্ত সংযোগ স্থাপন করা হয় তবে আরও ৩০ মিনিট সময় নেবে অথচ বিষ্ণুপুর পর্যন্ত একটি বাস ৫ ঘন্টার বেশি সময় লাগবে যেখানে একটি ইএমইউ ট্রেনে ৩ ঘন্টায় যাত্রা সম্ভব৷ ইএমইউ ট্রেনে হাওড়া থেকে বিষ্ণুপুর পর্যন্ত ভাড়া হবে প্রায় ৩০ টাকা যেখানে বাসে যাত্রার ভাড়া হবে প্রায় ১৫০ টাকা
তারকেশ্বর-বিষ্ণুপুর রেল প্রকল্পটি এই অঞ্চলের অর্থনৈতিক এবং সাংস্কৃতিক সমৃদ্ধির একটি নতুন দিগন্তের সূচনা করে৷ মসৃণ ভ্রমণ অভিজ্ঞতার মাধ্যমে, রেলের এই উদ্যোগ এই অঞ্চলটিকে পর্যটন এবং আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের শিখরে নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত৷ সকল অংশীদারীর সহযোগিতায় এবং একটি প্রাণবন্ত তারকেশ্বর-বিষ্ণুপুর রেল উপলব্ধ করার সময় এসেছে৷
ঐতিহাসিক এই পরিদর্শনের মাধ্যমে পূর্ব রেলে তারকেশ্বর-বিষ্ণুপুর রেলপথের উন্নত ভবিষ্যৎ ও শ্রীবৃদ্ধি কামনা করে |