নিজস্ব প্রতিনিধি: শুক্রবার রাজ্যের বিরোধী দলনেতা হিসাবে নিজের বাড়তি বেতন আন্দোলনকারী সরকারি কর্মীদের সংগঠনের সদস্যদের হাতে তুলে দিলেন শুভেন্দু অধিকারী। ৪০ হাজার টাকা আন্দোলনকারীদের দিয়েছেন তিনি। তিনি জানিয়েছেন, -‘প্রতি মাসে ওই বেতনের টাকা সংগ্রামী যৌথমঞ্চের সদস্যদের হাতেই তুলে দেবেন’।ডিএ মামলা বর্তমানে সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন। শীর্ষ আদালতে মামলা চালিয়ে নিয়ে যেতে গেলে যে খরচের প্রয়োজন হয়, সেই খাতে এই অর্থ ব্যয় করা হবে বলে আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ”বিরোধী দলনেতা হিসাবে পশ্চিমবঙ্গ সরকার যে বাড়তি বেতন আমাকে দেয়, সেই ৪০ হাজার টাকা আমি সংগ্রামী যৌথমঞ্চকে দিলাম। এর আগে ওদের অনশন মঞ্চে গিয়ে আমি বলেছিলাম, ওদের আইনি লড়াইয়ে পাশে থাকব। তাই এই সামান্য অর্থ ওদের হাতে তুলে দিচ্ছি। যদিও এটা সমুদ্রে বিন্দুর মতো। ডিএ আন্দোলনের মামলা এখন সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন। সেখানে মামলা চালাতে গেলে অনেক টাকা লাগে। ওঁরা আমাকে জানিয়েছেন, আইনজীবীদের পারিশ্রমিক এবং যাতায়াত খরচের খাতে ওই টাকা ব্যয় করা হবে।”শুভেন্দু আরও বলেন, ”বর্ধিত ডিএ-র দাবিতে আন্দোলনকারীদের কাছে গিয়ে আমি যে কথা দিয়ে এসেছিলাম, তা রাখা শুরু করলাম। যত দিন বিরোধী দলনেতার পদে থাকব এবং এই বাড়তি বেতন পাব, প্রতি মাসে তা ওদের হাতে তুলে দেব। শুরুটা ক্যামেরার সামনে করছি, কারণ, ওদের লড়াইয়ে যে বিরোধী দলনেতা পাশে আছে, সেটা জানানো দরকার। এই লড়াই থেমে থাকবে না।”
উল্লেখ্য, বিরোধী দলনেতা-সহ সমস্ত বিধায়কের বেতন বৃদ্ধির কথা আগেই বলা হয়েছিল। রাজ্য বিধানসভায় তা পাশও হয়। গত ১ এপ্রিল থেকে সেই বর্ধিত বেতন পাচ্ছেন শুভেন্দু। শুক্রবার বেতনের বাড়তি অংশ তিনি আন্দোলনকারীদের হাতে তুলে দিলেন।শুভেন্দুর এই কাজকে অবশ্য কটাক্ষ করেছে শাসক তৃণমূল। এ প্রসঙ্গে তৃণমূলের মুখপাত্র শান্তনু সেন বলেন, ”সরকারকে বিব্রত করতে একদল লোক নাটক করছেন। তাঁদের প্রোডিউসার যে তাঁদের টাকা দেবেন, সেটাই তো স্বাভাবিক।” রাজ্যের প্রাক্তন বিধায়কদের ভাতা বৃদ্ধির দাবিও জানিয়েছেন শুভেন্দু। তাঁর মতে, সরকারের এ বিষয়টি আলাদা করে বিবেচনা করা দরকার।
তিনি বলেন, ”রাজ্য বিধানসভায় যারা সরকারি দল চালাচ্ছে, তাদের কাছে আমার অনুরোধ, প্রাক্তন বিধায়কদের ভাতা বৃদ্ধি করা হোক। তাঁরা অত্যন্ত কষ্টে আছেন। বেশির ভাগই বামফ্রন্টের। দল না দেখে এ বিষয়ে সরকারের বিবেচনা করা উচিত। সরকারি কর্মীদেরও কেন্দ্রীয় হারে ডিএ দেওয়া উচিত। মুখ্যমন্ত্রী অনেক ভোট পেয়ে গিয়েছেন। ওঁর আর কোনও সমস্যা থাকা উচিত নয়। এ বার দু’হাত ভরে উনি দিন।”