আগামী লোকসভায় দাদা শান্তনুকে ‘ঘরে বসার’ পরামর্শ বোন মধুপর্ণার

 ২১-র মঞ্চ থেকে মধুমেয় রোগে ভোগা দাদাকে নিশানা

নিজস্ব প্রতিনিধি: সম্পর্কে তাঁর তুতো দাদা হন শান্তনু ঠাকুর। মধুমেয় রোগ রয়েছে শান্তনুর। এবার মধুমেয় রোগে ভোগা দাদাকেই আগামী লোকসভায়, ‘ঘরে বসার’ পরামর্শ দিলেন বোন মধুপর্ণা! একুশে জুলাইয়ের মঞ্চে প্রথম বক্তৃতার সুযোগ পেয়েই, তুতো দাদা তথা বনগাঁর বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুরকে নিশানা করলেন তিনি। এদিন তিনি বলেন, ‘ ওঁর এমনিই ডায়াবেটিস আছে। এত চাপ নিতে পারবেন না-তিনি।’

তারপরেই শান্তনু ঠাকুরের উদ্দেশ্যে তিনি আরও বলেন, ‘ আগামী লোকসভায় আপনার যত চাপ আছে আমায় দিয়ে দিন। আপনার জন্য আপনার বোন গোটা বাংলা ঘুরবে। আপনাকে আর কষ্ট করতে হবে না। আপনি ঘরে বসে থাকুন, আপনার জন্য আপনার বোন কষ্ট করবে।’
এদিন নারী শক্তি নিয়েও বিজেপিকে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি মধুপর্ণা। পাশাপাশি বড়মা বীণাপাণি দেবীর ঘর দখলকে কেন্দ্র করে শান্তনু ঠাকুরের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের উত্থাপনও করেন তিনি। বলেন, ‘ বিজেপির কাছে আমার একটা প্রশ্ন আছে, যখনই ভোট আসে, তারা নারী শক্তির কথা বলে। যখন ৭ এপ্রিল আপনাদের মন্ত্রী, আমার দাদা শান্তনু ঠাকুর মাঝরাত্রে আমাদের বের করে দিয়েছিলেন, তার তো কোনও উত্তর দিলেন না! তার তো কোনও বিচার হল না? কেন?’ শুধু তা-ই নয়, এদিন মধুপর্ণা আরও দাবি করেন যে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে লড়াই করার কোনও ক্ষমতাই নেই বিজেপির।

পাশাপাশি, ২১-এর মঞ্চ থেকে সেই জয়ের জন্য বাগদার মানুষকে আবারও একবার ধন্যবাদ জানান মধুপর্ণা। বাগদার মানুষের চাহিদা ও দাবিদাওয়া পূরণের জন্য তিনি যেন কাজ করে যেতে পারেন, সেই আশীর্বাদই এদিন প্রার্থনা করেন সদ্য নির্বাচিত এই বিধায়ক। এক্ষেত্রে বিধায়ক নয়, ঘরের মেয়ে হয়ে বাগদাবাসীর জন্য তিনি কাজ করতে চান বলেই জানিয়েছেন মধুপর্ণা।


উল্লেখ্য, মাসকয়েক আগে বড়মা বীনাপাণি দেবী ঘর দখলের অভিযোগ ওঠে। বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুরের বিরুদ্ধে বীণাপাণি দেবীর ঘর দখল করার, এই অভিযোগ ওঠে। ঘটনা ঘিরে তোলপাড় শুরু হয় রাজনৈতিক মহলে। সেই সময় বড়মার ঘর জোর করে দখল করে নেওয়ার অভিযোগ ওঠে শান্তনু ঠাকুরের বিরুদ্ধে। এদিন ২১-এর মঞ্চ থেকে সেই প্রসঙ্গ উত্থাপন করেন মধুপর্ণা।

প্রসঙ্গত, সদ্য সমাপ্ত উপনির্বাচনে বাগদা বিধানসভা কেন্দ্রে জিতে দেশের সর্বকনিষ্ঠ বিধায়ক হয়েছেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ তথা বনগাঁর ঠাকুর পরিবারের সদস্যা মমতাবালা ঠাকুরের মেয়ে মধুপর্ণা ঠাকুর। শান্তনু ঠাকুর সম্পর্কে তাঁর তুতো দাদা। এবারের নির্বাচনে নিজের জয় নিয়ে প্রথম থেকেই ‘কনফিডেন্ট’ দেখিয়েছিল মধুপর্ণাকে। প্রচারে বেরিয়ে রাজ্য সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্পের সুফলের কথাও তুলে ধরেন তিনি। এবারে উপনির্বাচনে তৃণমূলই জয়ের আবির খেলবে বলে বারেবারেই দাবি করেছিলেন মধুপর্ণা। আর ভোটেরর ফলাফলের দিন তাঁর সেই দাবিই বাস্তবায়িত হতে দেখা যায়।